ম্যাডান থিয়েটার
ব্রিটিশ ভারতে কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত একটি চলচ্চিত্র প্রযোজনা
সংস্থা। এর মূল নাম ছিল ম্যাডান থিয়েটার কোম্পানি। এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন
জামশেদজি ফ্রেমজি ম্যাডান।
জামশেদজি ফ্রেমজি ম্যাডান
১৯০২ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতার ময়দানে করিন্থিয়ান হলে 'পাথে প্রোডাকশনস' কোম্পানীর নির্মিত ছবি দেখানোর ব্যবস্থা করেন।
সে সময় এইসব বায়োস্কোপ প্রদর্শন হতো এলফিনস্টোন বায়োস্কোপ কোম্পানীর নামে।
১৯১৯ খ্রিষ্টাব্দে, জামশেদজি তাঁর সকল ব্যবসাকে ম্যাডান থিয়েটারস লিমিটেড নামে একটি যৌথ স্টক সংস্থার অধীনে আনেন। ফলে এই কোম্পানির অধীনে নির্মিত
চলচ্চিত্রগুলো ম্যাডান থিয়েটার্সের প্রযোজনা হিসেবে বাজারজাত
হয়েছিল।
প্রথম
বিশ্বযুদ্ধ -এর কলকাতার নাট্যচর্চা দৈন্য দশায় পড়ে যায়। এই
দুরবস্থার সুযোগ নিয়ে,
জামশেদজি ফ্রেমজি ম্যাডান
ম্যাডান কোম্পানির অধীনে
কর্ণওয়ালিস থিয়েটার প্রতিষ্ঠিত করেন।
১৯২১ খ্রিষ্টাব্দে
শিশিরকুমার ভাদুরী এই কোম্পানিতে
এক হাজার টাকা মাসিক চুক্তিতে পেশাদার
অভিনেতা রূপে নিযুক্ত হন। এই বছরের ১০ই ডিসেম্বর তিনি আলমগীর নাটকে মুখ্য ভূমিকায়
অভিনয় করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেন। নাট্যকার হিসেবে ছিলেন
ক্ষিরোদপ্রসাদ।
১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দে
জামশেদজি ফ্রেমজি ম্যাডান-এর
মৃত্যুর
পর তাঁর তৃতীয় পুত্র জেজে ম্যাডান, ম্যাডান
থিয়েটারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হন।
জেজে ম্যাডান এই কোম্পানিকে আরও সম্প্রসারিত করেন।
১৯২০-এর দশকের শেষদিকে ম্যাডান থিয়েটারসের ১২৭টি থিয়েটার বা প্রেক্ষাগৃহ ছিল। এই
কোম্পানির হাতেই প্রথম বাংলা সবাক চলচ্চিত্র 'জলসা' মুক্তি পেয়েছিল।
ম্যাডান থিয়েটারের প্রযোজিত
চলচ্চিত্রের তালিকা।
নির্বাক যুগ
- বিল্বমঙ্গলল(১ নভেম্বর ১৯১৯)
- মহাভারত (১৩ জানুয়ারি ১৯২০)
- আফলাতুন (১৯২১)
- নল দময়ন্তি
(১৯২১)
- ধ্রুব চরিত্র (১৯২১)
- বেহুলা (১৯২১)
- মা দুর্গা (১৯২১)
- অশোক (১৯২২)
- পতি ভক্তি (১৯২২)
- পরীক্ষিৎ (১৯২২)
- ভাগিরথী গঙ্গা
(১৯২২)
- বারের বাজার (১৯২২)
- বিষবৃক্ষ (৬ মে ১৯২২)
- বোধ বুবুখ (১৯২২)
- রাজা ভোজ (১৯২২)
- সতী (১৯২২)
- সাবিত্রী সত্যবান (নভেন্বর ১৯২৩)।
- নুরজেহান (১৯ মে ১৯২৩)
- লাইফ অফ লর্ড বুদ্ধ (১৯২৩)
- ওয়েজ অব সাইন (১৯২৪)
- কিসমাত কা শিকার (১৯২৪)
- গোমাতা (১৯২৪)
- পত্নী প্রতাপ
(১৯২৪)
- পাপের পরিণাম (১৯২৪)
- বসন্ত প্রভা [১৯২৪]
- মিশর রাণী (১৯২৪)
- কাশ্মিরি সুন্দরী (১৯২৫)
- শান্তা (১৯২৫)
- সংসার চক্র (১৯২৫)
- দুর্গেশনন্দিনী (১৯২৭)
- পিতা পূজা (১৯২৭)
- আঁখ কা নেশা (১৯২৮)
- হুর-এ-আরব (১৯২৮)
- বিষবৃক্ষ (১৯২৮)
- ভ্রান্তি (১৯২৮)
- কুসুম কুমারী(১৯২৯)
- গিরিবালা (১৯২৯)
- যুগলাঙ্গুরীয় (১৯২৯)
- শরীফ বদমাস (১৯৩০)
- রাধারাণী (৮ মার্চ ১৯৩০)
- কাল-পরিণয় (৫ জুন, ১৯৩০)
- বামন অবতার (১৯৩০)
Family Feuds
(১৯৩১)
সবাকযুগ:
-
জলসা (১৪
মার্চ ১৯৩১)
- জামাই ষষ্ঠী (১১
এপ্রিল ১৯৩১)
- জোর বরাতত
(১১
এপ্রিল ১৯৩১)
- শিরি-ফরহাদ (১৯৩১)।
[হিন্দি ছবি]
-
ঋষির প্রেম (৩ আগষ্ট ১৯৩১)।
-
প্রহ্লাদ (২৯ ডিসেম্বর ১৯৩১)।
- ইন্দ্রসভা (১৯৩২)। [হিন্দি ছবি] পরিচালক জে জে ম্যাডান। ৬৯টি গান ব্যবহৃত হয়েছিল।
- বিষ্ণুমায়া
(২৬ মার্চ ১৯৩২)।
- রামায়ণ (১৯৩৩)।
[হিন্দি ছবি]
- জাহের সাপ (১৯৩৩)
[হিন্দ ছবি]
- ধ্রুব (১৯৩৪)
- জাহানারা (১৯৩৫)
[হিন্দি ছবি]
- রাজ দুলারী (১৯৩৬)।
[হিন্দি ছবি]
- জিন্দাভুত (১৯৩৭)[হিন্দি ছবি]]