১৯০৭ খ্রিষ্টাব্দে তাঁর শিল্পাদর্শ জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য, ভগিনী নিবেদিতা, স্যার জন উডরফ হ্যাভেল এবং অন্যান্য সুধীজনের উদ্যোগে 'ওরিয়েন্টাল আর্ট সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯১১ সালে রাজা পঞ্চম জর্জ ও রাণী মেরি ভারত ভ্রমণে এলে আর্ট গ্যলারী পরিদর্শনের সময় তাদেরকে ওরিয়েন্টাল আর্ট সম্পর্কে জানানোর দায়িত্ব পান তিনি। এই সময় কলকাতা অনুষ্ঠানের জন্য তিনি এবং তাঁর সহকর্মীরা মণ্ডপ সাজান। ১৯১৩ খ্রিষ্টাব্দে লন্ডন এবং প্যারিসে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং তাঁর ছাত্রছাত্রীদের চিত্রপ্রদর্শনী হয়। ১৯১৯ খ্রিষ্টাব্দে তাঁর চিত্র প্রদর্শনী হয় জাপানে। ১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দে জাপানি চিত্রশৈলী অনুসারে অঙ্কন করেন ওমর খৈয়াম।
১৯৪২ সালে শিল্পীপত্নীর মৃত্যু হয়। এই বৎসরে তিনি বিশ্বভারতীর আচার্য-পদ গ্রহণ করেন। ১৯৪৫ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করেন।
চিত্রাঙ্কনের পাশাপাশি তিনি ছোটো ও বড়দের জন্য অনেক গ্রন্থ রচনা করেন। তাঁর প্রথম প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল নবযুগ পত্রিকার ১৩১১ শ্রাবণ সংখ্যায়। প্রবন্ধটির নাম ছিল নবদুর্ব্বা ।
১৯৫১ খ্রিষ্টাব্দের ৫ই ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
তাঁর অঙ্কিত বিখ্যাত চিত্রাবলী
সাহাজাদপুরের দৃশ্যাবলী
আরব্যপোন্যাসের গল্প
কবিকঙ্কন চণ্ডী
প্রত্যাবর্তন
জারনিস এন্ড
সাজাহান
কৃষ্ণলীলাবিষয়ক চিত্রাবলী
বজ্রমুকুট
ঋতুসংহার
বুদ্ধ
সুজাতা
প্রকাশিত গ্রন্থাবলী
শকুন্তলা (১৮৯৫)
ক্ষীরের পুতুল (১৮৯৬)
রাজকাহিনী ও ভারতশিল্পী (১৯০৯)
ভূত পত্রীর দেশ (১৯১৫)
নালক (১৯১৬)
বাংলার ব্রত (১৯১৯)
খাজাঞ্জির খাতা ও প্রিয়দর্শিকা (১৯২১)
চিত্রাক্ষর (১৯২৯)
বুড়ো আংলা (১৯৪১)
জোড়াসাঁকোর ধারে (১৯৪৪)
সহজ চিত্র শিক্ষা (১৯৪৬)
ভারত শিল্পের ষড়ঙ্গ (১৯৪৭)
আলোর ফুলকি (১৯৪৭)
ভারত শিল্পে মূর্তি (১৯৪৭)
মাসি (১৯৫৪)
একে তিন তিনে এক (১৯৫৪)
শিল্পায়ন (১৯৫৫)
মারুতির পুঁথি (১৯৫৬)
রং বেরং (১৯৫৮)
কিশোর সঞ্চয়ন (১৯৬০)
বাদশাহী গল্প (১৯৭৬)
সূত্র :