আলাউদ্দিন মাসুদ শাহ
ভারতবর্ষে আদি তুর্কি শাসনের ষষ্ঠ শাসক। তিনি ছিলেন ইলতুৎমিসের পুত্র।

ইলতুৎমিসের মৃত্যুর পর, তাঁর কন্যা রাজিয়া দিল্লীর সিংহাসনে বসেন। কিন্তু চার বৎসর রাজত্ব করার পর, অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে রাজিয়া বন্দী হন। এই সময় এই সময় ইলতুৎমিসের পুত্র মজুদ্দিন বাহরামকে সিংহাসনে বসান। নতুন ব্যবস্থা অনুসারে বাহরামকে নামে মাত্র সুলতান পদে রেখে আইতেগিন রাজ্যের শাসন হাতে নেন। এদিকে আল্‌তুনিয়া উপযুক্ত পুরস্কার না পেয়ে রাজিয়াকে ছেড়ে দেন এবং তাঁকে বিবাহ করেন। এরপর ১২৪০ খ্রিষ্টাব্দে রাজিয়াকে দিল্লীর সিংহাসনে পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য দিল্লী আক্রমণ করেন। দিল্লীর সাথে যুদ্ধে আলতুনিয়া পরাজিত ও নিহত হন। পরে রাজিয়াকে বন্দি ও হত্যা করা হয়। তাঁর মৃত্যুর পর ইলতুৎমিসের পুত্র বাহরাম শাহ্
দিল্লীর সিংহাসনে বসেন। কিন্তু ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দে আমিররা তাঁকে অপসারিত করে, ইলতুৎমিস-এর অপর পুত্র আলাউদ্দিন মাসুদ শাহকে সিংহাসনে বসান।

তাঁর রাজত্বের সময় আমিররাই রাজ্যের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হয়ে উঠেন। এই সময় বলবন নামক জনৈক আমির অত্যন্ত শক্তিশালী অবস্থানে চলে যান, তিনি  ইলতুৎমিস-এর অপর পুত্র নাসিরুদ্দিন মাহমুদের সাথে ষড়যন্ত্র করে, ১২৪৪ খ্রিষ্টাব্দে মাসুদ শাহকে ক্ষমতাচ্যুত করেন এবং নাসিরুদ্দিন মাহমুদেকে দিল্লীর সিংহাসনে বসান।

সূত্র:
বাংলাদেশের ইতিহাস/রমেশচন্দ্র মজুমদার।
ভারতের ইতিহাস । অতুলচন্দ্র রায়, প্রণবকুমার চট্টোপাধ্যায়।