ওয়াহিদুল হক
(১৯৩৩ -২০০৭ খ্রিষ্টাব্দ)
বিশিষ্ট চিন্তাবিদ, সাংবাদিক, রবীন্দ্রসঙ্গীত গবেষক, সংগঠক। কর্মজীবনে ওয়াহিদুল হক ছিলেন সাংবাদিক।
১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দের, ১৬ই মার্চ ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জের ভাওয়াল মনোহরিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম আবু তৈয়ব মাজহারুল হক (এমএলএ, ১৯৪৬ খ্রিষ্টাব্দের বেঙ্গল লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলি), মায়ের নাম মাওয়া বেগম। শৈশবে তাঁর দাদা মৌলবী মোহম্মদ আলী আদর করে নাম রেখেছিলেন সুরুজ মিয়া।
তাঁর পুরো নাম ছিল-
আবিল ফাতাহ্ মোহাম্মদ ওয়াহিদুল হক।
তিনি ছিলেন তাঁর ভাই-বোনদের মধ্যে বড়। তাঁর অপর দুই ভাইয়ের নাম ছিল-
রেজাউল হক বাচ্চু (সাংবাদিক, প্রয়াত), জিয়াউল হক (প্রকৌশলী), ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে পাক বাহিনীর সদস্যরা হত্যা করেছিলেন। দুই বোনের নাম- নীলুফার জীনাতুল হক ও নারগীস চৌধুরী।
তাঁর দুই চাচা ছিলেন মারফতি গানের ভক্ত। পারিবারিক ঐতিহ্য সূত্রে তিনি সংগীতে আকৃষ্ট হয়েছিলেন। পরে নাড়া বেঁধে তালিম নিয়েছিলেন ওস্তাদ তছর আলীর কাছে। এই সময় তিনি রবীন্দ্রসংগীতের প্রতি আগ্রহের সূত্রে রবীন্দ্রসঙ্গীতের প্রাথমিক পাঠ গ্রহণ করেছিলেন।
১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দে তিনি কেরানিগঞ্জের আটি ভাওয়াল জুনিয়র মাদসায়
তাঁকে ভর্তি করে দেওয়া হয়। পরে তাঁর পিতামাতার সাথে ঢাকায় চলে আসেন।
এঁরা প্রথমে থাকতেন চাঁদনীঘাটে, পরে চলে আসেন
১৩ নম্বর ঊর্দু রোডে। এখানে ১৪ কক্ষ বিশিষ্ট একটি বাসার ৭টি কক্ষের একটি অংশে এঁরা থাকতেন। এর অপরাংশে থাকতেন বাবু রামেন্দ্র মোহন ও তাঁর পরিবার। এই হিন্দু পরিবারের সাথে ওয়াহিদুল হকদের ছিল অত্যন্ত ঘনিষ্ট সম্পর্ক। সেই সূত্রে তিনি হয়ে উঠতে পেরেছিলেন সর্বার্থে একজন অসম্প্রাদায়িক মানুষ। তাঁদের বাসায় ওস্তাদ মোহাম্মদ হোসেন খসরু বহুবার রাগ সঙ্গীত পরিবেশন করেছেন। শৈশবের সে সঙ্গীতের প্রভাব ওয়াহিদুলের হকের উপর পড়েছিল।
ঢাকার আসার পর তাঁকে ভর্তি করিয়ে দেওয়া হয় আরমানিটোলা
গভর্ণমেন্ট হাই স্কুলে।এই স্কুলের
সহপাঠী নুরুল
হকের বড় ভাই ডাঃ মাহফুজুর হক তাঁদের বাড়িতে একটি পারিবারিক পাঠাগার গড়ে তুলেছিলেন।
এঁদের বাসায় একটি পোষা হরিণ ছিল। ওয়াহিদুল হক পাঠাগার এবং এই হরিণের আকর্ষণে তাঁদের
বাসায় প্রায়ই যেতেন। তাঁর পিতা - ওয়াহিদুল হক এবং তাঁর ছোটো ভাই রেজাউল হককে আট আনা দিয়ে এই পাঠাগারের
সদ্স্য হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন।
১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দের দিকে তিনি মুকুল ফৌজের সাথে যুক্ত হন।
এই সময় তিনি মুকুল ফৌজের
সদস্যপদ লাভ করেন। এই সময় বাংলা ভাষা আন্দোলন ধীরে ধীরে তীব্রতর হয়ে উঠেছিল।
তিনি এই সময় মিছিল, সভা, পিকেটিং-এ নিয়মিত অংশ নিতে।
১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ মার্চ, তাঁর পিতা আবু তৈয়ব
মাজহারুল হক মৃত্যবরণ করেন। এই সময় তাঁর মা পাঁচ সন্তানকে যত্নের সাথে প্রতিপালন করেন। এই সময় আর্থিক সমস্যার কারণে
প্রায় ছমাস তাঁর স্কুলে লেখাপড়া বন্ধ ছিল। তারপরেও তাঁর মায়ের প্রেরণায় তিনি
আরমানিটোলা
গভর্ণমেন্ট হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ঢাকা
কলেজে ইন্টারমিডিয়েট শ্রেণিত ভর্তি হন এবং এই কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায় পাশ
করেন।
১৯৫১ খ্রিষ্টাব্দের ১১ মার্চ
ঢাকা কলেজ ভাষা আন্দোলন উপলক্ষে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছিল। এই ধর্মঘটের মধ্যমণি
ছিলেন ওয়াহিদুল হক। এই বছরেই তিনি ঢাকা কলেজ সংসদে ছাত্র ইউনিয়নের পক্ষে নির্বাচন করেন। এই
নির্বাচনে তিনি পরাজিত হয়েছিলেন।
১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দে তিনি হাসান হাফিজুর রহমান, আবদুল্লাহ আল মুতী শরফুদ্দীন, বাহাউদ্দিন চৌধুরী, মুস্তাফা নূরউল ইসলাম প্রমুখের সঙ্গে
বাংলা ভাষার পক্ষে প্রচারপত্র বিলি করতেন।
পঞ্চাশের দশকে তাঁর পরিচয় ছিল দক্ষ ফুটবলার ও টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে। এই সূত্রে ১৯৫৪
খ্রিষ্টাব্দে সংসারের আর্থিক সমস্যা মেটানোর জন্ 'দ্য ডেইলি মর্নিং' পত্রিকায় খেলা
বিভাগের প্রতিবেদক হিসেবে যোগদান করেন।
১৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দে রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী ও গবেষক
সন্জিদা খাতুনকে বিবাহ করেন।
এই সময় ওয়াহিদুল হক মর্নিং নিউজ পত্রিকায় ৮০ টাকা বেতনে চাকরি করতেন। আর সন্জীদা খাতুনের তখন রোজগার বলতে ছিল
রেডিওতে গান গাওয়ার সামান্য সম্মানী। উল্লেখ্য,
১৯৫৭ খ্রিষ্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে
ইডেন কলেজে 'বাংলা ভাষা ও সাহিত্য' বিষয়ে অধ্যপনা শুরু
করেন
সন্জিদা খাতুন
। এই বছরেই তাঁদের প্রথম কন্যা সন্তান অপালা ফরহাদের জন্ম
হয়। ১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দে জন্ম হয়, দ্বিতীয় সন্তান- পার্থ তানভির নবেদ-এর।
১৯৫৯ খ্রিষ্টাব্দের দিকে এঁরা বকসি বাজারের একটি বাসায় উঠে আসেন। সেখান থেকে এঁরা
৩-এর ই আজিমপুর সরকারি বাসায় চলে আসেন। ১৯৬০
খ্রিষ্টাব্দে এই বাসায় জন্মগ্রহণ করেন রুচিরা তাবাস্সুম নভেদ্।
১৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দে
প্রতিষ্ঠিত হয় গীতালি রবীন্দ্রসঙ্গীত বিদ্যালয়। তিনি এই বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা
সভাপতি ছিলেন।
১৯৫৭ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত 'দ্য ডেইলি মর্নিং' পত্রিকার সাথে
যুক্ত ছিলেন। এরপর তিনি 'দ্যা ডেইলি পাকিস্তান অবজর্ভার' পত্রিকার বার্তা বিভাগের
শিফট ইন চার্জ হিসেবে যুক্ত হন।
১৯৬১ খ্রিষ্টাব্দে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে পালিত রবীন্দ্র-জন্মশতবার্ষিকীর
আয়োজকদের মধ্যে
তিনি প্রধান আয়োজক ছিলেন। রবীন্দ্র-জন্মশতবর্ষ অনুষ্ঠান পালনের পরপরই সংগঠক ও শিল্পীরা সবাই মিলে জয়দেবপুরে গিয়েছিলেন আনন্দ-উৎসব করতে। সেখানেই বিকেলের আসরে মোখলেসুর রহমান (সিধু মিয়া) প্রস্তাব করলেন, সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সবাই একমত হলে
একটি নতুন সংগঠনের প্রস্তাব গৃহীত হয়।
এই সংগঠনের
সুফিয়া কামাল সভাপতি ও ফরিদা হাসান সাধারণ সম্পাদক
নির্বাচিত হন। কমিটিতে আরও ছিলেন মোখলেসুর রহমান, সায়েদুল হাসান, শামসুন্নাহার রহমান,
ওয়াহিদুল হক, আহমেদুর রহমান, দেবদাস চক্রবর্তী, সাইফুদ্দিন আহমেদ মানিক প্রমুখ। নবগঠিত কমিটির দ্বিতীয় বৈঠকেই সংগঠনের নাম ঠিক হয়েছিল
'ছায়ানট'।
১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে ঘূর্ণঝর আঘাত হানলে,
তিনি ত্রাণসামগ্রী নিয়ে উপকূলবাসীদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।
১৯৬৩ খ্রিষ্টাব্দে ছায়ানট সঙ্গীত বিদ্যায়তন প্রতিষ্ঠিত হয়। এই বিদ্যায়তন করার প্রথম প্রস্তাব রেখেছেলেন
ওয়াহিদুল হক। সে
সময়ে এই প্রস্তাবে অনেকেই অনীহা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু ওয়াহিদুল হক সদস্যদের
মাসিক চাঁদা দেওয়ার প্রস্তাব রেখে- বলেছিলেন 'কমিটি মেম্বাররা মাসে মাসে চাঁদা দেব।
আমি আর মিনু (সন্জিদা খাতুন)
মিলে দেবো সত্তর টাকা। আপনার কে কত দেবেন? তখন মুখ খুলে কেউ বললেন পনেরো,
কেউ দশ, কেউ পঁচিশ- এইরকম"।
১৯৬৪ খ্রিষ্টাব্দে তৎকালীন সরকারের উস্কানিতে খুলনায়
সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হয়। তার ধাক্কা ঢাকাতেও লাগে। এই সময় প্রেস ক্লাবে আহমেদুর রমান, ওয়াহিদুল হক,
কামাল লোহানী
প্রমুখের প্রচেষ্টায় দাঙ্গা রোধ করা সম্ভব
হয়েছিল।
১৯৬৮ খ্রিষ্টাব্দে তিনি লণ্ডনে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সাংবাদিক সম্মলনে যোগদান করেন।
১৯৮৬ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বাংলাদেশ আবৃত্তি
ফেডারেশন। তিই এই ফেডারেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন।
১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দে তিনি '
দ্য পিপলস' পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে যোগদান করেন।
১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে স্বাধীনতা যুদ্ধের
সময় 'স্বাধীন বাংলা শিল্পী সংস্থা'র প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন।
এই সংগঠনের সভাপতি ছিলেন
সন্জিদা খাতুন এবং সাধারণ সম্পাদক
ছিলেন মাহমুদুর রহমান বেণু। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী
ফ্লোরা আহমেদকে বিয়ে করেন।
১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে
ফ্লোরা আহমেদের গর্ভে তাঁদের একমাত্র পুত্র এষণ ওয়াহিদ-এর জন্ম হয়।
এই বছরে তিনি ' দ্য পিপলস'
পত্রিকার সম্পাদক পদে কর্মজীবন শুরু করেন।
১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দে ন্যাপের প্রার্থী হয়ে কেরানীগঞ্জ থেকে জাতীয়
সংসদীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। এবং তিনি পরাজিত হন। এই বছরে মুক্তি পায় ঋত্বিক ঘটকের পরিচালিত
চলচ্চিত্র 'তিতাস
একটি নদীর নাম'। এই চলচ্চিত্রের তিনি সহকারী সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন।
১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দে তিনি কিছুদন চট্টগ্রাম
শহরে কাটান। ১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দের শেষের দিকে তিনি চ্ট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত 'দ্য
ডেইলি লাইফ' নামক ইরেজি পত্রিকার সাথে যুক্ত হন এবং ১৯৭৯ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত এই
পত্রিকার সাথে যুক্ত ছিলেন।
১৯৮০ খ্রিষ্টাব্দে
জাহিদুর রহিম স্মৃতি পরিষদ গঠিত হয়। তিনি এই পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন।
১৯৮১ খ্রিষ্টাব্দে তিনি যুক্ত 'দ্যা নিউ নেশন' পত্রিকা যোগ দেন।
এই বছরে
জাহিদুর রহিম স্মৃতি পরিষদ-এর কার্যক্রমের সূত্রে ' জাতীয়
রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি এই পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য
ছিলেন।
১৯৮২ খ্রিষ্টাব্দে আনন্দধ্বনি নামক সঙ্গীত-শিক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু করেন। এই
সংগঠনের তিনি প্রধান শিক্ষাগুরু ছিলেন।
১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত কণ্ঠশীলন নামক বাচিক সংগঠনের তিনি প্রতিষ্ঠাতা
অধ্যক্ষ ছিলেন। কণ্ঠশীলন নামটি তিনিই দিয়েছিলেন। উল্লেখ্য এই বাচিক সংগঠনের
উদ্যোক্তা ছিলেন বিপ্লব বালা এবং উপদেষ্ঠা ও প্রশিক্ষক ছিলেন নরেন বিশ্বাস।
১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত তিনি এই পত্রিকার সাথে যুক্ত ছিলেন।
১৯৯১ খ্রিষ্টাব্দে 'দ্য ডেইলি স্টার' পত্রিকার যুগ্ম সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
উল্লেখ তিনি এই পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন।
১৯৯৪ খ্রিষ্টাব্দে বসন্ত উৎসব উদ্যাপন পরিষদ গঙিত হয়। এই পরিষদের তিনি প্রতিষ্ঠাতা
সদস্য ছিলেন
১৯৯৮ খ্রিষ্টাব্দে তাঁর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল শিশুদের জন্য শিশুতীর্থ নামক
কার্যক্রম।
১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দে ছায়ানটের সহ-সভাপতি
নির্বাচিত হন এবং আমৃত্যু তিনি এই পদে ছিলেন। এছাড়া
' জাতীয়
রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ'-এর সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন।
২০০১ খ্রিষ্টাব্দে নালন্দা বিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হয়। তিনি বিদ্যালয়ের উদোক্তা
ছিলেন। ২০০১-২০০৭ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত তিনি কার্যকরী পরিষদের সদস্য ছিলেন।
২০০৩ খ্রিষ্টব্দে তিনি বাংলাদেশ ব্রতচারী সমিতির সহ-সভাপতি হন। তিনি আমৃত্যু এই পদে
ছিলেন। ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দের ৭-১৩ জানুয়ারি নাল্লাপাড়ার বেলায়েত হোসেন বহুমুখী
বিদ্যালয়ে ব্রতচারী প্রশিক্ষণ ও নৃত্যোৎসব হয়। এই উৎসবে তিনি যোগ দিয়ে
ব্রতচারীদের মধ্যে বিপুল উদ্দীপনা সৃষ্ট করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
২০০৭
খ্রিষ্টাব্দের ২৭শে জানুয়ারি বিকাল ৫টায় বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়
মৃত্যুবরণ করেন।
- সম্মাননা
- সংস্কৃতিতে বিশেষ অবদনের জন্য কাজী মাহবুবউল্লাহ ট্রাস্ট স্বর্ণপদক
(১৯৯৬)
- সংস্কৃতিতে বিশেষ অবদনের জন্য জসিম উদ্দিন স্বর্ণপদক
(১৯৯৬)
- বাংলা একাডেমির সম্মানসূচক ফেলোশিপ
(২০০০)
- সাংবদিকতায় নির্ভীক ও বস্তুনিষ্ঠ ভূমিকা রাখার
জন্য 'বাংলাদেশ ক্রীড়া-সাবাদিক সম্মাননা' (২০০১)
- সংগীতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ একুশে পদক (মরণোত্তর,
২০০৮)
-
শিল্পকলায় বিশেষ অবদানের জন্য, স্বাধীনতা পুরস্কার-২০১০ (মরণোত্তর) ।
- প্রকাশিত গ্রন্থ
-
চেতনা ধারায় এসো
(১৯৮৫)
-
গানের ভিতর দিয়ে
(১৯৮৫)
-
সংস্কৃতিই জাগরণের প্রথম সূর্য
(২০০৫)
-
ব্যবহারিক বাংলা উচচারণ অভিধান
(১৯৮৮)। সম্পাদনা পর্ষদ সদস্য
-
সংস্কৃতির ভুবন
আবৃত্তি ও গানের সিডি
-
সকল কাঁটা ধন্য করেরে
-
আজ যেমন করে গাইছে আকাশ
-
আছ অন্তরে
- রবীন্দ্রনাথের কবিতা
দাম্পত্য জীবন ও সন্তানাদি