জীবনস্রোত
জগৎঘটকের রচিত একটি গীতি-আলেখ্য।

১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দের ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দ (১৪ ফাল্গুন ১৩৪২) তারিখে কলকাতা বেতার কেন্দ্র থেকে 'জীবনস্রোত' গীতি আলেখ্য অনুষ্ঠানে গানটি সম্প্রচারিত হয়েছিল। 

 বেতার জগৎ-এর সপ্তম বর্ষ, ৪র্থ সংখ্যার [পৃষ্ঠা ১৭২] অনুষ্ঠান সূচীতে এই গীতি-আলেখ্যের বিষয়ে লেখা হয়েছিল-

সম্প্রচার কেন্দ্র: কলকাতা কেন্দ্র
প্রচারের সময়: বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৬। ১৪ ফাল্গুন ১৩৪২। সান্ধ্য অনুষ্ঠান: ৮.৩০-৯.১৪ মিনিট
অনুষ্ঠানের নাম: জীবন-স্রোত
পরিচালক: সুরেশ চক্রবর্তী
সঙ্গীত: নিতাই ঘটক

জীবনস্রোত গীতি-আলেখ্যের গানগুলো কে রচনা করেছিলেন, এ বিষয়ে বেতার জগতের বিবরণ থেকে জানা যায় না। প্রায়ই একই বিবরণ পাওয়া যায়, The Inidian Listener পত্রিকার ৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৬ সংখ্যার ২৩২ পৃষ্ঠায়।

নাটকটির রচয়িতা জগৎঘটকের কাছে রক্ষিত পাণ্ডুলিপি থেকে জানা যায় যে, এই গীতি আলেখ্যের গানগুলোর রচনা করেছিলেন নজরুল ইসলাম। এ বিষয়ে ব্রহ্মমোহন ঠাকুর 'বেতারে নজরুল' গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন- 'নজরুল ঐ সময় গ্রামোফোন কোম্পানীর Exclusive Cpmposer ছিলেন। শর্ত ছিল গ্রামোফোন কোম্পানী ছাড়া আর কোথাও নজরুল গান রচনা কিম্বা সুরারোপ করতে পারবেন না। আর সেই কারণেই 'বেতার জগত'-এ নজরুলের নামের উল্লেখ নেই।

এই গীতি-আলেখ্যতে মোট ১২টি গান ব্যবহার করা হয়েছিল। এর ভিতরে ৪টি গান সম্ভবত নজরুলের রচিত নয়। ষষ্ঠ গান 'অগ্নি-গিরি ঘুমন্ত উঠিল জাগিয়া' পূর্বে ভারতবর্ষ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। অবশিষ্ট ৭টি গান 'জীবন-স্রোত' গীতি আলেখ্যেতে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। নিচে সকল গানের তালিকা তুলে ধরা হলো।
  1. অগ্নি-গিরি ঘুমন্ত উঠিল জাগিয়া [তথ্য]
  2. এলো বরষা শ্যাম সরসা প্রিয় দরশা [তথ্য]
  3. ঐ কালো অঙ্গ রাঙা হবে [তথ্য]
  4. চলে ঐ আনন্দে ঝর্না রানী [তথ্য]
  5. চাঁদনী রাতে রুপালি মায়ায় [তথ্য]
  6. জল ফেলে জল আনতে গেলি [তথ্য]
  7. বসন্ত মুখর আজি [তথ্য]
  8. বয়ে যাই উতরোল অসীম সুদূর [তথ্য]
  9. বল কতদূর! আর কতদূর [তথ্য]
  10. শীতের হাওয়া বয় রে ভাই [তথ্য]
অন্যের রচিত গান
  1. রহিতে যে নারি ধৈরয ধরি যাচি হে তোমার দেখা
  2. ভব পারে যাবার লাগি আছে পারের কাণ্ডারী


সূত্র: