মোরা মাটির ছেলে, দু’দিন পরে মাটিতে মিশাই
আসে খড়ের প্রতিমা হয়ে মা আমাদের তাই॥
সে কয় না কথা, দেয় না স্নেহ-কোল,
মা, মা বলে যতই কেন বাজা না ঢাক-ঢোল।
তোর ক্ষুধা তৃষ্ণার জ্বালা মেটে হয়ে শ্মশান-ছাই॥
সে দেবতাদের চিন্ময়ী মা, অসুর পায় দেখা
মা’র অসুরও পায় দেখা,
মা’র জড় পাষাণ মূর্তি হেরে শুধু মানুষ একা রে
ভাই, শুধু মানুষ একা!
মোরা ম’রে এবার আসব অসুর হ’য়ে,
মুণ্ডু মোদের দুলবে রে ভাই মা’র কণ্ঠে র’য়ে,
নাই বিসর্জন যে জননীর, সেই মাকে মোরা চাই॥
রচনাকাল ও স্থান: গানটির
রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না।
বেতারজগৎ পত্রিকার '১৬ অক্টোবর ১৯৩৯' (বুধবার ১ কার্তিক ১৩৪৬) সংখ্যায়
কাজী নজরুল ইসলামের রচিত 'বিজয়া' নামক নাটিকাটি 'বিজয়া দশমী'
সঙ্গীতালেখ্য নামে
প্রচারিত হয়েছিল। এই সঙ্গীতালেখ্যে এই গানটি ছিল। এই
সময় নজরুলের বয়স ৪০ বৎসর ছিল ৪ মাস।
- বেতারজগৎ। ১০ম বর্ষ ২০শ সংখ্যা। বিজয়া দশমী [১৬ অক্টোবর ১৯৩৯' (বুধবার ১ কার্তিক ১৩৪৬) সংখ্যা] পৃষ্ঠা: ৭৯৫।
- The Indian Listener, Vol IV. No 20, 22 October, 1939, Page : 1439