বিষয়: নজরুল সঙ্গীত।
শিরোনাম: অন্তরে তুমি আছ
চিরদিন ওগো অন্তর্যামী
অন্তরে তুমি আছ চিরদিন ওগো অন্তর্যামী
বাহিরে বৃথাই যত খুঁজি তা-ই পাই না তোমারে আমি॥
প্রাণের মতন,
আত্মার সম
আমাতে আছ হে
অন্তরতম
মন্দির রচি' বিগ্রহ পূজি দেখে হাস তুমি স্বামী॥
সমীরণ সম, আলোর মতন বিশ্বে রয়েছ ছড়ায়ে
গন্ধ-কুসুমে সৌরভ সম প্রাণে-প্রাণে আছ জড়ায়ে।
তুমি বহুরূপী
তুমি রূপহীন
তব লীলা হেরি
অন্তবিহীন
তব লুকোচুরি খেলা সহচরী আমি যে দিবসযামী॥
- ভাবানুসন্ধান: পরমস্রষ্টা অন্তরে বিরাজ করেন অন্তর্যামী হয়ে। তাই
বাইরের জগতে তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায় না। স্রষ্টার খুঁজে পাওয়ার গভীর অনুভবই নানা
উপমায় এই গানে উপস্থাপন করেছেন কবি।
জীবদেহে জীবাত্মা তথা প্রাণের মতই পরমাত্মা বিরাজ করেন। তাই ভক্তের মন্দিরে
বিগ্রহ তথা প্রতীমা পূজা দেখে অন্তরর্যামীরূপী পরমাত্মা নিভৃত্বে হাসেন।
পরমাত্মা বিশ্ব-চরাচরে বাতাসের মতো, আলোর মতো ছড়িয়ে আছেন। আবার গন্ধ-কুসুমের
সাথে মিশে থাকা সৌরভের মতো তিনিই বিরাজ করেন জীবের অন্তরে। তিনি রূপহীন (বিমূর্ত)
হয়ে বহুরূপে বিরাজ করেন। এ সবই তাঁর অন্তহীন লীলা। এসব জেনেই কবি পরমস্রষ্টার
লুকোচুরি খেলার অংশভাগী হয়ে পরমানন্দে তাঁর সাথে কালাতিপাত করেন।
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না।
১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দে ১৮ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার, ১ আশ্বিন ১৩৪১ বঙ্গাব্দ),
এইচএমভি রেকর্ড কোম্পানির সাথে কয়েকটি গান প্রকাশের জন্য নজরুলের একটি চুক্তি হয়। এই
চুক্তিপত্রে এই গানটির উল্লেখ ছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৬ বৎসর ৪ মাস।
- গ্রন্থ:
- নজরুল গীতি, অখণ্ড
- প্রথম সংস্করণ [আব্দুল আজীজ আল-আমান সম্পাদিত। হরফ প্রকাশনী। ৬ আশ্বিন ১৩৮৫। ২৩ সেপ্টেম্বর
১৯৭৮]
- দ্বিতীয় সংস্করণ [আব্দুল আজীজ আল-আমান সম্পাদিত। হরফ প্রকাশনী। ১ শ্রাবণ ১৩৮৮। ১৭ জুলাই
১৯৮১]
- তৃতীয় সংস্করণ [ব্রহ্মমোহন ঠাকুর সম্পাদিত। হরফ প্রকাশনী। ৮ মাঘ ১৪১০। ২৩ জানুয়ারি ২০০৪। ভক্তিগীতি। ১১৮৮ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা
৩০৫]
- পরিবর্ধিত সংস্করণ [আব্দুল আজীজ আল-আমান সম্পাদিত। হরফ প্রকাশনী। বৈশাখ শ্রাবণ ১৪১৩। এপ্রিল-মে ২০০৬] ভৈরবী-গজল। ১১৩৩ সংখ্যাক গান। পৃষ্ঠা:
২১৬।
- নজরুল-সংগীত সংগ্রহ [রশিদুন্ নবী সম্পাদিত। কবি নজরুল ইন্সটিটিউট। তৃতীয় সংস্করণ দ্বিতীয় মুদ্রণ, আষাঢ় ১৪২৫। জুন ২০১৮। গান ৫০। পৃষ্ঠা
১৭]
- নজরুল-সঙ্গীত স্বরলিপি দ্বিতীয় খণ্ড। প্রথম প্রকাশ, দ্বিতীয় মুদ্রণ [কবি নজরুল ইন্সটিটিউট। পৌষ ১৪০২। ডিসেম্বর ১৯৯৫। ২৫ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা
১১৯-১২২]
-
সন্ধ্যা-মালতী।
- প্রথম সংস্করণ। মিত্র ও ঘোষ। কলিকতা (শ্রাবণ ১৩৭৭। আগস্ট-সেপ্টেম্বর,
১৯৭১)। গান ১২৭। পৃষ্ঠা: ৭১-৭২।
- নজরুল-রচনাবলী─সপ্তম খণ্ড [নজরুল জন্মশতবর্ষ সংস্করণ। বাংলা একাডেমী, ১১ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪১৫। ২৫শে মে, ২০০৮। ১০৮ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা
১৮২]
-
রেকর্ড:
-
এইচএমভির
সাথে চুক্তিপত্র। [১৮ সেপ্টেম্বর ১৯৩৫ (বুধবার, ১ আশ্বিন ১৩৪২)
-
এইচএমভি। ডিসেম্বর ১৯৩৫
(অগ্রহায়ণ-পৌষ ১৩৪২) এন ৭৪৪৩। শিল্পী: আঙুরবালা। সুর: নজরুল ইসলাম
এর জুড়ি গান: আমার বিফল পূজাঞ্জলি [তথ্য]
- স্বরলিপি ও স্বরলিপিকার:
সুধীন দাশ।
নজরুল-সঙ্গীত স্বরলিপি,
দ্বিতীয় খণ্ড। কবি নজরুল
ইন্সটিটিউট, ঢাকা।
ফাল্গুন ১৪১১। ফেব্রুয়ারি ২০০৫। ২৫ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা
১২০-১২২]
[নমুনা]
- সুরকার:
কাজী নজরুল ইসলাম
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: ভক্তি (সাধারণ)
- সুরাঙ্গ: স্বকীয় বৈশিষ্ট্য