বিষয়: নজরুল সঙ্গীত
শিরোনাম: ছি ছি ছি কিশোর হরি, হেরিয়া লাজে মরি 
	
		
ছি ছি ছি কিশোর হরি, হেরিয়া লাজে মরি
সেজেছ এ কোন রাজ সাজে
যেন সঙ্ সেজেছ, হরি হে যেন সঙ সেজেছ-
ফাগ মুছে তুমি পাপ বেঁধেছ হরি হে যেন সঙ্ সেজেছ;
সংসারে তুমি সঙ্ সাজায়ে নিজেই এবার সঙ্ সেজেছ।
বামে শোভিত তব মধুরা গোপিনী নব
সেথা মথুরার কুবুজা বিরাজে।
মিলেছে ভাল, বাঁকায় বাঁকায় মিলেছে ভাল,
ত্রিভঙ্গ অঙ্গে কুবুজা সঙ্গে বাঁকায় বাঁকায় মিলেছে ভাল।
হরি ভাল লাগিল না বুঝি হৃদয়-আসন
তাই সিংহাসনে তব মজিয়াছে মন
প্রেম ব্রজধাম ছেড়ে নেমে এলে কামরূপ
হরি, এতদিনে বুঝিলাম তোমার স্বরূপ
তব স্বরূপ বুঝি না হে
গোপাল রূপ ফেলে ভূপাল রূপ নিলে স্বরূপ বুঝি না হে।
হরি মোহন মুরলী কে হরি’ নিল
কুসুম কোমল হাতে এমন নিঠুর রাজদণ্ড দিল
মোহন মুরলী কে হরি।
দণ্ড দিল কে, রাধারে কাঁদালে বলে দণ্ড দিল কে
দণ্ডবৎ করি শুধাই শ্রীহরি দণ্ড দিল কে
রাঙা চরণ মুড়েছে কে সোনার জরিতে
খুলে রেখে মধুর নূপুর, হরি হে খুলে রেখে মধুর নূপুর।
হেথা সবাই কি কালা গো?
কারুর কি কান নাই নূপুর কি শোনে নাই, সবাই কি কালা গো
কালায় পেয়ে হল হেথায় সবাই কি কালা গো।
তব এ রূপ দেখিতে নারি, হরি আমি ব্রজনারী,
ফিরে চল তব মধুপুর
সেথা সকলি যে মধুময়, অন্তরে মধু বাহিরে মধু
সেথা সকলি যে মধুময়
			- ফিরে চল হরি মধুপুর।
		
	
	- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের
	সেপ্টেম্বর (ভাদ্র-আশ্বিন ১৩৪৭) মাসে, সেনোলা রেকর্ড কোম্পানি থেকে এই গানটির প্রথম রেকর্ডে  প্রকাশিত হয়েছিল।  
	এই সময় নজরুল ইসলামের বয়স ছিল ৪১ বৎসর ৩ মাস।
 
 
- 
 রেকর্ড: 
সেনোলা [সেপ্টেম্বর ১৯৪০ (ভাদ্র-আশ্বিন ১৩৪৭)] কি্উ,এস ৪৮৭। শিল্পী: নীলিমা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুর: নজরুল 
			ইসলাম। রেকর্ড: 
সেনোলা [সেপ্টেম্বর ১৯৪০ (ভাদ্র-আশ্বিন ১৩৪৭)] কি্উ,এস ৪৮৭। শিল্পী: নীলিমা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুর: নজরুল 
			ইসলাম।
 
 এর জুড়ি গান: শ্যামে হারায়েছি ব'লে [তথ্য]
 
- গ্রন্থ: নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ (নজরুল ইন্সটিটিউট, মাঘ ১৪১৭, ফেব্রুয়ারি ২০১১) নামক গ্রন্থের 
	৭১০ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ২১৬-২১৭। 
 
- স্বরলিপিকার ও স্বরলিপি:
	আহসান মুর্শেদ। 
	নজরুল সঙ্গীত স্বরলিপি (ঊনবিংশ খণ্ড)। 
	১৪ সংখ্যক গান] 
	[নমুনা]
- সুরকার: নজরুল ইসলাম
- পর্যায়:
	
		- বিষয়াঙ্গ: ভক্তি [হিন্দুধর্ম, বৈষ্ণব]
- সুরাঙ্গ: 
		কীর্তনাঙ্গ