বিষয়: নজরুল সঙ্গীত।
শিরোনাম: শ্যামে হারায়েছি বলে কাঁদি না বিশাখা হারায়েছি শ্যামের হৃদয়
তাল: ফের্তা
শ্যামে হারায়েছি বলে কাঁদি না বিশাখা হারায়েছি শ্যামের হৃদয়
আমি তারি তরে কাঁদি গো সেই নিদয়ের তরে নয়
তার হৃদয়ের তরে কাঁদি গো হারায়েছি শ্যামের হৃদয়।
যে হৃদয় ছিল একা গোপিকার রাধিকার কুবুজা করেছে তারে জয়, সখি গো
কুবুজা তারে কু বুঝায়েছে
যে রাধা ছাড়া জানত না সই কুবুজা তারে কু বুঝায়েছে
কুবুজা করেছে তারে জয়।
কি হবে মথুরা গিয়া, হেরি সে হৃদয়হীন পাষণ দেবতায়
সে কিছুই দেবে না, দেবতাই বটে গো সে দেবতাই বটে গো
পাষাণ খুঁজে না রাধা তার প্রিয় আনন্দঘন শ্যামরায়
তোরা যেতে চাস যা লো
-
ঠাকুর দেখিতে তোরা যেতে চাস যা লো, সখি গো
ধরম-করম মম তনু-মন-যৌবন সঁপিনু চরণে যার
সে পর-পুরুষ, হ’ল আজি অপরার পুরুষ স্বভাব ভ্রমরার।
সে ভ্রমরাই সমতুল ফুলে ফুলে ভ্রমে সে ভ্রমরাই সমতুল
তারে, দেখলে ভ্রমে জাতিকুল, ভ্রমরাই সমতুল পুরুষ স্বভাব ভ্রমরার
যা’র হরি ছাড়া বোধ নাই প্রবোধ দিস্নে তায়, সজনী
সবারই পোহাবে নিশি, পোহাবে না রাধারই এ আঁধার রজনী॥
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের
সেপ্টেম্বর (ভাদ্র-আশ্বিন ১৩৪৭) মাসে সেনোলা রেকর্ড কোম্পানি থেকে এই গানটির প্রথম রেকর্ডে প্রকাশিত হয়েছিল। সময় নজরুল ইসলামের বয়স ছিল ৪১ বৎসর
৩ মাস।
- রেকর্ড:
সেনোলা সেপ্টেম্বর ১৯৪০ (ভাদ্র-আশ্বিন ১৩৪৭) কি্উ.এস ৪৮৭। শিল্পী: নীলিমা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুর: নজরুল
ইসলাম।
- গ্রন্থ: নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ (নজরুল ইন্সটিটিউট, মাঘ ১৪১৭, ফেব্রুয়ারি ২০১১) নামক গ্রন্থের
৮৬৯ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ২৬৭-২৬৮।
- স্বরলিপি ও স্বরলিপিকার:
আহসান মুর্শেদ
[
নজরুল সঙ্গীত স্বরলিপি, ছাব্বিশ খণ্ড,নজরুল ইন্সটিটিউট, ঢাকা। আশ্বিন, ১৪১২ বঙ্গাব্দে
/সেপ্টেম্বর ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দ] ২২ সংখ্যক গান।
[নমুনা]
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: ভক্তি (হিন্দুধর্ম, বৈষ্ণব)