বিষয়: নজরুল সঙ্গীত।
শিরোনাম: রুম্ ঝুম্ বাদল আজি বরষে
রাগ: নট-মল্লার, তাল: ত্রিতাল
রুম্ ঝুম্ বাদল আজি বরষে
আকুল শিখি নাচে ঘন দরশে॥
বারির দরশনে আজি ক্ষণে ক্ষণে
নব নীরদ শ্যাম রূপে পড়ে মনে
না-জানি কোন্ দেশে কোন্ প্রিয়া সনে
রয়েছে ভুলিয়া নটবর সে॥
- ব্রহ্মমোহন ঠাকুর তাঁর 'নজরুল
সঙ্গীত নির্দেশিকা' গ্রন্থে- [পৃষ্ঠা: ৬৫৩] এই গানটির রচয়িতা নজরুল কিনা এ নিয়ে সংশয়
প্রকাশ করেছেন। তাঁর মতে-
'রেকর্ড বুলেটিন, রেকর্ড লেবেল, চুক্তিপত্র, রয়্যালিট রেজিস্টার্ড- কোন
সূত্র থেকেই রচয়িতা সম্পর্কে হদিশ পাওয়া যায় না। রেকর্ডের অপর পিঠের গান-
সেই কথারই জানাজানি'। এর রচয়িতা ধীরেন মুখোপাধ্যায়। এই জন্য
নজরুলের গান কী না, এ সম্পর্কে সংশয়ের অবকাশ রয়েছে। পাণ্ডুলিপি থেকে গানটি
পাওয়া কিনা, সে সম্পর্কে অখণ্ডে কোন নির্দেশ নাই।'
- ভাবার্থ: প্রেম ও প্রকৃতি পর্যায়ের এই গানে রয়েছে নিবিড় বর্ষায় সঙ্গহীনা
প্রেমিকার বিরহ যাতনা এবং প্রেমিকের প্রতি গভীর অভিমানের অভিব্যক্তি। দুটি তুকে
নিবদ্ধ খেয়ালালাঙ্গের এই গানে বর্ষা বা বিরহকাতরা প্রেমিকার অনুভব- কোনটিই যথাযথ
বিকশিত হয়ে ওঠে নি। নিতান্তই সুরের সঙ্গ হিসেবে বাণী এখান যেন বাহক মাত্র।
গানটির স্থায়ীতে রয়েছে নৃত্যের ছন্দে মুখরিত আনন্দঘন রুম ঝুম বর্ষার কথা, যেখানে নব
মেঘ-দর্শনে প্রেমানন্দে আকুলিত নৃত্যশীল ময়ূর। এই প্রেমঘন পরিবেশে কোন এক প্রেমিকা
গভীরভাবে অবেশিত হয়ে ওঠে। প্রেমিকের সঙ্গ-কামনায় অধীরা প্রেমিকা নবমেঘ দর্শনে কাতরা।
তার মনে পড়ে শ্যাম-রূপী দূরদেশের প্রেমিকের কথা। প্রেমিকার অভিমানী মনে সন্দেহ জেগে
ওঠে, ভাবে- হয়তো দূর প্রবাসে তার প্রবাসী প্রেমিককে নিবিড় সঙ্গসুখে মোহিত করে রেখেছে
কোনো এক অজানা প্রেমিকা। তাই শ্যামরূপী নটবর সেই প্রিয়ার কারণেই তাকে ভুলে রয়েছে।
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায়
না। ১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দের আগষ্ট (শ্রাবণ-ভাদ্র ১৩৩৯ বঙ্গাব্দ) মাসে, এইচএমভি
রেকর্ড কোম্পানি থেকে গানটির প্রথম রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স
ছিল ৩৩ বৎসর ২ মাস।
- রেকর্ড:
এইচএমভি [আগষ্ট ১৯৩২ (শ্রাবণ-ভাদ্র ১৩৩৯ বঙ্গাব্দ)। এন ৭০১৫। শিল্পী মিস্ কমলা ঝরিয়া।
- স্বরলিপি ও স্বরলিপিকার:
আহসান মুর্শেদ
[
নজরুল সঙ্গীত স্বরলিপি, ছাব্বিশ খণ্ড,নজরুল ইন্সটিটিউট, ঢাকা। আশ্বিন, ১৪১২ বঙ্গাব্দে
/সেপ্টেম্বর ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দ] ২১ সংখ্যক গান।
[নমুনা]
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: প্রেম ও প্রকৃতি