বিষয়: নজরুল সঙ্গীত
শিরোনাম: আর লুকাবি কোথা মা কালী
আর লুকাবি কোথা মা কালী
বিশ্ব-ভুবন আঁধার ক'রে তোর রূপে মা সব ডুবালি॥
সুখের গৃহ শ্মশান ক'রে বেড়াস্ মা তায় আগুন জ্বালি'
দুঃখ দেবার রূপে মা তোর ভুবন-ভরা রূপ দেখালি॥
পূজা ক'রে, পাইনি তোরে মা গো এবার চোখের জলে এলি
বুকের ব্যথায় আসন পাতা ব'স্ মা সেথা দুখ্-দুলালী॥
- রচনাকাল ও স্থান:
গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু
জানা যায় না। ১৯৩১ খ্রিষ্টাব্দের সেপ্টেম্বর (আশ্বিন ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ) মাসে প্রকাশিত
'চন্দ্রবিন্দু' সঙ্গীত-সংকলনে গানটি প্রথম অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময়
নজরুল ইসলামের বয়স ছিল ৩২ বৎসর ৪ মাস।
প্রাসঙ্গিক তথ্য:
- প্রতিভা সোম লিখেছেন,
নজরুল কীর্তন লিখতে শুরু করেছিলেন তাঁর পিসিমার অনুরোধে। প্রতিভা সোম ঢাকা থেকে
কলকাতায় এলে চুঁচুড়ায় তাঁর পিসেমশাইর বাড়িতে উঠতেন। তিনি স্থানীয় কলেজিয়েট
স্কুলের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। শ্যামা সঙ্গীত রচনা করতে শুরু করেছিলেন নজরুল
প্রখ্যাত গায়ক কৃষ্ণচন্দ্র দে'র অনুরোধে। ঐ মহৎ শিল্পীর অনুপ্রেরণায় নজরুল
সৃষ্টি করেছিলেন, আর লুকাবি কোথা মা কালী, কালো মেয়ের পায়ের
তলায় দেখে যা আলোর নাচন ; ইত্যাদি অপূর্ব শ্যামা সঙ্গীত।
[সূত্র: রফিকুল ইসলামঃ পঞ্চদশ অধ্যায়, শিল্পী জীবন, নজরুল-জীবন, পৃষ্ঠা-৪৫৯ ও
৪৬০।]
প্রতিভা সোমের (প্রতিভা বসু) পিসিমার অনুরোধে নজরুল কীর্তন লেখা শুরু করেছিলেন,
তেমনটা নয়। এ বিষয়ে প্রতিভা বসুর 'জীবনের জলছবি' গ্রন্থে [পৃষ্ঠা: ৪৭] যে
বর্ণনা দিয়েছেন- তা 'কেন প্রাণ ওঠে কাঁদিয়া [তথ্য]'
গানের সাথে যুক্ত করা হয়েছে।
- গ্রন্থ:
-
চন্দ্রবিন্দু
- প্রথম প্রকাশ: সেপ্টেম্বর ১৯৩১
(আশ্বিন ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ)
- নজরুল রচনাবলী, জন্মশতবর্ষ সংস্করণ, চতুর্থ খণ্ড [জ্যৈষ্ঠ ১৪১৮, মে ২০১১।
চন্দ্রবিন্দু। ৬। রামপ্রসাদী। পৃষ্ঠা: ১৬৬]
-
বনগীতি
- প্রথম সংস্করণ [১৩ অক্টোবর ১৩৩২ (রবিবার ২৭ আশ্বিন ১৩৩৯)।
বাগেশ্রী-একতালা। পৃষ্ঠা: ৭৮]
- নজরুল-রচনাবলী। জন্মশতবর্ষ সংস্করণ, পঞ্চম খণ্ড। বাংলা একাডেমী। ঢাকা। জ্যৈষ্ঠ ১৪১৮/মে ২০১১।
বনগীতি। ৫৩ সংখ্যক গান।
বাগেশ্রী-একতালা। পৃষ্ঠা ২০৯]
- পত্রিকা: ভারতবর্ষ। আশ্বিন ১৩৪০ (সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ১৯৩৩)। সুরকার:
ধীরেন্দ্রনাথ দাস। স্বরলিপিকার: প্রমথনাথ
বন্দ্যোপাধ্যায়।
[নমুনা]
- রেকর্ড: টুইন। জুন ১৯৩২ ((জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ় ১৩৩৯)। এফটি ২০৩১। শিল্পী:
মৃণালকান্তি ঘোষ
- সুরকার:
ধীরেন্দ্রনাথ দাস। উল্লেখ্য
নজরুল ইসলাম প্রথম এই গানটির সুর
করেছিলেন রামপ্রসাদী সুরে একতালাতে। পরে ধীরেন্দ্রনাথ দাসের সুরারোপিত গানটি
শোনেন। এই গানটির সুর বাগেশ্রী-একাতালাতে নিবদ্ধ। এই গান শোনার পর,
নজরুল ধীরেন্দ্রনাথের সুরকে গ্রহণ করেন। ভারতবর্ষ পত্রিকার আশ্বিন ১৩৪০ সংখ্যায়
ধীরেন্দ্রনাথ দাসের
সুরারোপিত এই গানের স্বরলিপি প্রকাশিত হয়েছিল। স্বরলিপিকার ছিলেন প্রমথনাথ
বন্দ্যোপাধ্যায়।
- স্বরলিপিকার ও স্বরলিপি:
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: ভক্তি (হিন্দুধর্ম, শাক্তসঙ্গীত, শ্যামাসঙ্গীত)
- সুরাঙ্গ: রামপ্রসাদী সুর