বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
শিরোনাম:
যে
তরণীখানি ভাসালে দুজনে আজি, হে নবীন সংসারী,
পাঠ
ও পাঠভেদ:
- গীতবিতান (বিশ্বভারতী,
কার্তিক ১৪১২)-এর
পাঠ:
আনুষ্ঠানিক
: ৮
যে তরণীখানি ভাসালে দুজনে আজি, হে নবীন সংসারী,
কাণ্ডারী
কোরো তাঁহারে তাহার যিনি এ ভবের কাণ্ডারী
॥
কালপারাবার যিনি চিরদিন করিছেন পার বিরামবিহীন
শুভযাত্রায় আজি তিনি দিন প্রসাদপবন সঞ্চারি॥
নিয়ো নিয়ো
চিরজীবনপাথেয়, ভরি নিয়ো তরী কল্যাণে।
সুখে দুখে
শোকে আঁধারে আলোকে যেয়ো অমৃতের সন্ধানে।
বাঁধা
নাহি থেকো আলসে আবেশে, ঝড়ে ঝঞ্ঝায় চলে যেয়ো হেসে,
তোমাদের প্রেম দিয়ো দেশে দেশে বিশ্বের মাঝে বিস্তারি॥
RBVBMS 426
(ii) [নমুনা]
পাঠভেদ:
সুখে
দুখে শোকে
:বিশ্বভারতী
(কার্তিক-পৌষ ১৩৬৩
বঙ্গাব্দ)
সুখে দুঃখে শোকে
:গীতবিতান (আশ্বিন ১৩৩৮)
তথ্যানুসন্ধান
-
ক. রচনাকাল ও স্থান:
প্রশান্তকুমার পাল তাঁর
রবিজীবনী (পঞ্চম খণ্ড, নভেম্বর ২০০৭) লিখেছেন যে, পাণ্ডুলিপি মজুমদার-পুঁথিতে
১০ মাঘ
১৩০৯ তারিখে জোড়াসাঁকোতে রচিত 'আমাদের এই পল্লীখানি পাহাড় দিয়ে ঘেরা' কবিতাটির
অব্যবহিত পরের দুটি পৃষ্ঠায় রয়েছে দুটি গান। গান দুটি হলো—
'দুজনে যেথায় মিলিছে
সেথায়' ও
'যে
তরণীখানি ভাসালে দুজনে আজি'। পাণ্ডুলিপির পরের পৃষ্ঠায় রয়েছে একটি কবিরাজী ঔষধের
উপকরণ। এর পরের পৃষ্ঠায় রয়েছে 'হে জনসমুদ্র আমি ভাবিতেছি মনে' কবিতাটি। প্রসঙ্গত
উল্লেখ্য, রবীন্দ্রনাথের ভ্রাতুষ্পুত্র সুরেন্দ্রনাথের বিবাহের ব্যাপারে অনেকদিন
ধরে কথাবার্তা চলছিল। তাঁর বিবাহ হয় ২১শে আষাঢ়। পাণ্ডুলিপিতে এই গান দুটির অবস্থান
এবং সুরেন্দ্রনাথের বিবাহের সূত্র ধরে অনুমান করা হয়, এই দুটি গান ২২শে জ্যৈষ্ঠের
পূর্বে রচিত। শান্তিদেব ঘোষ 'শারদীয়া দেশ' পত্রিকার (১৩৭৮ বঙ্গাব্দ), গান দুটির
রচনাকাল সম্পর্কে লিখেছেন যে, সুরেন ঠাকুরের আষাঢ় মাসের বিবাহের পূর্বে, সম্ভবত
জ্যৈষ্ঠ মাসে মাসে এই গানটি রচিত হয়েছিল। এই বিচারে বলা যায়, গানটি রবীন্দ্রনাথের
৪২ বৎসর ১ মাস বয়সের রচনা।
-
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
-
গ্রন্থ
- পত্রিকা
-
বিশ্বভারতী ভারতী
(কার্তিক-পৌষ
১৩৬৩ বঙ্গাব্দ) ।
ইন্দিরাদেবী
চৌধুরানী-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
-
রেকর্ডসূত্র: নাই।
- প্রকাশের
কালানুক্রম:
গীতবিতান-এর গানের শ্রেণিকরণের সময় রবীন্দ্রনাথ এই গানটি
'পূজা-পরিণয়' অংশে স্থান দিয়েছিলেন। রবীন্দ্রনাথ সম্পাদিত গীতবিতানের ভাদ্র
১৩৪৫ সংস্করণে এইভাবে গানটি প্রকাশিত হয়েছিল। গীতবিতানের
১৩৫৪
বঙ্গাব্দের সংস্করণের এই গানটিকে আনুষ্ঠানিক পর্যায়ে স্থানান্তরিত করা
হয়।
- গ.
সঙ্গীতবিষয়ক তথ্যাবলী:
- স্বরলিপি:
-
স্বরলিপিকার:
- সুর ও তাল:
-
স্ববিতান পঞ্চপঞ্চাশত্তম
খণ্ড (৫৫)
খণ্ডে (চৈত্র ১৪১৩)
গৃহীত গানটির স্বরলিপিতে
রাগ-তালের উল্লেখ নেই।
উক্ত স্বরলিপিটি ৩।৩।৩।৩
মাত্রা ছন্দে 'একতাল'
তালে নিবদ্ধ
[একতাল তালে নিবদ্ধ
রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
-
রাগ: বেহাগ। তাল: একতাল।
[রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা, সুধীর চন্দ,
প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬], পৃষ্ঠা ৭৬।
- রাগ :
বেহাগ। তাল: একতাল
।
[রাগরাগিণীর এলাকায়
রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি,
জুলাই ২০০১], পৃষ্ঠা ১৩১।
-
বিষয়াঙ্গ:
- সুরাঙ্গ:
- গ্রহস্বর:
মা ।