বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
শিরোনাম:
নাচ্ শ্যামা, তালে তালে
পাঠ
ও পাঠভেদ:
নাচ্ শ্যামা, তালে তালে॥
রুনু রুনু ঝুনু বাজিছে নূপুর, মৃদু মৃদু মধু উঠে গীতসুর,
বলয়ে বলয়ে বাজে ঝিনি ঝিনি, তালে তালে উঠে করতালিধ্বনি—
নাচ্ শ্যামা, নাচ্ তবে॥
নিরালয় তোর বনের মাঝে সেথা কি এমন নূপুর বাজে!
এমন মধুর গান? এমন মধুর তান?
কমলকরের করতালি হেন দেখিতে পেতিস কবে?—
নাচ্ শ্যামা, নাচ্ তবে॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: পাওয়া যায়নি।
পাঠভেদ: বহু পাঠান্তর আছে। বর্তমান গীতবিতানের পাঠ ‘রবিচ্ছায়া’ ও ‘গানের বহি’ থেকে পৃথক।
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান: ভগ্নহৃদয় প্রকাশিত হয়েছিল ১৮০৩ শকাব্দ (২৩ জুন ১৮৮১)। এই কাব্যটি 'শৈশবসঙ্গীত' গ্রন্থে স্থান পেয়েছে 'ভগ্নতরী' নামে। এর রচনাকাল সম্পর্কে প্রশান্তকুমার পাল তাঁর রবিজীবনী দ্বিতীয় খণ্ডে (আনন্দ পাবলিশার্স লিমিটেড, ১৩৯১ শ্রাবণ ২২। পৃষ্ঠা ৫৪) লিখেছেন- 'শান্তিনিকেতন-রবীন্দ্রভবনে সংরক্ষিত একটি পাণ্ডুলিপিতে [অভিজ্ঞান-সংখ্যা : ৯৩] দ্বিতীয় সর্গটির সূচনায় লিখিত আছে- 'S.S. Oxus/February/1880'। [নমুনা] উল্লেখ্য, Feb 1880-র শেষ দিকে তিনি Oxus ষ্টীমশিপে ফ্রান্সের Nice শহর থেকে ভারতাভিমুখে যাত্রা করেন। সুতরাং উপরোক্ত নির্দেশ থেকে বোঝা যায় দ্বিতীয় সর্গটি উক্ত জাহাজে ওই সময়ে লেখা। প্রথম সর্গটি বিলাত-প্রবাসকালেই রচিত হয়েছিল।' ভগ্নহৃদয়ের পাণ্ডুলিপির দ্বিতীয় স্বর্গটির দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় এই গানটি রয়েছে [নমুনা]। এই বিচারে এই গানটিকে রবীন্দ্রনাথের ১৮ বছর বয়সের রচনা হিসেবে বিবেচনা করা যায়।
রাগ: খাম্বাজ। তাল- একতাল। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬। পৃষ্ঠা: ৬২]