ক. রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সুনিরদিষ্টভাবে জানা যায় না।
১৩৩২ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ মাসে
প্রবাহিনী-তে অন্তর্ভুক্ত হয়ে গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। এই বিচারে
ধারণা করা হয়, গানটি এই বছরের অগ্রহায়ণ মাসের আগে রচিত। এই সময় রবীন্দ্রনাথের
বয়স ছিল ৬৪ বৎসর ৫-৬ মাস। [৬৪
বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
ভাঙাগান: শান্তিদেব ঘোষের মতে- এটি একটি ঠুংরি-ভাঙা গান।
তাঁর মতে- ১৯২০ খ্রীষ্টাব্দের পর গুরুদেব লক্ষ্ণৌ অঞ্চলের ঠুংরি ভাঙা
'সখি আঁধারে একেলা ঘরে', যাওয়া আসারই একি খেলা' এবং 'খেলার সাথী,
বিদায়দ্বার খোল' গান ক'টিই মাত্র রচনা করেছিলেন। মূল গান পণ্ডিত ভীমরাও
শাস্ত্রী ও শ্রীযুক্তা সহানা দেবীর মুখে শুনে গুরুদেব নিজের মতো বাংলা
কথা বসিয়েছিলেন।' [রবীন্দ্রনাথের গানে ঠুংরির প্রভাব। রবীন্দ্রসঙ্গীত
বিচিত্রা। শান্তিদেব ঘোষ]।
মূল গান : সখি, আওত আঁধেরী ঘটা। [সূত্র : রবীন্দ্রসঙ্গীতের ত্রিবেণী
সঙ্গম। ইন্দিরাদেবী চৌধুরাণী]
স্বরলিপিকার:স্বরবিতান দ্বিতীয়
খণ্ডের প্রথম সংস্করণে (আশ্বিন ১৩৪৩) এই গানটির স্বরলিপিটি ছিল
দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত।
১৩৫৯ সংস্করণে এই স্বরলিপিটি পরিবর্তন করা হয়েছে।
স্বরবিতান দ্বিতীয় খণ্ডের
সর্বশেষ সংস্করণ (অগ্রহায়ণ ১৩৭৭) এই স্বরলিপিটির অংশবিশেষ পরে পাঠান্তর
হিসেবে সুরভেদ ছন্দোভেদ পত্রে যুক্ত হয়েছে। [পৃষ্ঠা: ১৭১-১৭২] মূল স্বরলিপিটি
অনাদিকুমার দস্তিদারের সম্পাদিত।
[দিনেন্দ্রনাথ
ঠাকুর-কৃত রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
সুর ও তাল:
স্বরবিতান দ্বিতীয় (২) খণ্ডের (বিশ্বভারতী, মাঘ ১৪১২)
গৃহীত গানটির
স্বরলিপিতে রাগ-তালের নাম হিসেবে উল্লেখ রয়েছে যথাক্রমে খাম্বাজ
ও যৎ।