বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম: সখী, আঁধারে একেলা ঘরে মন মানে না
পাঠ ও পাঠভেদ:
- গীতবিতান (বিশ্বভারতী, কার্তিক ১৪১২)-এর পাঠ: প্রেম : ২৮১
সখী, আঁধারে একেলা ঘরে মন মানে না॥
কিসেরই পিয়াসে কোথা যে যাবে সে, পথ জানে না॥
ঝরোঝরো নীরে, নিবিড় তিমিরে, সজল সমীরে গো
যেন কার বাণী কভু কানে আনে-কভু আনে না॥
-
পাণ্ডুলিপির পাঠ:
-
পাঠভেদ:
-
তথ্যানুসন্ধান
-
ক. রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সুনিরদিষ্টভাবে জানা যায় না।
১৩৩২ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ মাসে
প্রবাহিনী -তে অন্তর্ভুক্ত হয়ে গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। এই বিচারে
ধারণা করা হয়, গানটি এই বছরের অগ্রহায়ণ মাসের আগে রচিত। এই সময় রবীন্দ্রনাথের
বয়স ছিল ৬৪ বৎসর ৫-৬ মাস।
[৬৪
বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
-
খ.প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
- গ্রন্থ:
- গীতবিতান
- অখণ্ড, তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, কার্তিক ১৪১২),
পর্যায়: ২৮১, উপবিভাগ:
প্রেম বৈচিত্র্য-২৫৪
[নমুনা]
- বর্ষামঙ্গল (শ্রাবণ ১৩৩২ বঙ্গাব্দ)।
- শাপমোচন
- (১৩৩৮ বঙ্গাব্দ)। কমলিকার গান।
- রবীন্দ্ররচনাবলী
দ্বাবিংশ (২২) খণ্ড (বিশ্বভারতী)। পৃষ্ঠা ৯৮।
-
প্রবাহিনী
(বিশ্বভারতী ১৩৩২)। ঋতুচক্র ৪৩। পৃষ্ঠা: ১৫২-১৫৩। [নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
-
স্বরবিতান দ্বিতীয় খণ্ডের (বিশ্বভারতী, মাঘ ১৪১২) ৫২ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা:
১৬৩-৬৪।
[নমুনা:
মূল স্বরলিপি,
সুরান্তর]
- রেকর্ডসূত্র:
- প্রকাশের কালানুক্রম:
- গ.সঙ্গীতবিষয়ক তথ্যাবলী:
- ভাঙাগান: শান্তিদেব ঘোষের মতে- এটি একটি ঠুংরি-ভাঙা গান।
তাঁর মতে- ১৯২০ খ্রীষ্টাব্দের পর গুরুদেব লক্ষ্ণৌ অঞ্চলের ঠুংরি ভাঙা
'সখি আঁধারে একেলা ঘরে', যাওয়া আসারই একি খেলা' এবং 'খেলার সাথী,
বিদায়দ্বার খোল' গান ক'টিই মাত্র রচনা করেছিলেন। মূল গান পণ্ডিত ভীমরাও
শাস্ত্রী ও শ্রীযুক্তা সহানা দেবীর মুখে শুনে গুরুদেব নিজের মতো বাংলা
কথা বসিয়েছিলেন।' [রবীন্দ্রনাথের গানে ঠুংরির প্রভাব। রবীন্দ্রসঙ্গীত
বিচিত্রা। শান্তিদেব ঘোষ]।
মূল গান : সখি, আওত আঁধেরী ঘটা। [সূত্র : রবীন্দ্রসঙ্গীতের ত্রিবেণী
সঙ্গম। ইন্দিরাদেবী চৌধুরাণী]
- স্বরলিপি:
[নমুনা:
মূল স্বরলিপি,
সুরান্তর]
-
স্বরলিপিকার: ব
স্বরবিতান দ্বিতীয় খণ্ডে প্রথম সংস্করণে (আশ্বিন ১৩৪৩) এই গানটির স্বরলিপিটি ছিল
দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত।
১৩৫৯ সংস্করণে এই স্বরলিপিটি পরিবর্তন করা হয়েছে।
স্বরবিতান দ্বিতীয় খণ্ডের
সর্বশেষ সংস্করণ (অগ্রহায়ণ ১৩৭৭) এই স্বরলিপিটির অংশবিশেষ পরে পাঠান্তর
হিসেবে সুরভেদ ছন্দোভেদ পত্রে যুক্ত হয়েছে। [পৃষ্ঠা: ১৭১-১৭২] মূল স্বরলিপিটি
অনাদিকুমার দস্তিদারের সম্পাদিত।
[দিনেন্দ্রনাথ
ঠাকুর-কৃত রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
সুর ও তাল:
-
স্বরবিতান দ্বিতীয় খণ্ডে (বিশ্বভারতী, মাঘ ১৪১২)
গৃহীত গানটির
স্বরলিপিতে রাগ-তালের নাম হিসেবে উল্লেখ রয়েছে যথাক্রমে খাম্বাজ
ও যৎ।
- রাগ : গারা। [রবীন্দ্রসঙ্গীতে রাগ-নির্ণয়। ভি.ভি. ওয়াঝলওয়ার।
রবীন্দ্রনাথের প্রেমের গান। সংগীত-শিক্ষায়তন। বৈশাখ ১৩৯০। পৃষ্ঠা : ৭১]
- >রাগ : খাম্বাজ-টপ্পা।
তাল : কাহারবা। [রবীন্দ্রসংগীত:
রাগ-সুর নির্দেশিকা, সুধীর চন্দ, প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬],
পৃষ্ঠা: ৮০।
-
রাগ: খাম্বাজ।
তাল: যৎ, কাহারবা, ঢালা। [রাগরাগিণীর এলাকায়
রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত
আকাদেমি, জুলাই ২০০১],
পৃষ্ঠা: ১৩৮।
গ্রহস্বর:
গা।
লয়:
বিলম্বিত। সাধারণত এই গানটি ঢালা সুরে গাওয়া হয়ে
থাকে।