বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
আমি চাহিতে এসেছি শুধু
একখানি মালা
পাঠ ও পাঠভেদ:
আমি চাহিতে এসেছি শুধু একখানি মালা
তব নব প্রভাতের নবীন-শিশির ঢালা॥
হেরো, শরমে-জড়িত কত-না গোলাপ কত-না গরবি করবী,
ওগো, কত-না কুসুম ফুটেছে তোমার মালঞ্চ করি আলা॥
ওগো, অমল শরত-শীতল-সমীর বহিছে তোমারি কেশে,
ওগো, কিশোর-অরুণ-কিরণ তোমার অধরে পড়েছে এসে।
তব অঞ্চল হতে বনপথে ফুল যেতেছে পড়িয়া এসে।
তব অঞ্চল হতে বনপথে ফুল যেতেছে পড়িয়া ঝরিয়া-
ওগো, অনেক কুন্দ অনেক শেফালি ভরেছে তোমার ডালা॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ:
Ms.290
426 (ii)
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান:
১৩০৪ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসের শুরুতে রবীন্দ্রনাথ শিলাইদহে যান। তারপর পাবনার
ইছামতী, যমুনা বরাল, বলেশ্বরী নদী ধরে সাজাদপুরের উদ্দেশ্যে পৌঁছান ৮ তারিখে।
৯ আশ্বিন সাজাদপুর থেকে পতিসরের দিকে যাত্রা করেন এবং পতিসরে ১০ আশ্বিনে
পৌঁছান। ১০ আশ্বিন পতিসরে পৌঁছানোর আগে
নাগর নদীতে নৌকায় বসে রবীন্দ্রনাথ এই গানটি রচনা করেন। এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স
ছিল ৩৬ বৎসর ৫ মাস বয়সের রচনা।
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি
গ্রন্থ:
প্রথম সংস্করণ (আদি ব্রাহ্মসমাজ প্রেস, বৈশাখ ১৩০৭ বঙ্গাব্দ )। প্রার্থী। কালাংড়া। পৃষ্ঠা: ৬২-৬৩] [নমুনা: প্রথমাংশ, শেষাংশ]
প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ [বিশ্বভারতী, ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ। ১৩০৭ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত 'কল্পনা' নামক কাব্যগ্রন্থ থেকে গৃহীত হয়েছিল। পৃষ্ঠা: ১৯২-১৯৩] [নমুনা: প্রথমাংশ, শেষাংশ]
দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর [প্রথম স্বরলিপি]
ইন্দিরাদেবী চৌধুরানী [দ্বিতীয় স্বরলিপি]
সুর ও তাল:
স্বরবিতান পঞ্চাশত্তম (৫০) খণ্ডে (চৈত্র ১৪১৩) গৃহীত স্বরলিপিতে গানটির রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি ৩।৩ মাত্রা ছন্দের 'দাদরা' তালে নিবদ্ধ।
রাগ : কালাংড়া। এর সুরান্তরও কালাংড়া রাগে এবং দাদরা তালে নিবদ্ধ। [রবীন্দ্রসঙ্গীতে রাগ-নির্ণয়। ভি.ভি. ওয়াঝলওয়ার। রবীন্দ্রনাথের প্রেমের গান। সংগীত-শিক্ষায়তন। বৈশাখ ১৩৯০। পৃষ্ঠা : ৭০]
রাগ: কালাংড়া। তাল: দাদরা। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬। পৃষ্ঠা: ৩২]
গ্রহস্বর : গা (উভয় স্বরলিপি)।
লয় : মধ্য।