বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা :
শিরোনাম:
এখনো গেল না
আঁধার
পাঠ ও পাঠভেদ:
এখনো গেল না আঁধার, এখনো রহিল বাধা।
এখনো মরণব্রত জীবনে হল না সাধা ॥
কবে যে দুঃখজ্বালা হবে রে বিজয়মালা,
ঝলিবে অরুণরাগে নিশীথরাতের কাঁদা ॥
এখনো নিজেরই ছায়া রচিছে কত যে মায়া।
এখনো কেন যে মিছে চাহিছে কেবলই পিছে,
চকিতে বিজলি-আলো চোখেতে লাগালো ধাঁদা ॥
তথ্যানুসন্ধান
ক.
রচনাকাল ও স্থান: এই গানটি রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু
জানা যায়। ১৩২৬
বঙ্গাব্দে রবীন্দ্রনাথ রাজা নাটককে অভিনয়যোগ্য করার উদ্যোগ
নেন এবং এই সূত্রে তিনি রচনা করেন অরূপরতন । এই গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়েছিল
১৩২৬ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে। এই গ্রন্থে
রবীন্দ্রনাথ এই গানটি-সহ মোট ৮টি নতুন গান যুক্ত করেছিলেন। সঙ্গত কারণেই ধারণা করা হয়,
এই গানগুলো তিনি রচনা করেছিলেন
১৩২৬ বঙ্গাব্দের মাঘের মাসের
আগে। এই সময়
রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৫৮ বৎসর।
[
রবীন্দ্রনাথের ৫৮ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রচিত গানের তালিকা]
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ:
দ্বিতীয় খণ্ড, প্রথম সংস্করণ [বিশ্বভারতী, আশ্বিন ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ। পৃষ্ঠা: ৫৯৪-৫৯৫] [নমুনা প্রথমাংশ, শেষাংশ]
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ [বিশ্বভারতী, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ। পর্যায়: পূজা, উপবিভাগ: বিরহ ২৪, পৃষ্ঠা: ৬৬] [নমুনা]
স্বরবিতান দ্বিচত্বারিংশ (৪২) খণ্ডের ৩৩ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ৯৮-৯৯। [নমুনা]
পত্রিকা:
রেকর্ডসূত্র: ১৯২৬ থেকে ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দের ভিতরে এইচএমভি রেকর্ড কোম্পানি কনক দাশের কণ্ঠে এই গানটির একটি রেকর্ড প্রকাশ করেছিল। রেকর্ড নম্বর P11601।
প্রকাশের কালানুক্রম:
শান্তিনিকেতন পত্রিকার 'ফাল্গুন ১৩২৬ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায় গানটি প্রথম
প্রকাশিত হয়েছিল। এরপর যে সকল গ্রন্থাদিতে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত
হয়েছিল, সেগুলো হলো- অরূপরতন (প্রথম সংস্করণ,
মাঘ ১৩২৬) ও
প্রবাসী 'আশ্বিন
১৩৩২ বঙ্গাব্দ',
গীতবিতান তৃতীয় খণ্ড, প্রথম সংস্করণ
(১৩৩৯ বঙ্গাব্দের আশ্বিন), অরূপরতন
(দ্বিতীয় সংস্করণ,
পুনর্লিখিত সংস্করণ,
কার্তিক ১৩৪২),
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ (মাঘ
১৩৪৮ বঙ্গাব্দ,
এই সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল
পূজা,
পর্যায়ের বিরহ' উপবিভাগের ২৪ সংখ্যক গান
হিসেবে),
অখণ্ড গীতবিতান (আশ্বিন
১৩৭১ বঙ্গাব্দ,
পূজা
পর্যায়ে ১৫১,
উপবিভাগ ২৪
সংখ্যক গান)।
গানটি একইভাবে অখণ্ড গীতাবিতানের তৃতীয় সংস্করণ
প্রকাশিত হয়েছিল পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে।
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
স্বরলিপি: [নমুনা]
স্বরলিপিকার:
সাহানাদেবী। [প্রবাসী (আশ্বিন ১৩৩২ বঙ্গাব্দ) থেকে স্বরবিতান-৪২-এ গানটির স্বরলিপি
গৃহীত হয়েছে]
সুর ও তাল:
স্বরবিতান দ্বিচত্বারিংশ (৪২) গৃহীত স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি ৪।৪।৪।৪ মাত্রা ছন্দে 'ত্রিতাল -এ নিবদ্ধ।
গ্রহস্বর-মা।