বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
আমি কারে ডাকি গো
পাঠ ও পাঠভেদ:
আমি কারে ডাকি গো,
আমার বাঁধন দাও গো টুটে।
আমি হাত বাড়িয়ে আছি,
আমায় লও কেড়ে লও লুটে ॥
তুমি ডাকো এমনি ডাকে
যেন লজ্জাভয় না থাকে,
যেন সব ফেলে যাই, সব ঠেলে যাই,
যাই ধেয়ে যাই ছুটে ॥
আমি স্বপন দিয়ে বাঁধা—
কেবল ঘুমের ঘোরের বাধা,
সে যে জড়িয়ে আছে প্রাণের কাছে
মুদিয়ে আঁখিপুটে।
ওগো, দিনের পরে দিন
আমার কোথায় হল লীন,
কেবল ভাষাহারা অশ্রুধারায়
পরান কেঁদে উঠে
॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ:
RBVBMS 244 [অচলায়তনের পাণ্ডুলিপি] [নমুনা: প্রথমাংশ, শেষাংশ]
পাঠভেদ:
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও
স্থান: গানটি প্রথম লেখা হয়েছিল 'অচলায়তন' নাটকের প্রথম দৃশ্যে, পঞ্চকের
গান হিসেবে। এই নাটকের প্রথম খসড়া পাণ্ডুলিপি
Ms.
125 -তে রচনার তারিখ উল্লেখ
আছে '১৫ই আষাঢ়/১৩১৮/শিলাইদহ'। এই বিচারে বলা যায়,
গানটি রবীন্দ্রনাথের ৫০ বৎসর ২ মাস বয়সের রচনা।
[৫০ বৎসর
অতিক্রান্ত বয়সে রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
ধর্ম্মসঙ্গীত [ইন্ডিয়ান পাবলিশিং হাউস, ১৩২১ বঙ্গাব্দ। পৃষ্ঠা: ৭] [নমুনা]
রেকর্ড সূত্র: পাওয়া যায় নি।
প্রকাশের
কালানুক্রম:
প্রবাসী পত্রিকার
'আশ্বিন ১৩১৮ বঙ্গাব্দ' গানটি
অচলায়তন
নাটকের
সাথে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। এই বছরেই গ্রন্থাকারে
অচলায়তন
নাটকটি
প্রকাশিত হয়েছিল। এরপর গানটি ১৩২১ বঙ্গাব্দে
প্রকাশিত
ধর্ম্মসঙ্গীত গ্রন্থে
স্থান পেয়েছিল।
এ
সকল গ্রন্থাদির পরে,
১৩৩৮ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত
গীতবিতান -এর
প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ
-এ
গানটি প্রথম অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
এরপর
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের মাঘ
মাসে। এই সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল
পূজা,
পর্যায়ের বিরহ উপবিভাগের ৪৩
সংখ্যক গান হিসেবে। ১৩৭১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত অখণ্ড
গীতবিতানের
পূজা
পর্যায়ের ১৭০ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত
হয়েছিল। গানটি একইভাবে অখণ্ড গীতাবিতানের
তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে।