বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
শিরোনাম:
প্রাণে গান নাই,
মিছে তাই ফিরিনু যে
পাঠ ও পাঠভেদ:
প্রাণে গান নাই, মিছে তাই ফিরিনু যে
বাঁশিতে সে গান খুঁজে।
প্রেমেরে বিদায় ক’রে দেশান্তরে
বেলা যায় কারে পূজে ॥
বনে তোর লাগাস আগুন, তবে ফাগুন কিসের তরে—
বৃথা তোর ভস্ম-’পরে মরিস যুঝে ॥
ওরে, তোর নিবিয়ে দিয়ে ঘরের বাতি
কী লাগি ফিরিস পথে দিবারাত—
যে আলো শতধারায় আঁখিতারায় পড়ে ঝ’রে
তাহারে কে পায় ওরে নয়ন বুজে ?।
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান: RBVBMS 229 পাণ্ডুলিপিতে গানটি রচনার তারিখ ও স্থান উল্লেখ আছে '২৬ চৈত্র/কলিকাতা'।
৫২ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সের শেষের দিকে গানটি রচনা করেছিলেন ।
উল্লেখ্য, ২৭ চৈত্র (১৩২০) দুপুর আড়াইটায় বঙ্গীয় সাহিত্য সম্মিলনের অধিবেশন কলকাতায় অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ এই গানটি রচনা করেন। প্রশান্তকুমার পাল তাঁর রবিজীবনী ষষ্ঠ খণ্ডে (পৃষ্ঠা : ৪৭৭) এই গানটির প্রেক্ষাপট সম্পর্কে যে তথ্য দিয়েছেন,তা হলো- “বঙ্গীয় সাহিত্য সম্মিলনের অধিবেশন এবার আহুত হয়েছিল কলকাতায়, মূল সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর। রবীন্দ্রনাথ এই উপলক্ষে কলকাতায় আসেন জ্যেষ্ঠ্য ভ্রাতার সঙ্গী হয়ে। এখানেও তিনি ৩টি গান লেখেন ...”।
এই গান তিনটি হলো-
প্রাণে
গান নাই,
মিছে তাই ফিরিনু যে
কেন
তোমরা আমায় ডাকো, আমার মন না মানে [পূজা-১৮] [তথ্য]
সে দিনে
আপদ আমার যাবে কেটে [পূজা-৪৯] [তথ্য]
[সূত্র: রবিজীবনী ষষ্ঠ খণ্ড। প্রশান্তকুমার পালের (ফেব্রুয়ারি ২০০৮)
পৃষ্ঠা ৪৭৭।]
[রবীন্দ্রনাথের
৫২ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রচিত গানের তালিকা]
রবীন্দ্ররচনাবলী একাদশ খণ্ড (বিশ্বভারতী)। পৃষ্ঠা ২০০।
গীতলেখা ৩য় ভাগ [১৩২৭ বঙ্গাব্দ। দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল]
পত্রিকা:
আনন্দসঙ্গীত
(মাঘ-চৈত্র ১৩২৪ বঙ্গাব্দ)। দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
প্রকাশের কালানুক্রম: ১৩২১ বঙ্গাব্দে ইন্ডিয়ান প্রেস থেকে প্রকাশিত হয়েছিল 'গীতিমাল্য' নামক গ্রন্থ। এই গ্রন্থের ৯৩ সংখ্যক গান হিসেবে এই গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। ১৩২৩ বঙ্গাব্দে ইন্ডিয়ান প্রেস থেকে প্রকাশিত 'কাব্যগ্রন্থ'-এর নবম খণ্ড