বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
ভোরের বেলায় কখন এসে পরশ করে গেছ হেসে
পাঠ ও পাঠভেদ:
ভোরের বেলায় কখন এসে পরশ করে গেছ হেসে ॥
আমার ঘুমের দুয়ার ঠেলে কে সেই খবর দিল মেলে-
জেগে দেখি আমার আঁখি আঁখির জলে গেছে ভেসে ॥
মনে হল আকাশ যেন কইল কথা কানে কানে।
মনে হল সকল দেহ পূর্ণ হল গানে গানে।
হৃদয় যেন শিশিরনত ফুটল পূজার ফুলের মতো-
জীবননদী কূল ছাপিয়ে ছড়িয়ে গেল অসীমদেশে ॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: RBVBMS 229 [নমুনা]
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান: RBVBMS 229 পাণ্ডুলিপিতে গানটির রচনাকাল হিসেবে উল্লেখ আছে- 'Cheyne Walk/৯ভাদ্র'। উল্লেখ্য, ১৩২০ বঙ্গাব্দে রবীন্দ্রনাথ ইউরোপ ভ্রমণে এসে, ভাদ্র মাসের কিছুদিন ইংল্যান্ডে কাটান। এই সময় ৮ থেকে ১১ই ভাদ্রের ভিতরে তিনি এই গানটি-সহ মোট ৭টি গান রচনা করেছিলেন। তিনি লণ্ডনের 16, More's Garden Cheyne Walk অবস্থানকালে এই গানটি রচনা করেছিলেন ভাদ্র মাসের ৯ তারিখ। এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৫২ বৎসর ৪ মাস।
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ
কাব্যগ্রন্থ নবম খণ্ড [ইন্ডিয়ান প্রেস, ১৩২৩ বঙ্গাব্দ। গীতিমাল্য ৩৫। পৃষ্ঠা ৩২৭] ] [নমুনা]
অখণ্ড গীতবিতান, তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দ)। পর্যায়: পূজা ২৬৭। উপবিভাগ: জাগরণ ৪]
স্বরবিতান ঊনচত্বারিংশ (৩৯) খণ্ডের ২২ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ৬১-৬২। [নমুনা]
পত্রিকা:
তত্ত্ববোধিনী
রেকর্ডসূত্র: ১৯১৬ থেকে ১৯২৫
খ্রিষ্টাব্দের ভিতরে গ্রামোফোন রেকর্ড কোম্পানি গানটির একটি রেকর্ড প্রকাশ
করেছিল। শিল্পী ছিলেন জিতেন্দ্রনাথ দাস। রেকর্ড নম্বর
P 4728।
প্রকাশের কালানুক্রম: ১৩২০ বঙ্গাব্দের ১১ই মাঘ (শনি, জানুয়ারি, ১৯১৪ খ্রিষ্টাব্দ) তারিখে আদি ব্রাহ্মসমাজের চতুরশীতিতম সাংবৎসরিক ব্রহ্মোৎসবের প্রাতঃকালীন অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়- আদি ব্রাহ্মসমাজ মন্দিরে। উক্ত অনুষ্ঠানে এই গানটি গীত হয়েছিল। এই সূত্রে গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার 'ফাল্গুন ১৩২০ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায় এবং প্রবাসী পত্রিকার 'চৈত্র ১৩২০ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায়। ১৩২১ বঙ্গাব্দের আষাঢ় মাসে প্রকাশিত গীতিমাল্য-এর প্রথম সংস্করণে গানটি ৩৫ সংখ্যক গান হিসেবে স্থান পেয়েছিল। প্রবাসী পত্রিকার 'আশ্বিন ১৩২১ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায় দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল। এই স্বরলিপিটি পুনরায় মুদ্রিত হয়েছিল- তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার 'ভাদ্র ১৩২১ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায়। আর ১৩২৩ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ নবম খণ্ডের গীতিমাল্য অংশের অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল।
এসকল গ্রন্থাদির পরে,
১৩৩৮
বঙ্গাব্দে প্রকাশিত
গীতবিতান -এর
দ্বিতীয় খণ্ড, প্রথম সংস্করণে গানটি
গীতিমাল্য থেকে গৃহীত হয়েছিল।
১৩৪৮ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে প্রকাশিত হয়েছিল
গীতবিতানের
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ।
এই সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল
পূজা,
পর্যায়ের
জাগরণ
উপবিভাগের চতুর্থ গান হিসেবে।
১৩৭১ বঙ্গাব্দের
আশ্বিন মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের
পূজা
পর্যায়ের ২৬৭ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
গানটি
একইভাবে অখণ্ড গীতাবিতানের তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশিত
হয়েছিল পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে।
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
স্বরলিপিকার: দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর। [স্বরলিপিটি গীতলেখা ১ম ভাগ থেকে স্বরবিতান-৩৯-তে গৃহীত হয়েছে ]
সুর ও তাল:
স্বরবিতান-৩৯-তে গানটির স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি ৪।৪।৪।৪ মাত্রা ছন্দে 'ত্রিতাল' -এ নিবদ্ধ।
রাগ: আশাবরী-ভৈরবী। তাল: ত্রিতাল [রবীন্দ্রসংগীত : রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। (প্যাপিরাস, ডিসেম্বর, ২০০৬)] । পৃষ্ঠা: ৭১।
রাগ: ভৈরবী তাল: কাহারবা। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, জুলাই ২০০১], পৃষ্ঠা: ১২৪।]
গ্রহস্বর-রা।
লয়-মধ্য।