বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত। 
গান সংখ্যা : 
শিরোনাম: 
      আনন্দগান উঠুক তবে বাজি
                   
      
      আনন্দগান উঠুক তবে বাজি
                        
      
      এবার আমার ব্যথার বাঁশিতে।
                   
      
      অশ্রুজলের ঢেউয়ের 
      'পরে 
      আজি
                         
      পারের তরী থাকুক 
      ভাসিতে 
      ॥
      যাবার 
      হাওয়া ওই-যে উঠেছে,
      
      ওগো,
      
      ওই-যে উঠেছে,
      
      সারারাত্রি চক্ষে আমার ঘুম যে ছুটেছে।
      
      হৃদয় আমার উঠেছে দুলে দুলে
              অকূল জলের অট্টহাসিতে-
      কে গো তুমি দাও দেখি তান তুলে
             এবার আমার ব্যথার বাঁশিতে 
      ॥
      
      হে অজানা,
      
      অজানা সুর নব
             বাজাও আমার ব্যথার বাঁশিতে,
      
      হঠাৎ 
      এবার উজান হাওয়ায় তব
      
             পারের তরী থাক্-না ভাসিতে।
      
      কোনো কালে হয় নি যারে দেখা,
      
      ওগো,
      
      তারি বিরহে
      এমন করে ডাক দিয়েছে- ঘরে কে রহে!
      বাসার আশা গিয়েছে মোর ঘুরে,
      
             ঝাঁপ দিয়েছি আকাশরাশিতে
      পাগল,
      
      তোমার সৃষ্টিছাড়া সুরে
             তান দিয়ো মোর ব্যথার বাঁশিতে 
      ॥          
           
স্বরলিপিকার: অনাদিকুমার দস্তিদার। পাণ্ডুলিপি থেকে স্বরবিতান-৫৬-তে গৃহীত হয়েছে।
সুর ও তাল:
স্বরবিতান-৫৬-তে গৃহীত গানটির স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিতে ছন্দোবিভাজন দেখানো হয়েছে, ৩।৩ ছন্দ। অর্থাৎ গানটি 'দাদরা' তালে নিবদ্ধ।
রাগ: বাহার-খাম্বাজ। তাল: দাদরা। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬। পৃষ্ঠা: ২৭]
রাগ: খাম্বাজ। তাল: দাদরা। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ৫২।]
গ্রহস্বর: র্রা।
লয়: মধ্য।