বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত। 
শিরোনাম: 
আমি সংসারে মন দিয়েছিনু, তুমি আপনি সে মন 
নিয়েছ।
পাঠ ও পাঠভেদ:
	- গীতবিতান (বিশ্বভারতী, কার্তিক 
	১৪১২)-এর পাঠ: 
পূজা:
	৩৩৩।  উপ-বিভাগ 
: আনন্দ-২৫। 
	পূজা প্রার্থনা ৬৪ সংখ্যক গান। 
	আখর যুক্ত। 
	
		
আমি সংসারে মন দিয়েছিনু, তুমি আপনি সে মন 
নিয়েছ।
আমি সুখ ব'লে দুখ চেয়েছিনু, 
তুমি দুখ ব’লে সুখ দিয়েছ ॥
হৃদয় যাহার শতখানে ছিল শত 
স্বার্থের সাধনে
তাহারে কেমনে কুড়ায়ে আনিলে, 
বাঁধিলে ভক্তিবাঁধনে ॥
সুখ সুখ করে দ্বারে মোরে 
কত দিকে কত খোঁজালে,
তুমি যে আমার কত আপনার এবার 
সে কথা বোঝালে-
করুণা তোমার কোন্ পথ দিয়ে 
কোথা নিয়ে যায় কাহারে-
       সহসা দেখিনু নয়ন 
মেলিয়ে,
              এনেছ তোমারি 
দুয়ারে ॥
		
	
	- পাণ্ডুলিপির 
	পাঠ: 
	রবীন্দ্রনাথের পাণ্ডুলিপি পাওয়া যায় 
	নি। 
- 
তথ্যানুসন্ধান
		- 
ক. রচনাকাল ও স্থান: 
		৩০৬ 
বঙ্গাব্দের ১১ মাঘ  [বুধবার
, 
২৪ 
জানুয়ারি 
	১৯০০ খ্রিষ্টাব্দ] তারিখে, 
		
	সপ্ততিতম 
সাংবৎসরিক মাঘোৎসবের 
		
		অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই উৎসবে সকাল ও 
		সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত উপাসনায় রবীন্দ্রনাথের রচিত মোট ২৩টি গান পরিবেশিত 
		হয়েছিল। এর ভিতরে 'মহাবিশ্বে মহাকাশে মহাকালে' গানটি পূর্বে রচিত। বাকি 
		২২টি গান এই উৎসব উপলক্ষে রচিত। এর ভিতরে এই গানটি সান্ধ্যাকালীন অধিবেশনে 
		পরিবেশিত হয়েছিল। এই সময়ে রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৩৮ বৎসর ৮-৯ মাস।
 [রবীন্দ্রনাথের 
৩৮ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রচিত গানের তালিকা]
 
 
- 
খ. 	প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
	- 
	গ্রন্থ:
	
		- 
		
		কল্পনা 
	
		- 
		প্রথম সংস্করণ
	[আদি ব্রাহ্মসমাজ যন্ত্র, বৈশাখ ১৩০৭ বঙ্গাব্দ। শিরোনাম-পূর্ণকাম। কীর্তনের সুর। পৃষ্ঠা ১১৩]
	[নমুনা
- রবীন্দ্ররচনাবলী সপ্তম খণ্ড [বিশ্বভারতী। কল্পনা। শিরোনাম-পূর্ণকাম। 
		কীর্তনের সুর। পৃষ্ঠা ২০১] 
 
- 
		কাব্যগ্রন্থ
- গান 
		
		
		
 
- 
	পত্রিকা: 
	 
	- 
	তত্ত্ববোধিনী (ফাল্গুন ১৩০৬ 
	বঙ্গাব্দ)। কীর্তন। পৃষ্ঠা ১৮৮-৮৯। 
	[নমুনা]
 
- 
	রেকর্ড সূত্র
	- ১৯০৮ 
	থেকে ১৯১২ খ্রিষ্টাব্দের ভিতরে 
	অডিঅন রেকর্ড কোম্পানি এই গানের একটি রেকর্ড প্রকাশ করেছিল। শিল্পী ছিলেন 
	জে.এন. বোস। রেকর্ড নম্বর ৯৪১২৪।
- 
১৯২৬
	খ্রিষ্টাব্দে বেলেঘাটায় 
	গ্রামোফোন কোম্পানির স্টুডিওতে রবীন্দ্রনাথ স্বকণ্ঠে এই গানটি-সহ ২৫টি কবিতা, 
	আবৃত্তি পরিবেশন করেছিলেন। এই গানটির রেকর্ড নম্বর ছিল-
	
	BD 1237/P 8367।
	
 
 
- 
	
	প্রকাশের কালানুক্রম : 
				
	১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ই মাঘ
	সপ্ততিতম 
সাংবাৎসরিক মাঘোৎসবের 
সায়ংকালীন 
		উপাসনায় গানটি পরিবেশিত হয়। 
	এই সূত্রে 
	 
			তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার 'ফাল্গুন ১৩০৬ বঙ্গাব্দ' 
	সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল। এরপর যে সকল গ্রন্থাদিতে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল, 
	সে গুলো হলো- 
	
	
		কল্পনা প্রথম সংস্করণ (১৩০৭ বঙ্গাব্দ), 
		গান
		
		প্রথম সংস্করণ 
		( ৩১৫ বঙ্গাব্দ),
			
		
		গান
		
		দ্বিতীয় সংস্করণ 
		(১৩১৬ বঙ্গাব্দ) ও 
	
	
	ধর্ম্মসঙ্গীত (১৩২১ বঙ্গাব্দ)।
 এ সকল 
		গ্রন্থাদির পরে 
১৩৩৮ বঙ্গাব্দে গানটি
			
			গীতবিতান 
						-এর
						প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল।
১৩৪৮ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে প্রকাশিত
			
			গীতবিতান 
						-এর
						প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল পূজা পর্যায়ের 
		উপবিভাগ 
আনন্দ-এর
						২৫
		সংখ্যক গান হিসেবে। ১৩৭১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের
			পূজা 
		পর্যায়ের ৩৩৩।
 
 
- 
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
- 
স্বরলিপিকার: 
গ্রামোফোন রেকর্ডে কবি-কৃত গানটির স্বরলিপি করেছেন প্রফুল্লকুমার দাস। গানটি 
পরিমার্জিত করেন শৈলজারঞ্জন মজুমদার। 
- 
সুর ও তাল: 
 
- 
কীর্তন।  তাল:
একতাল।  [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬।
পৃষ্ঠা: 
	৩৩]
 
- 
কীর্তন।
			তাল: একতাল
				[রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, জুলাই 
				২০০১। পৃষ্ঠা:
				৬২]
 
 
- 
বিষয়াঙ্গ: 
ব্রহ্মসঙ্গীত
- 
সুরাঙ্গ: কীর্তনাঙ্গ
- 
গ্রহস্বর: র্স। 
- 
লয়: মধ্য।