বৎসর অতিক্রান্ত বয়স

২৫ বৈশাখ ১৩০৬ বঙ্গাব্দ থেকে ২৪ বৈশাখ ১৩০৭ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত (৭ মে ১৮৯৯- ৬ মে ১৯০০ খ্রিষ্টাব্দ)


১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ মাঘ  [বুধবার, ২৪ জানুয়ারি ১৯০০ খ্রিষ্টাব্দ] তারিখে, সপ্ততিতম (৭০) সাংবৎসরিক মাঘোৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

এই বছরের শুরুর দিকে জ্যৈষ্ঠ মাসের শুরুর দিকে রবীন্দ্রনাথ সম্ভবত শিলাইদহে, তাঁর জন্মদিন উপলক্ষে একাটি গান রচনা করেছিলেন। গানটি হলো-

এই উৎসবে সকাল ও সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত উপাসনায় রবীন্দ্রনাথের রচিত মোট ২৩টি গান পরিবেশিত হয়েছিল। এর ভিতরে 'মহাবিশ্বে মহাকাশে মহাকালে' গানটি পূর্বে রচিত। বাকি ২২টি গানের ভিতরে ৬টি গান সকালের অধিবেশনে আদি ব্রাহ্মসমাজ গৃহে এবং বাকি ১৬টি গান সন্ধ্যার উপাসনায়, মহর্ষিভবনে পরিবেশিত হয়েছিল । এই গানগুলি হলো

আদি ব্রাহ্মসমাজ গৃহে অনুষ্ঠিত সকালের অধিবেশনের ৬টি গান

১. তোমারি নামে নয়ন মেলিনু [পূজা-৫০৫] [তথ্য]
২. আজি শুভ শুভ্র প্রাতে কিবা শোভা দেখালে [পূজা-৪৬৭] [তথ্য]
৩. রক্ষা করো হে [পূজা ও প্রার্থনা-৬০] [তথ্য]
৪. সদা থাকো আনন্দে, সংসারে নির্ভয়ে নির্মলপ্রাণে [পূজা-৩২৩] [তথ্য]
৫. জানি হে যবে প্রভাত হবে তোমার কৃপা-তরণী[পূজা-২৯৯] [তথ্য]
৬. আজি প্রণমি তোমারে চলিব নাথ [পূজা-৪৯৫] [তথ্য]
মহর্ষিভবনে অনুষ্ঠিত সন্ধ্যাবেলার অধিবেশনের ১৬টি গান।
১. দিনের বিচার করো [আনুষ্ঠানিক-২০] [তথ্য]
২. তোমারি গেহে পালিছ স্নেহে [পূজা-৫০০] [তথ্য]
৩. হৃদিমন্দিরদ্বারে বাজে সুমঙ্গল শঙ্খ [পূজা-৩০৬] [তথ্য]
৪. আজি এ ভারত লজ্জিত হে [স্বদেশ-৩৮] [তথ্য]
৫. তোমারি সেবক করো হে [পূজা-১১৯] [তথ্য]
৬. সুখহীন নিশিদিন পরাধীন হয়ে ভ্রমিছ দীনপ্রাণ [পূজা-৪৩৯] [তথ্য]
৭. দিন যায় রে দিন যায় বিষাদ [পূজা-৪৪২] [তথ্য]
৮. প্রভু, খেলেছি অনেক খেলা [পূজা ও প্রার্থনা -৬২] [তথ্য]
৯. কে জানিত তুমি ডাকিবে আমার [পূজা-৪৯৭,পূজা ও প্রার্থনা-৬৫] [তথ্য]
১০. বাণী তব ধায় অনন্ত গগনে লোকে লোকে [পূজা-৪৬৯] [তথ্য]
১১. কেমনে রাখিবি তোরা তাঁরে লুকায়ে [পূজা-৫০৯] [তথ্য]
১২. ভুবন হইতে ভুবনবাসী এসো আপন হৃদয়ে [পূজা-২৫৭] [তথ্য]
১৩. ভয় হতে তব অভয়মাঝে [পূজা-১২৪] [তথ্য] [জ্যৈষ্ঠ মাসে রচিত]
১৪. ইচ্ছা যবে হবে লইয়ো পারে [পূজা-৪৪৮ ] [তথ্য]
১৫. প্রেমানন্দে রাখো পূর্ণ আমারে দিবসরাত [পূজা-৩৯৩] [তথ্য]
১৬. আমি সংসারে মন দিয়েছিনু [পূজা-৩৩৩], [পূজা ও প্রার্থনা-৬৪] [তথ্য]

১৩০৬ বঙ্গাব্দের  বৈশাখ মাসে রবীন্দ্রনাথের প্রকাশিত কল্পনা  নামক কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়। এই গ্রন্থে কবিতাটির শিরোনাম ভগ্নহৃদয়কল্পনায় গৃহীত এই কবিতার সাথে রচনাকালের উল্লেখ নেই। ধারণা করা হয়, এই কবিতাটি ১৩০৬ বঙ্গাব্দের শেষে রচিত হয়েছিল। এই কবিতাটিকে তিনি গানে পরিণত করেছিলেন কবে, তা জানা যায় না। গীতবিতানের সূচিতে এই গানের রাগ-তাল সম্পর্‌কে উল্লেখ আছে পূরবী-একতালা। গানটি হলো
            ভাঙা দেউলের দেবতা।
১৩০৬ বঙ্গাব্দের শেষে বা ১৩০৭ বঙ্গাব্দের ২ জ্যৈষ্ঠ-এর ভিতর রবীন্দ্রনাথ রচনা করেছিলেন আরও একটি গান রচনা করেছিলেন। গানটী হলো
            কমলবনের মধুপরাজি এসো হে কমলভবনে

১৩০৭ বঙ্গাব্দের বৈশাখ মাসে ভারতী'র যে সংখ্যাটি প্রকাশিত হয়েছিল, তাতে রবীন্দ্রনাথের চিরকুমার-সভা নামক নাটকের প্রথম পরিচ্ছদ প্রকাশিত হয়। এতে মোট ৬টি গান ছিল। ধারণা করা হয়, এই গানগুলো ১৩০৬ বঙ্গাব্দের শেষে রচিত হয়েছিল। এই গানগুলো হলো
            কী জানি কী ভেবেছ মনে
            পাছে চেয়ে বসে আমার মন
            বড়ো থাকি কাছাকাছি
            ওগো হৃদয়বনের শিকারী
            আমি কেবল ফুল জোগাব

১৩০৭ বঙ্গাব্দের জ্যৈষ্ঠ সংখ্যায়  চিরকুমার-সভা 'র দ্বিতীয় পরিচ্ছদ প্রকাশিত হয়। ধারণা করা হয়, এই পরিচ্ছদটি রচনা করেছিলেন, বৈশাখ মাসে। রবীন্দ্রনাথের জন্ম তারিখ ২৫ বৈশাখ, তাই এই পরিচ্ছেদের অধিকাংশই হ্য়তো পত্রিকার জন্য বৈশাখ মাসের প্রথমার্থেই রচনা করেছিলেন। এই বিচারে এই পরিচ্ছেদে গৃহীত গানগুলোকে রবীন্দ্রনাথের ৩৮ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সের সাথেই যুক্ত করা হলো। দ্বিতীয় পরিচ্ছদের গানগুলো হলো
            দেখব কে তোর কাছে আসে
            তুমি আমায় করবে মস্ত লোক
            অভয় দাও তো বলি
            কতকাল রবে ভারত রে
            চির পুরানো চাঁদ
            নীল নবঘনে আষাঢ় গগনে
            হৃদয় আমার নাচে রে