বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
কোলাহল
তো বারণ হল,
এবার কথা কানে
কানে
পাঠ ও পাঠভেদ:
-
গীতবিতান অখণ্ড (বিশ্বভারতী, কার্তিক ১৪১২ )-এর পাঠ:
কোলাহল
তো বারণ হল,
এবার কথা কানে
কানে।
এখন হবে প্রাণের আলাপ কেবলমাত্র গানে গানে
॥
রাজার পথে লোক
ছুটেছে,
বেচা-কেনার হাঁক উঠেছে,
আমার ছুটি অবেলাতেই দিন-দুপুরের মধ্যখানে-
কাজের মাঝে ডাক পড়েছে কেন যে তা কেই-বা জানে
॥
মোর কাননে অকালে ফুল উঠুক তবে মুঞ্জরিয়া।
মধ্যদিনের মৌমাছিরা বেড়াক মৃদু গুঞ্জরিয়া।
মন্দভালোর
দ্বন্দ্বে খেটে গেছে তো দিন অনেক কেটে,
অলস বেলার খেলার সাথি এবার আমার হৃদয় টানে-
বিনা কাজের ডাক পড়েছে
কেন যে তা কেই-বা জানে
॥
-
পাণ্ডুলিপির পাঠ:
RBVBMS 229
[নমুনা]- পাঠভেদ:
- তথ্যানুসন্ধান
- ক. রচনাকাল ও স্থান:
RBVBMS 229
পাণ্ডুলিপিতে গানটির
রচনাকাল ও রচনার স্থান উল্লেখ আছে-
'১৮ চৈত্র
১৩১৮/ শিলাইদহ'। এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৫০ বৎসর
১১ মাস।
[৫০ বৎসর
অতিক্রান্ত বয়সে রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
উল্লেখ্য, ১৩১৮ বঙ্গাব্দের ১১ চৈত্র বিশ্রামের উদ্দেশ্যে রবীন্দ্রনাথ শিলাইদহে যান। এখানে এসে তিনি চৈত্র মাসে এই গানটি-সহ মোট ৮টি গান রচনা করেন।
এই গানটি দিয়েই রবীন্দ্রনাথ 'গীতাঞ্জলি'র অনুবাদ শুরু করেছিলেন। রবীন্দ্রনাথ নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পর- অভিনন্দনের ঠেলায় অস্থির হয়ে উঠেছিলেন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই খ্যাতির বিড়ম্বনায় তিনি অস্থির হয়ে উঠেছিলেন। এ সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী'কে এক চিঠিতে লিখেছিলেন- স্নানের ভুতে আমাকে পাইয়াছে, আমি মনে মনে ওঝা ডাকিতেছি- আপনাদের আনন্দে আমি সম্পূর্ণ যোগ দিতে পারিতেছি না। আপনি হয়ত ভাবিবেন এটা আমার অত্যুক্তি হইল কিন্তু অন্তর্যামী জানেন আমার জীবন কিরূপ ভারাতুর হইয়া উঠিয়াছে।| "কোলাহল তো বারণ হল/ এবার কথা কনে কানে"- এই কবিতাটি দিয়া আমি গীতাঞ্জলির ইংরেজি তর্জমা শুরু করিয়াছিলাম বারণ যে কত দূর সফল হইল তাহা দেখিতেই পাইতেছেন।' কিন্তু রবিজীবনী ষষ্ঠ খণ্ড'এ প্রশান্তকুমার পাল পৃষ্ঠা ২৮৩- জানিয়েছেন,- প্রথম অনুবাদ 'আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ'। পরবর্তী অনুবাদ 'কোলাহল বারণ হল'।
- খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
-
গীতিমাল্য
-
প্রথম সংস্করণ
[ইন্ডিয়ান পাবলিশিং হাউস, ১৯ আষাঢ় ১৩২১ বঙ্গাব্দ । অষ্টম গান। পৃষ্ঠা ১৩।
[নমুনা]
- রবীন্দ্ররচনাবলী একাদশ খণ্ড (বিশ্বভারতী)। অষ্টম গান। পৃষ্ঠা ১৩৫-৩৬।
-
গীতলেখা প্রথম
ভাগ [১৩২৪ বঙ্গাব্দ। দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল]
-
সঙ্গীত-গীতাঞ্জলি [১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দ, ১৩৩৪ বঙ্গাব্দ। ভীমরাও শাস্ত্রী-কৃত স্বরলিপি-সহ
মুদ্রিত হয়েছিল]
-
স্বরবিতান ঊনচত্বারিংশ (৩৯) খণ্ডের ১১ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ৩২-৩৪।
[নমুনা]
-
GITANJALI (Song
offerings)
। নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত গীতাঞ্জলি
(১৯১২
খ্রী,)।
৮৯ সংখ্যক গান।
ইংরেজী
গীতাঞ্জলি'তে
রবীন্দ্রনাথ-কৃত অনুবাদ :
No more noisy, loud words from me-
such is my master's will. Henceforth I deal in whispers. The speech of my heart
will be carried on in murmurings of a song.
Men hasten to the King's market. All the buyers and sellers are
there. But I have my untimely leave in the middle of the day,
in the thick of work.
Let then the flowers come out in my garden, though it is not
their time; and let the middy bees strike up their lazy hum.
Full many an hour have I spent in the strife of the good and
the evil, but now it is the pleasure of my playmate of the empty
days to draw my heart sudden call to what useless inconsequence !
পত্রিকা:
-
তত্ত্ববোধিনী [
জ্যৈষ্ঠ ১৩১৯ বঙ্গাব্দ। সুরেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায়-কৃত স্বরলিপি-সহ-মুদ্রিত হয়েছিল।]
- বাণী অংশ। প্রারম্ভিক পাতা। শিরোনাম 'ছুটি'। পৃষ্ঠা ২৭
[নমুনা]
- স্বরলিপি অংশ। মিশ্র বারোয়াঁ-দাদরা। পৃষ্ঠা: ৪৫-৪৬
[নমুনা]
রেকর্ডসূত্র: নাই।
প্রকাশের
কালানুক্রম: তত্ত্ববোধিনী
পত্রিকার 'জ্যৈষ্ঠ ১৩১৯ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায়- সুরেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায়-কৃত স্বরলিপি-সহ গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল।
এরপর যে সকল গ্রন্থাদিতে অন্তর্ভুক্ত হয়ে গানটি প্রকাশিত হয়েছিল,
সেগুলো হলো-
গীতিমাল্য
প্রথম সংস্করণ
(১৩২১ বঙ্গাব্দ),
কাব্যগ্রন্থ
নবম খণ্ড
(১৩২৩ বঙ্গাব্দ),
গীতলেখা প্রথম ভাগ (১৩২৪ বঙ্গাব্দ) ও
সঙ্গীত-গীতাঞ্জলি
(১৩৩৪ বঙ্গাব্দ)।
এরপর গানটি ১৩৩৮ বঙ্গাব্দে
প্রকাশিত
গীতবিতানের
দ্বিতীয় খণ্ড প্রথম সংস্করণে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এরপর ১৩৪৮
বঙ্গাব্দে প্রকাশিত
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণে
পূজা
পর্যায়ের
বিশ্ব উপবিভাগের
২৮ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এরপর ১৩৭১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন
মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের
পূজা
পর্যায়ের ৩৬১
সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
গ.সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
স্বরলিপিকার:
দিনেন্দ্রনাথ
ঠাকুর। স্বরবিতান-৩৯,
গীতলেখা ১ম ভাগ
সুরেন্দ্রনাথ ঠাকুর।
তত্ত্ববোধিনী
ভীমরাও শাস্ত্রী
।সঙ্গীত-গীতাঞ্জলি
সুর ও তাল:
-
স্বরবিতান-৩৯'তে
গৃহীত গানটির স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিতে ছন্দোবিভাজন
দেখানো হয়েছে,
৩।৩ ছন্দ ;
অর্থাৎ গানটি 'দাদরা'
তালে নিবদ্ধ।
-
রাগ : পিলু। তাল : দাদরা। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ।
প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬। পৃষ্ঠা: ৪৮]
- রাগ:
বাঁরোয়া। তাল: দাদরা।
[রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ৮৬।]
-
গ্রহস্বর-মা।
লয়-মধ্য।