বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
শিরোনাম:
ওহে,
জীবনবল্লভ,
ওহে সাধনদুর্লভ
- গীতবিতান (বিশ্বভারতী,
কার্তিক ১৪১২)-এর
পাঠ: পূজা: ৪৮০ ও 'পূজা
ও প্রার্থনা'
পর্যায়ের ৬৯ সংখ্যক গান।
ওহে,
জীবনবল্লভ,
ওহে সাধনদুর্লভ,
আমি মর্মের কথা
অন্তরব্যথা কিছুই নাহি কব-
শুধু জীবন মন
চরণে দিনু বুঝিয়া লহো সব।
আমি কী আর কব
॥
এই সংসারপথসঙ্কট
অতি কণ্টকময় হে,
আমি নীরবে যাব
হৃদয়ে লয়ে প্রেমমুরতি তব।
আমি কী আর কব
॥
সুখ দুখ সব
তুচ্ছ করিনু প্রিয় অপ্রিয় হে-
তুমি নিজ হাতে
যাহা সঁপিবে তাহা মাথায় তুলিয়া লব।
আমি কী আর কব
॥
অপরাধ যদি ক'রে
থাকি পদে,
না করো যদি ক্ষমা,
তবে পরানপ্রিয়,
দিয়ো হে দিয়ো বেদনা নব নব।
তবু ফেলো না
দূরে,
দিবসশেষে ডেকে নিয়ো চরণে-
তুমি ছাড়া আর কী
আছে আমার মৃতু্য-আঁধার ভব।
আমি কী আর কব
॥
-
পাণ্ডুলিপির পাঠ: রবীন্দ্রনাথের
যে সকল পাণ্ডুলিপিতে গানটি পাওয়া যায়, তা হলো—
Ms. 129
। গান। (কীর্ত্তনের সুর)
[নমুনা:
প্রথমাংশ
দ্বিতীয়াংশ]
Ms.n. 290
তথ্যানুসন্ধান
- ক. রচনাকাল ও স্থান:
৮ বৈশাখ
১৩০১। জোড়াসাঁকো কলিকাতা। [সূত্র:
Ms. 129
]
রবীন্দ্রনাথের ৩২ বৎসর
১২ মাস বয়সের রচনা।
উল্লেখ্য,
১৩০১ বঙ্গাব্দে কাদম্বরীদেবীর
শোচনীয় আত্মহননের দশম বর্ষ পূর্ণ হল। দীর্ঘদিন উত্তর
বঙ্গে
কাটিয়ে চৈত্রমাসের শেষে রবীন্দ্রনাথ জাড়াসাঁকোতে ফিরে আসেন। কাদম্বরীদেবী'র
মৃত্যুর পর জ্যোতিরিন্দ্রনাথ জোড়াসাঁকোর
বাড়ীতে বসবাস একরকম ত্যাগ করেছিলেন। ফলে
কাদম্বরীদেবী'র
স্মৃতিবিজড়িত তেতলার ঘরটি ফাঁকাই পড়েছিল। রবীন্দ্রনাথ এবার সে ঘরে এসেই উঠলেন।
কাদম্বরীদেবী'র
জন্য তাঁর বেদনা স্বভাবত তীব্রতর হয়ে উঠেছিল। এই সময়
ইনি বেশ কয়েকটি গান রচনা করেছিলেন। এর মধ্যে একটি মাত্র গান আমরা পাই,
তা হলো-ওহে জীবনবল্লভ।'
-
খ.
প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
-
গ্রন্থ:
-
কাব্যগ্রন্থ
-
কাব্যগ্রন্থাবলী [আদি ব্রাহ্মসমাজ প্রেস, ১৩০৩। ব্রহ্মসঙ্গীত।
কীর্ত্তন।
পৃষ্ঠা: ৪৭০]
[নমুনা]
-
গান
-
গীতবিতান
-
প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ
(বিশ্বভারতী, ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ। ১৩০৩ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত
'কাব্যগ্রন্থাবলী'-
ব্রহ্মসঙ্গীত অংশ থেকে গৃহীত হয়েছিল। পৃষ্ঠা: ১৮৫]
[নমুনা]
-
প্রথম খণ্ড (বিশ্বভারতী ১৩৪৮)
-
অখণ্ড সংস্করণ, তৃতীয় সংস্করণ
(বিশ্বভারতী ১৩৮০)। পূজা: ৪৮০।
উপবিভাগ: বিবিধ-১০৫
ও 'পূজা
ও প্রার্থনা'
পর্যায়ের ৬৯
সংখ্যক গান।
-
ধর্ম্মসঙ্গীত (ইন্ডিয়ান পাবলিশিং
হাউস, ১৩২১)। গান। পৃষ্ঠা: ১১৪
[নমুনা]
-
ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি প্রথম ভাগ (১ মাঘ ১৩১১ বঙ্গাব্দ)।
কীর্তনের সুর-একতালা। কাঙ্গালীচরণ
সেন-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
-
স্বরবিতান
চতুর্থ (৪) খণ্ডের (মাঘ ১৪১২)
৪৫ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ১০৬-১১৪।
[নমুনা
মূল স্বরলিপি]
[সুরান্তর]
-
পত্রিকা:
-
তত্ত্ববোধিনী (ফাল্গুন ১৩০৫)।
-
পরিবেশনা:
১৩০৫ বঙ্গাব্দের ১১
মাঘ তারিখে
একোনসপ্ততিতম সাংবাৎসরিক মাঘোৎসব উপলক্ষে এ গানটি ব্রহ্মসঙ্গীত
হিসাবে গীত হয়েছিল। উল্লেখ্য
১৩০৩ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত
কাব্যগ্রন্থাবলীতে গানটির রূপ
ছিল
আখরহীন'।
কিন্তু এই উৎসবে তা আখর যুক্ত'
হয়ে গীত হয়েছিল। এই
আখরসহ
গানটি তত্ত্ববোধিনী পাত্রিকার ফাল্গুন ১৩০৫ বঙ্গাব্দ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল।
- গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
(৪) খণ্ডের (মাঘ ১৪১২) সুরভেদ/ছন্দোভেদ অংশে কাঙ্গালীচরণ
সেন -কৃত স্বরলিপি দেওয়া
হয়েছে।
এই স্বরবিতান-এর ১৯-২০ পৃষ্ঠায় যে স্বরলিপিটির স্বরলিপিকার সম্পর্কে কিছু জানা যায়
না।
সুর ও তাল:
-
কীর্তনের সুর।
আখরহীন
: কাব্যগ্রন্থাবলীতে স্বরলিপি ছাড়া প্রকাশিত হয়েছিল।
-
কীর্তনের সুর।
আখরসহ : [স্বরবিতান
চতুর্থ (৪) খণ্ডের (মাঘ ১৪১২)]।
-
অঙ্গ: কীর্তন। তাল:
একতাল।
[রবীন্দ্রসংগীত:
রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬।]। পৃষ্ঠা: ৪৩
-
অঙ্গ: কীর্তন
(আখর-যুক্ত)।
তাল: দাদরা
[রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, জুলাই
২০০১], পৃষ্ঠা: ৭৮।
বিষয়াঙ্গ:
ব্রহ্মসঙ্গীত।
সুরাঙ্গ: কীর্তনাঙ্গ
গ্রহস্বর: গা।