ওগো, পথের সাথি, নমি বারম্বার।
পথিকজনের লহো লহো নমস্কার ॥
ওগো বিদায়, ওগো ক্ষতি, ওগো দিনশেষের পতি,
ভাঙা বাসার লহো নমস্কার ॥
ওগো নব প্রভাতজ্যোতি, ওগো চিরদিনের গতি,
নব আশার লহো নমস্কার।
জীবনরথের হে সারথি, আমি নিত্য পথের পথী,
পথে চলার লহো, লহো লহো নমস্কার ॥
নূতন আশার লহো: গীতবিতান (আশ্বিন ১৩৩৮)
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান:
RBVBMS
131-তে
লিখিত এই গানের সাথে গানটির রচনাকাল ও স্থানের উল্লেখ আছে-
২৫
আশ্বিন/রেলপথে/বেলা হইতে /গয়ায়'। পান্থ তুমি,পান্থজনের সখা হে [পূজা-৫৬৪]
[তথ্য] এরপর
সকাল ৯টার দিকে সতীশচন্দ্র দুটি পাল্কি
সংগ্রহ করতে সক্ষম হন। এই পাল্কিতে চড়ে রবীন্দ্রনাথ বেলা পাহাড়ের বৌদ্ধ-আমলের গুহা
দেখতে যান। বেলা ১টার সময় পাহাড়ের পাদদেশে পাল্কি পৌঁছায়। এই সময় খাদ্য-পানীয়ের
অভাবে ও গরমে রবীন্দ্রনাথ এতটাই ক্লান্ত হয়ে পড়েন যে, শেষ পর্যন্ত গুহা না দেখেই
ফিরে আসেন। এই আসা-যাওয়ার পথে তিনি পাল্কিতে বসে তিনি এই গানটি রচনা করেছিলেন- সুখের মাঝে তোমায় দেখেছি [পূজা ও প্রার্থনা-৭৪]
[তথ্য]
উল্লেখ্য, ১৩২১ বঙ্গাব্দের
২৫শে আশ্বিন
[সোমবার, ১২ অক্টোবর] সকালে রেলপথে রবীন্দ্রনাথ বুদ্ধগয়া থেকে বেলা পাহাড়ের বৌদ্ধ-আমলের
গুহা দেখতে যান।
কথা ছিল গুহা দেখার জন্য এখানে রবীন্দ্রনাথের জন্য পাল্কি ব্যবস্থা থাকবে। কিন্তু
রবীন্দ্রনাথ যখন বেলা রেলস্টেশনে পৌছালেন, তখনও পাল্কি এসে পৌঁছায় নি। এই অবসরে
বেলা স্টেশনের ওয়েটিং রুমে রবীন্দ্রনাথ রচনা করেছিলেন-
সন্ধ্যার দিকে
রবীন্দ্রনাথ বেলা স্টেশনে ফিরে আসেন। রাত্রিতেই তিনি রেলপথে গয়ার উদ্দেশ্যে রওনা
দেন। পথে রেলগাড়িতে তিনি এই গানটি রচনা করেছিলেন। এই সময়
রবীন্দ্রনাথের
বয়স ছিল ৫৩ বৎসর
৬ মাস।
[৫৩ বৎসর
অতিক্রান্ত বয়সে রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
অরূপরতন (১৩৪২ বঙ্গাব্দ)। ৪র্থ দৃশ্য, সুরঙ্গার গান। রবীন্দ্ররচনাবলী ত্রয়োদশ খণ্ড (বিশ্বভারতী)। পৃষ্ঠা ২০৫।
গীতবিতানের পূজা (উপ-বিভাগ : পথ-৭) পর্যায়ের ৫৬৫ সংখ্যক গান।
গীতালি (১৩২১ বঙ্গাব্দ)। ৯৮ সংখ্যক গান। রবীন্দ্ররচনাবলী একাদশ খণ্ড (বিশ্বভারতী)। পৃষ্ঠা ২৮৫।
সঞ্চয়িতা [বিশ্বভারতী, পৌষ ১৩৩৮, গীতালি, শিরোনাম: সাথী, পৃষ্ঠা: ৪৯০] [নমুনা]
স্বরবিতান দ্বিচত্বারিংশ (৪২ অরূপরতন) খণ্ডের ৪০ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ১১৫-১৭।
পত্রিকা:
প্রবর্তক (জ্যৈষ্ঠ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ)। শৈলজারঞ্জন মজুমদার-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
গ্রহস্বর-সা। লয়-দ্রুত।