বিষয়: 
		রবীন্দ্রসঙ্গীত। 
		গান সংখ্যা : 
		
		শিরোনাম: 
		
      
      বজাও রে মোহন বাঁশি।
		
		পাঠ ও 
		পাঠভেদ:
		
		
	
 
      
                                বজাও
		বজাও;বজাও
		বজাও রে মোহন বাঁশি।
      সারা দিবসক            বিরহদহনদুখ
             মরমক তিয়াষ নাশি॥
      রিঝ-মন-ভেদন           বাঁশরিবাদন
             কঁহা শিখলি রে কান!—
      হানে থিরথির          মরমঅবশকর
             লহু লহু মধুময় বাণ।
      ধসধস করতহ          উরহ বিয়াকুলু,
             ঢুলু ঢুলু অবশনয়ান।
      কত শত বরষক        বাত সোঁয়ারয়
             অধীর করয় পরান।
      কত শত আশা           পূরল না বঁধু,
             কত সুখ করল পয়ান।
      পহু গো, কত শত        পীরিতযাতন
             হিয়ে বিঁধাওল বাণ।
      হৃদয় উদাসয়            নয়ন উছাসয়
             দারুণ মধুময় গান।
      সাধ যায়, বঁধু             যমুনা-বারিম
             ডারব দগধ পরান।
      সাধ যায়, বঁধু,          রাখি চরণ তব
             হৃদয়মাঝ, হৃদয়েশ—
      হৃদয়জুড়াওন             বদনচন্দ্র তব
             হেরব জীবনশেষ।
      সাধ যায়, ইহ              চাঁদমকিরণে
             কুসুমিত কুঞ্জবিতানে
      বসন্তবায়ে                প্রাণ মিশায়ব
             বাঁশিক সুমধুর গানে।
      প্রাণ ভৈবে মঝু             বেণুগীতময়,
             রাধাময় তব বেণু।
      জয় জয় মাধব           জয় জয় রাধা,
             চরণে প্রণমে ভানু॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: রবীন্দ্রনাথের পাণ্ডুলিপি পাঠ পাওয়া যায় নি।
পাঠভেদ: ভারতী (পৌষ ১২৮৪ বঙ্গাব্দ)-এ প্রকাশিত পাঠের সাথে ১১টি শব্দের সমার্থ যুক্ত রয়েছে। এ ছাড়া বর্তমানে প্রচলিত পাঠের সাথে ভারতী (পৌষ ১২৮৪ বঙ্গাব্দ)-এ প্রকাশিত পাঠের পার্থক্য আছে।
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
সুর ও তাল:স্বরবিতান একবিংশ খণ্ডে (২১, ভানুসিংহের পদাবলী, মুদ্রণ : মাঘ ১৪১৫) মুদ্রিত স্বরলিপির সাথে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিতে গানটি অনিয়মিত ছন্দের নিবদ্ধ। স্বরবিতান-২১ খণ্ডের ১৯ পৃষ্ঠায় এই গানটির ছন্দ সম্পর্কে ইন্দিরাদেবী'র একটি নির্দেশনা মুদ্রিত আছে। নির্দেশনাট হলো-
		মন্তব্য—
		অনেক 
		রবীন্দ্রসংগীত আছে যার সুর এমন ঢালা যে প্রচলিত পদ্ধতির নির্দিষ্ট তালে তাকে 
		বাঁধতে গেলে তার সৌন্দর্য রক্ষা করা যায় না। অথচ স্বরলিপি করতে গেলে সুরকে 
		মাত্রায় বাঁধতেই হবে। এই স্বরলিপিটিতে উক্ত প্রকার ঢালা সুরকে স্বচ্ছন্দ 
		মাত্রায় প্রকাশ করবার চেষ্টা করা হয়েছে, অর্থাৎ গানের যেখানে যেখানে 
		স্বাভাবিক যতি পড়ে, কেবলমাত্র সেইখানেই ছেদচিহ্ন দেওয়া হয়েছে। সুতরাং প্রতি 
		ছেদের মাত্রা সংখ্যা সমান নয়। অনভ্যাসের প্রাথমিক বাধা দূর হলে আশা করি 
		নূতনতর অনিয়মিত ছন্দে ঢালা গান শিখতে ও লিখতে সাধারণের অধিকতর সুবিধা বোধ 
		হবে।                                                
রাগ: পিলু। [রবীন্দ্রসঙ্গীতে রাগ-নির্ণয়। ভি.ভি. ওয়াঝলওয়ার। রবীন্দ্রনাথের প্রেমের গান ।সংগীত-শিক্ষায়তন। বৈশাখ ১৩৯০। পৃষ্ঠা : ৮১]
রাগ: পিলু। অঙ্গ: কীর্তন। তাল: একতাল [রবীন্দ্রসংগীত : রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। (প্যাপিরাস, ডিসেম্বর, ২০০৬)। পৃষ্ঠা: ৬৭
		
                
[পিলু রাগে নিবদ্ধ 
রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
অঙ্গ: 
কীর্তনাঙ্গ
                
[কীর্তনাঙ্গের রবীন্দ্রনাথের গানের তালিকা]
গ্রহস্বর-সা।