রবীন্দ্রসঙ্গীতের সাথে সম্পর্কিত গ্রন্থাবলী ও পত্রিকা
স্বরবিতান চতুঃষষ্টিতম
খণ্ড। প্রথম প্রকাশ : বৈশাখ ১৪১০
বঙ্গাব্দ।
এই গ্রন্থে ১২টি গানের স্বরলিপি সংকলিত হয়েছে। এই গ্রন্থে
গৃহীত গানগুলির তালিকা নিচে দেওয়া হলো।
আনন্দধারা বহিছে ভুবনে [পূজা-৩২৬]
তথ্য]
[নমুনা]
এ হরিসুন্দর, এ হরিসুন্দর [পূজা ও প্রার্থনা-২]
[তথ্য][নমুনা]
কোন্ অযাচিত আশার আলো [প্রেম-৩৪১]
[তথ্য][নমুনা]
কোন্ খেলা যে খেলব কখন্
[পূজা-৫৮৯]
[তথ্য][নমুনা]
খেলার সাথি, বিদায়দ্বার
খোলো
[তথ্য][নমুনা]
গগনের থালে রবি চন্দ্র দীপক
জ্বলে [পূজা ও প্রার্থনা-১]
[তথ্য][নমুনা]
চলো চলো,
চলো চলো [পরিশিষ্ট-৪-এর ৩]
[তথ্য][নমুনা]
ছিলে কোথা বলো [পরিশিষ্ট-৪-এর
২] [তথ্য][নমুনা]
বুঝি ওই সুদূরে ডাকিল মোরে
[তথ্য][নমুনা]
যদি ঝড়ের মেঘের মতো আমি ধাই চঞ্চল-অন্তর [পূজা-৩৯১]
[তথ্য]
[নমুনা]
যারা বিহান-বেলায় [প্রেম ও প্রকৃতি ৯৯]
[তথ্য]
[নমুনা]
হিয়া কাঁপিছে সুখে [প্রেম ও প্রকৃতি ৪৬]
[তথ্য]
[নমুনা]
যারা বিহান-বেলায় গান এনেছিল আমার মনে
প্রসঙ্গে উল্লেখ্য ৩ নভেম্বর ১৯৪০ তারিখে কলকাতার বেতার-কেন্দ্র থেকে
রবীন্দ্রসংগীতের একটি বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচারিত হয়। এই অনুষ্ঠান শুনে কবি কলকাতায়
জোড়াসাঁকোর বাড়িতে এই গানটি রচনা করে অমিতা ঠাকুরকে শিখিয়ে দেন। তাঁরই সৌজন্যে
মুদ্রিত পাঠ নির্ধারিত হয়েছে এবং তাঁরই সুর-স্মৃতি অনুসারে স্বরলিপি করেন
প্রফুল্লকুমার দাস যা বিশ্বভারতী পত্রিকা কার্তিক-পৌষ ১৪০১ বঙ্গাব্দে ১২৮-১২৯
পৃষ্ঠায় প্রকাশিত হয়। শৈলজারঞ্জন মজুমদার এই গানের সন্ধান দেন। এই বছরেই ২৭
সেপ্টেম্বর তারিখে কালিম্পঙে রবীন্দ্রনাথ নিদারুণভাবে পীড়িত হয়েছিলেন; কলকাতায় এসে
রোগমুক্তির পরে ৩০ অক্টোবর ১৯৪০ তারিখে একটি কবিতা রচনা করেছিলেন
‘একা
ব’সে
আছি হেথায়’।
কবিতাটি ‘রোগশয্যায়’
কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত। ‘যারা
বিহান-বেলায় গান এনেছিল আমার মনে’
ঐ রচনারই গীতরূপ বলা যায়। ‘রোগশয্যায়’
গ্রন্থের ৩ সংখ্যক কবিতাটি এখানে উদ্ধৃত হল
–
৩
একা বসে আছি
হেথায়
যাতায়াতের
পথের তীরে।
যারা
বিহান-বেলায় গানের খেয়া
আনল বেয়ে
প্রাণের ঘাটে,
আলোছায়ার
নিত্য নাটে
সাঁঝের বেলায়
ছায়ায় তারা
মিলায় ধীরে।
আজকে তারা এল
আমার
স্বপ্নলোকের
দুয়ার ঘিরে;
সুরহারা সব
ব্যথা যত
একতারা তার
খুঁজে ফিরে।
প্রহর-পরে
প্রহর যে যায়,
বসে বসে কেবল
গনি
নীরব জপের
মালার ধ্বনি
অন্ধকারের
শিরে শিরে।।*
জোড়াসাঁকো। কলিকাতা
৩০ অক্টোবর ১৯৪০
এই গানটি সম্পর্কে অমিতা ঠাকুরের বক্তব্য –
“আমার কাছ থেকে গানের (যারা বিহান-বেলায়) সুরটি সংগ্রহ করে ও অতীব যত্ন-সহকারে স্বরলিপি করে শ্রীপ্রফুল্লকুমার দাস এই গানের সুরটি ধরে রেখেছেন। ...স্বরলিপির মাধ্যমে ধরে না রাখলে হারিয়ে যেত।”
*** রোগশয্যায়। কলিকাতা : বিশ্বভারতী গ্রন্থনবিভাগ, বৈশাখ ১৩৯৫। পৃ.৫
** দিনেন্দ্র সংগীতায়ন আয়োজিত রবীন্দ্রসংগীতের বিশিষ্ট শিক্ষক গবেষক ও শিল্পী প্রফুল্লকুমার দাস মহাশয়ের সংবর্ধনা উপলক্ষে প্রকাশিত পুস্তিকা, ২ অক্টোবর ১৯৯৪।
‘হিয়া কাঁপিছে সুখে কি দুখে সখী’ গানটি ‘গানের বহি’-তে বৈশাখ ১৩০০ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত হয়। জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপি পাণ্ডুলিপি থেকে গৃহীত হয়েছে। গানটি জয়জয়ন্তী রাগে ধামার তালে ‘সখি কাপত বাকে’ হিন্দি গানের আদর্শে ৫।৫।৪ ছন্দে রচিত। মূল গানটি উদ্ধৃত করা হল।*
জয়জয়ন্তী।
ধামার (ধীরে)
সখি, কাঁপত
বাকে ন রহে, সখি
আয় ফাগুন
মাস, সখি।।
ঔর মুখ মল
ভ্রমর সো করহুঁ;
আব কি আবত
যোই, সখি।।
ব্রজ মূলপতি,
ওই মনমোহন,
শ্যাম বন্ধু
নাহি আয়ে,
এতনি মিনতি
মোরি কহিও, যাউ ন সো;
কুবজাকে ঘরে
ঠাঁব, সখি।।
[গীতসূত্রসার
২]
*প্রফুল্লকুমার দাস। রবীন্দ্রসংগীত-গবেষণা-গ্রন্থমালা;তৃতীয় খণ্ড। কলিকাতা:সুরঙ্গমা, ১৩৮১। পৃ. ৪৩