বাংলাদেশের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
৩০
ডিসেম্বর ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দ
২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ ডিসেম্বর এই নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশভাবে জয় পায়।
২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ৮ই নভেম্বর, নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের
প্রথম তফসিল ঘোষণা করেন। এই ঘোষণা অনুসারে ২৩শে ডিসেম্বর নির্বাচনের তারিখ ঠিক করা
হয়। পরে বিরোধী দল তথা বিএনপি নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টের আবেদন সাপেক্ষে ১২ই নভেম্বর
নতুন নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয় ৩০শে ডিসেম্বর।
নির্বাচনে বাংলাদেশের বড় দুটি দল, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী
দলের (বিএনপি) নেতৃত্বে গঠিত মহাজোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট জোটসহ বাংলাদেশের নিবন্ধিত
সর্বমোট ৩৯টি দল অংশগ্রহণ করে। ১,৮৪৮ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন
যার মধ্যে ১২৮ জন স্বতন্ত্র। এছাড়া গাইবান্ধা-৩ আসনে ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী ফজলে রাব্বি চৌধুরী
২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ১৯ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করায় নির্বাচন কমিশন আসনটিতে ভোটগ্রহণ স্থগিত করে।
ওই আসনের নির্বাচনের তারিখ স্থির করা হয় ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৭ জানুয়ারি।
এই নির্বাচনে সারাদেশে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১০,৪১,৯০,৪৮০ জন; যার মধ্যে
৫,২৫,৪৭,৩২৯ জন পুরুষ ও ৫,১৬,৪৩,১৫১ জন নারী ভোটার। ভোটারগণ ৪০,১৯৯টি ভোট কেন্দ্রে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
বাংলাদেশে প্রথমবারের মত ৬টি নির্বাচনী আসনে সম্পূর্ণভাবে ইভিএমে (ইলেকট্রনিক ভোটিং
মেশিন) ভোট গ্রহণ করা হয়। ইভিএম ব্যবহার করা আসনগুলো হলো, ঢাকা-৬, ঢাকা-১৩, চট্টগ্রাম-৯, রংপুর-৩, খুলনা-২ ও সাতক্ষীরা-২।
নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার সময় মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল ২৮শে নভেম্বর। আর
মনোনয়ন যাচাই-বাছাই করা হয় ২ ডিসেম্বর। মনোনয়ন প্রত্যাহারের তারিখ ছিল ৯
ডিসেম্বর। ভোটগ্রহণ চলে বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা:
সার্বিকভাবে নির্বাচন পরিচালনার জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়-
রিটার্নিং অফিসার ৬৬ জন ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার ৫৮২ জন (তাদের অধীনে ২ লাখ ৭ হাজার ৩১২ জন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার
পোলিং অফিসার ৪ লাখ ৬২৪ জন )।
ভোটকেন্দ্র ৪০,১৮৩টি ও ভোটকক্ষ ২,০৭,৩১২টি।
সারাদেশে নিরাপত্তা বাহিনীর ৬ লাখ ৮ হাজার সদস্য দায়িত্ব পালন করেন।
ফলাফল
জোট | দল | প্রাপ্ত আসন |
মহাজোট | ২৫৮ | |
জাতীয় পার্টি (এরশাদ) |
২০ | |
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল |
৩ | |
২ | ||
বিকল্প ধারা বাংলাদেশ |
২ | |
বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন |
১ | |
জাতীয় পার্টি (মঞ্জু) |
১ | |
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট |
০ | |
চারদলীয় জোট | ৫ | |
গণফোরাম |
২ | |
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (রব) |
০ | |
নাগরিক ঐক্য |
০ | |
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ |
০ | |
বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি |
০ | |
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস |
০ | |
বাংলাদেশ মুসলিম লীগ |
০ | |
জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি |
০ | |
জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া |
০ | |
বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি |
০ | |
লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি |
০ | |
বাম গণতান্ত্রিক জোট |
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি |
|
বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি |
||
গণসংহতি আন্দোলন |
||
বাংলাদেশের ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ |
||
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী) |
||
গণতান্ত্রিক বিপ্লবী আন্দোলন |
||
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন |
||
অন্যান্য |
ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি |
|
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ |
||
ইসলামী ঐক্যজোট |
||
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন |
||
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ |
||
প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল (বাংলাদেশ) |
||
জাকের পার্টি |
||
ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ |
||
খেলাফত মজলিস |
||
বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট |
||
গণতন্ত্রী পার্টি |
||
|
||
স্বতন্ত্র |
|
৪ |
বাতিল | ১ | |
মোট |
৩০০ |