বাংলাদেশের মৎস্য সম্পদ

ি িে একসময় পরিচয় দিতো 'মাছে-ভাতে বাঙালি'। কালক্রমে এ পরিচয় অনেকটাই গৌরব হারিয়েছে। হারিয়েছে বাংলাদেশের অন্যতম পরিচয় 'নদীমাতৃক' বিশেষণ। ফারাক্কা বা এই জাতীয় বাঁধের প্রভাব, নদী এবং তৎসংলগ্ন হাওর, বিল ইত্যাদি ভরাট হয়ে যাওয়া, নদীর পানির দূষণ; সব মিলিয়ে বাংলাদেশে জলসমস্যা বর্তমানে অত্যন্ত প্রকট হয়ে উঠছে ক্রমে ক্রমে। এই সূত্রে বাংলাদেশের মৎস-সম্পদ ক্রমান্বয়ে দৈন্য দশার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশের মাছের প্রধান পরিচয় স্বাদু বা মিঠা পানির । সমুদ্রকূলে বসবাসকারীদের কাছে সামুদ্রিক মাছের কদর ছিল। কিন্তু তা অখণ্ড বঙ্গদেশের মূল ধারার মাছ হিসাবে স্বীকৃত ছিল না। যদিও আধা সামুদ্রিক ইলিশ বাঙালি-সংস্কৃতির অংশ, কিন্তু খাঁটি সামুদ্রিক মাছ (রূপচাঁদা, কোরাল, লইট্যা ইত্যাদি) বৃহত্তর বাঙালি সমাজের কাছে অনেকটা অপাংক্তেয়ই ছিল। 'মাছে-ভাতে' বাঙলি বলতে যে মাছগুলোকে আদর করে রসুই ঘরে তুলে এনেছিল, সে তালিকা বেশ একেবারে ছোটো নয়।

পানির প্রকৃতি অনুসারে বাংলাদেশের মাছকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়।