কাশী
সমনাম: কাশীধাম, বারাণসী, অবমুক্তি, আনন্দকানন, আনন্দবন

একটি শহর এবং হিন্দুদের একটি অন্যতম তীর্থস্থান। ভারতের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের আধ্যাত্মিক রাজধানী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বর্তমানে বারাণসী ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি জেলা এবং জেলা শহর।  স্থানাঙ্ক: ২৫.২৮২° উত্তর ৮২.৯৫৬৩° পূর্ব।

এই নগরীর নাম কেন কাশী হলো, তা নিয়ে বিভিন্ন পুরাণে বিভিন্ন মত রয়েছে। শিবপুরাণের (জ্ঞানসংহিতা ৪৯।৪৬) মতে -এখানে জীবগণ শুভাশুভ কর্ম ক্ষয় হয় এবং এর ফলে মুক্তিলাভ ঘটে, এই কারণে এর নাম কাশী। স্কন্দপুরাণের কাশীখণ্ডের (২৬।৬৭) মতে- সেই বাক্যের অগোচর পরম জ্যোতি এই ক্ষেত্রে প্রকাশমান হয়, সেই কারণে এই নগরীর নাম কাশী। লিঙ্গপুরাণ (৯২।৪৫), কুর্মপুরাণ (৩০।২৬-২৭) এবং মৎস্যপুরাণ (১৮১।১৫) মতে - ব্যাখ্যাসহ এই নগরীকে অবমুক্তি নামে অভিহিত করা হয়েছে।

শুক্লযজুর্বেদীয় শতপথব্রাহ্মণে (১৩।৫।৪।২১) এই কাশীর উল্লেখ রয়েছে, একটি বিস্তৃত জনপদ এবং পবিত্র যজ্ঞভূমি হিসেবে। রামায়ণে (কিষ্কিন্ধ্যা ৪০।২২) কাশীকে একটি রাজ্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে এবং এই রাজ্যের রাজধানী ছিল বারাণসী। ভবিষ্যপুরাণের ব্রহ্মখণ্ড (৫৩।১০৬-১২৬) অংশে বলা হয়েছে কাশী রাজ্যের এক রাজার নাম ছিল বরণা। এই রাজার নামানুসারে তাঁর রাজ্যের রাজধানীর নাম হয়েছিল বারাণসী। উল্লেখ্য এই রাজা বারাণসী নামক এক দেবীর মূর্তি প্রতিষ্ঠা করে পূজার ব্যবস্থা করেছিলেন। এই সকল কারণে কাশী বললে বর্তমানে বারাণসীকেই বুঝায়।

পৌরাণিক গ্রন্থগুলোতে প্রাচীন কাশীর যে আয়তন সম্পর্কে জানা যায়, তা সে আমলের বিচারে বিশাল বটে। মৎস্যপুরাণ (১৮৩।৬১-৬৮) মতে এই নগরী পূর্ব-পশ্চিমে দুই যোজন (প্রায় ২০ মাইল), এবং উত্তর-দক্ষিণ বরাবর ছিল অর্ধযোজন (প্রায় ৫ মাইল)। বৌদ্ধ গ্রন্থ ললিতবিস্তার থেকে জানা যায়, বুদ্ধ বারাণসী প্রদেশের অন্তর্গত ঋষিপত্তনের মৃগদাব নামক স্থানে এসে ধর্মোপদেশ দান করেন। এই সময় কাশী তথা বারাণসী যে একটি রাজ্য ছিল তা জানা যায়। অনেকে এই সময়কে ৫২৮ খ্রিষ্টাব্দ বলে অনুমান করেন। ৬৩৫ খ্রিষ্টাব্দে চীনা পরিব্রাজক ফা-হিয়ান কাশীতে আসেন। তাঁর বিবরণ থেকে জানা যায়, কাশী একটি বিশাল রাজ্য ছিল।

বিষ্ণু ও ব্রহ্মাণ্ড পুরাণমতে, আয়ুবংশীয় সুহোত্রপুত্র কাশ, এই রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। তাঁর পুত্র কাশ্য (কাশীরাজ) এই রাজ্যকে শক্তিশালী করেন। সম্ভবত তাঁর নামানুসারে তাঁর রাজ্যের নাম হয়েছিল কাশী। তাঁর মৃত্যর পরে তাঁর পুত্র দীর্ঘতমা কাশীর রাজা হন। দীর্ঘতমার পুত্র ছিলেন ধন্বন্তরি রাজা হন। তবে চিকিৎসক হিসেবেই তিনি বেশি পরিচিত ছিলেন। তিনি প্রাচীন আয়ুর্বেদকে ৮ ভাগে ভাগ করেছিলেন। ধন্বন্তরির পুত্র কেতুমান রাজা হন। তাঁর অপর নাম হর্য্যশ্ব। ধারণা করা হয়, হর্য্যশ্বের শাসনামলে বারাণসী নগর স্থাপিত হয়। এই সময় যদুবংশীয় হৈহয়-দের সাথে হর্য্যশ্বের যুদ্ধ হয়। এই যুদ্ধে হর্য্যশ্ব মৃত্যুবরণ করেন। এরপর হৈহয়রা দেশে ফিরে গেলে হর্য্যশ্বের পুত্র সুদেব কাশীর রাজা হন। এবারও হৈহয়রা কাশী আক্রমণ করেন, সুদেবকে হত্যা করেন। এই সময় বারাণসীর শাসক হন হৈহয়-বংশীয় রাজা ভদ্রশ্রেণ্য। এরপর সুদেবের পুত্র দিবোদাস কাশীর একটি ক্ষুদ্র অংশের রাজা হন। দিবোদাস ক্রমে ক্রমে শক্তিশালী সেনাবাহিনী তৈরি করে, ভদ্রশ্রেণ্যকে পারাজিত করে বারাণসী উদ্ধার করেন। এই সময় ক্ষেমক নামক রাক্ষসরা বারবার বারাণসী আক্রমণ করে হতশ্রী নগরীতে পরিণত করেন। এই কারণে গোমতী নদীর তীরে তিনি নতুন নগর স্থাপন করেন। দীর্ঘদিন রাজত্ব করার পর, ভদ্রশ্রেণ্য-এর পুত্র দুর্দ্দম শক্তিশালী সেনাবাহিনী তৈরি করে দিবোদাসের রাজ্য অধিকার করেন। দিবোদাস বারাণসী ত্যাগ করে নিরাপদ স্থানে চলে যান। দিবোদাসের পুত্র প্রতর্দন দুর্দমকে পরাজিত করে কাশীরাজ্য পুনরায় নিজ অধিকারে আনেন। রামায়ণ মতে (উত্তরকাণ্ড ৪।১৫-১৭) প্রতর্দন রামের সমসাময়িক রাজা ছিলেন। প্রতর্দন-এর পরে কাশীর রাজা হন কুবলাশ্ব। এঁর পুত্র অলর্ক রাজ হন এবং কাশীরাজ্যের বিস্তার ঘটান। তিনি ক্ষেমক রাক্ষসদের পরাজিত করে, পুনরায় বারণসী নগর অধিকার করেন। এরপর বংশপরম্পরায় কাশীর রাজা হন যথাক্রমে সন্নতি, সুনীথ, ক্ষেম, সুকেতু, ধর্ম্মকেতু, সত্যকেতু, বিভু, সুবিভু, সুকুমার, ধৃষ্টকেতু। ধৃষ্টকেতুর রাজত্বকালে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ হয় এবং তিনি কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এরপর তাঁর পুত্র বেণুহোত্র রাজা হন। এরপর রাজা হন যথাক্রমে ভর্গ ও ভার্গভূমি। এই রাজাদেরকে বলা হয় কাশ্য।

ভার্গভূমির পর কাশীর রাজা কে হন, তা জানা যায় না। তবে গৌতমবুদ্ধের সময় বারাণসীতে দেবদত্ত নামক রাজার কথা যানা যায়। সম্ভবত বৌদ্ধধর্মাবলম্বী মগধদেশের রাজারা কাশীরাজ্য দখল করে নিয়েছিলেন। ব্রহ্মাণ্ডপুরাণের (উপদ্ঘাতপাদ ৩৪ অধ্যায়) মতে, প্রত্যোতবংশীয় পঞ্চপুত্র একশ আটত্রিশ বৎসর রাজত্ব করার পর, শিশুনাগ তাদের যশ হরণ করেন। বৌদ্ধগ্রন্থে কাশীরাজ ব্রহ্মদত্তের নাম পাওয়া যায়, কিন্তু তিনি কোন সময়ে রাজত্ব করতেন, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায় না। মগধরাজ্যের অধঃপতনকালে কাশী গুপ্তরাজাদের অধীনে আসে। খ্রিষ্টীয় সপ্তম শতাব্দীতে প্রকটাদিত্য (বালাদিত্যের পুত্র) কাশীর রাজা ছিলেন। সম্ভবত এরপর কাশী কনোজরাজাদের অধীনে চলে যায়। খ্রিষ্টীয় দশম শতাব্দীতে কলচুরি ও পালবংশীয়রা কাশী আক্রমণ করে। এই সময় কাশী গৌড়ের পালবংশীয় রাজাদের অধীনে আসে। পালবংশের রাজা মহীপাল কাশীর প্রথম পালবংশীয় রাজা হন।  বারানসীর নিকটবর্তী সারনাথে মহীপালের একটি শিলালিপি পাওয়া যায়। এই শিলালিপিতে ১০১৩ বিক্রমাব্দের উল্লেখ আছে। খ্রিষ্টীয় অব্দ হিসেবে এটা ছিল ১০২৬।  মহীপালের পরে স্থিরপাল ও বসন্তপাল রাজা হন।

১১৯৪ খ্রিষ্টাব্দে সুলতান কুতুবুদ্দিন আইবেক কৌনজরাজ রাজা জয়চন্দ্রকে  পরাজিত করেন। এই সময় তিনি বারণসী আক্রমণ করে বহু মন্দির ধ্বংস করে দেন। এই যুদ্ধে জয়চন্দ্র নিহত হন।

১৩৭৬ খ্রিষ্টাব্দে  ফিরোজ শাহ বারাণসীর আশপাশে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উপর অত্যাচার করেন এবং এবার কিছু মন্দির ধ্বংস করেন। ১৪৯৬ খ্রিষ্টাব্দে আফগান শাসক সিকন্দর লৌদী হিন্দুদের উপর নিপীড়ন চালান এবং নতুন করে বহু মন্দির ধ্বংস করেন। এই কারণে, দীর্ঘ দিনের চর্চিত হিন্দু সংস্কৃতি এই অঞ্চলে মুখ থুবড়ে পড়ে।  ষোড়শ শতাব্দীতে সম্রাট আকবর হিন্দুদের প্রতি সদয় আচরণ শুরু করলে, বারাণসী হিন্দু সংস্কৃতির নবযুগের সূচনা হয়। আকবর এই শহরে শিব ও বিষ্ণুর দুটি বিশাল মন্দির নির্মাণ করিয়ে দেন। এই সময় পুনের রাজা অন্নপূর্ণা মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। মোগল সম্রাট আকবরের সময় এই রাজ্য স্বাধীন ছিল। আইন-ই-আকবর গ্রন্থ থেকে জানা যায়, সে সময়ে কাশী সরকারের অধীনে ছিল ৩৬৮৬৯ বিঘা জমি এবং ৮টি মহল। ব্রিটিশ শাসনামলে বাণারস একটি স্বতন্ত্র বিভাগ ছিল। তখন এই বিভাগের অধীনে ছিল আজমগড়, মির্জাপুর, বারাণস, গাজিপর, গোরক্ষপুর, বস্তি ও বালিয়া জেলা।

শেরশাহের সময় সারা ভারতে সড়ক ব্যবস্থার উন্নয়ন শুরু হলে, এই অঞ্চলের সাথে ভারতের অন্যান্য অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়। ১৬৫৬ খ্রিষ্টাব্দে ঔরঙ্গজেবের আমলে আবার কিছু মন্দির ধ্বংস করা হয়। ঔরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর মোগল আধিপত্য কমতে থাকে এবং মারাঠা এবং রাজপুতদের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফলে বর্তমানের বারাণসী নতুন ভাবে গড়ে উঠে রাজপুত ও মারাঠী শাসকদের পৃষ্ঠপোষকতায়।

দিল্লীর সম্রাট মুহম্মদশাহ বারনাসীকে হিন্দুদের পবিত্র স্থান বিবেচনা করে, হিন্দু রাজ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। এই সিদ্ধান্ত অনুসারে, তিনি ১৭৩০ খ্রিষ্টাব্দে বারাণসীর পাঁচক্রোশ দক্ষিণে গঙ্গাপুর গ্রামের জমিদার মনসারামকে রাজা উপাধি প্রদান করেন। তাঁর পুত্র বলবন্তসিংহ ১৭৪০ খ্রিষ্টাব্দে বারাণসীর সিংহাসনে বসেন। ১৭৪৮ খ্রিষ্টাব্দে সম্রাট মুহম্মদশাহ-এর মৃত্যুর পর সম্রাট হন আহ‌মদ শাহ। সে সময় সম্রাট সফদরজঙ্গকে উজিরপদ প্রদান করেন এবং অযোধ্যা প্রদেশ প্রদান করেন। এই সময় কাশী অযোধ্যা সুবার অন্তর্গত হয়। এই সময়  সফদরজঙ্গ বলবন্তসিংহকে সামান্য জমিদার বিবেচনা করে, তাঁর সাথে হীন আচরণ করতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত এই তিক্ততা চরমে পৌঁছার আগেই সফদরজঙ্গ ১৭৫৩ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যবরণ করেন। এরপর সুবেদার হন তাঁর পুত্র সুজাউদ্দৌল্লা। এরপর সুজাউদ্দৌল্লাও একই আচরণ করতে থাকলে, বলবন্ত সিং রামগড়ে একটি শক্তিশালী দুর্গ নির্মাণের উদ্যোগ নেন।

এই সময় বাংলার নবাব ছিলেন মীরজাফর। ১৭৫৯ খ্রিষ্টাব্দে আলি গোহর (সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলি) বাংলা ও বিহার দখলের উদ্দেশ্যে পাটনা আক্রমণ করেন।  মীরজাফর ক্লাইভের সহযোগিতায় এই আক্রমণ প্রতিহত করতে সক্ষম হন। এই সময় তিনি বলবন্ত সিং-এর সাহায্য প্রার্থনা করে, তাঁর সাহায্য লাভ করেন। যতদূর জানা যায়, যুদ্ধের পরে, বলবন্ত সিং এবং মীরজাফরের ভিতর অনাক্রম চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এর পুরস্কার স্বরূপ মীরজাফর ক্লাইভকে বাৎসরিক ৩০ হাজার পাউন্ড আয়ের একটি জায়গির প্রদান করেন। ১৭৬৪ খ্রিষ্টাব্দের ২৬শে ডিসেম্বর শাহ আলম ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে বারাণসী রাজ্য প্রদান করেন। কিন্তু সুজাউদ্দৌল্লার সাথে ইংরেজদের সন্ধি হলে, ১৭৬৬ খ্রিষ্টাব্দে কোম্পানি বারাণসী অযধ্যার  নবাবকে প্রদান করেন। বলবন্ত সিংহের সাথে কোম্পানির সম্পর্ক মিত্রতায় পর্যবশিত হলে, সুজাউদ্দৌল্লা বলবন্ত সিংহের ক্ষমতা খর্ব করার চেষ্টা করতে থাকেন। এই অবস্থায় ১৭৭০ খ্রিষ্টাব্দে বলবন্ত সিং মৃত্যুবরণ করলে, তাঁর পুত্র চেৎসিং রাজসিংহাসন লাভ করেন। ১৭৭৩ খ্রিষ্টাব্দের ৬ই সেপ্টেম্বর অযোধ্যার নবাব চেৎসিংকে একটি সনদ প্রদান করেন। ১৭৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ২১শে মে বারাণসী ইংরেজদের শাসনাধীনে চলে যায়। এই সময় ব্রিটিশ সরকার চেৎসিংকে  পুনরা্য় একটি সনদ প্রদান করেন।

ইউরোপে ফরাসী বিপ্লবের কারণে, কোম্পানির অধিক অর্থের প্রয়োজন হয়। এই কারণে ওয়ারেন হেস্টিং চেৎসিংহের কাছে বার্ষিক কর ছাড়াও অতিরিক্ত ৫ লক্ষ টাকা দাবী করেন। চেৎসিং প্রথম বার সমুদয় অর্থ কোম্পানিকে প্রদান করার পর, দ্বিতীয় বৎসরে এই অতিরিক্ত টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এরপর ওয়ারেন হেস্টিং কাশী আক্রমণ করেন করে দখল করে নেন। চেৎসিং কাশী থেকে পালিয়ে যান এবং ১৮১০ খ্রিষ্টাব্দে গোয়ালিয়রে তাঁর মৃত্যু হয়। চেৎসিংহের অবর্তমানে, তাঁর কন্যা এবং পুত্রর সিংহাসনের উত্তরাধিকার হন। হেস্টিং তাঁর পুত্র মহীপনারাণকে জমিদার ঘোষণা করেন। মহীপনারাণের পর তাঁর পুত্র উদিতনারায়ণ রাজা হন। ১৮৩৫ খ্রিষ্টাব্দে  উদিতনারায়ণের মৃত্যুর পর তাঁর ভ্রাতুষ্পুত্র ঈশ্বরীপ্রসাদ নারায়ণ রাজা হন। ১৮৫৭ খ্রিষ্টাব্দে সিপাহী বিদ্রোহের পর, ব্রিটিশ সৈন্যরা এই শহরে বহু বিদ্রোহী সৈন্যদের হত্যা করে।  ১৮৬৯ খ্রিষ্টাব্দে ঈশ্বরীপ্রসাদের মৃত্যু হলে, রাজা হন তাঁর পুত্র প্রভুনারায়ণ রাজা হন। ১৯১০ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটিশ সরকার বারাণসীকে একটি পৃথক প্রদেশ হিসেবে ঘোষণা দেয়। ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে স্বাধীন ভারতে বারাণসী উত্তর প্রদেশের জেলা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।