এই রাজবংশের উৎপত্তি সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায় না। ধারণা করা হয় এই রাজবংশের পূরপুরুষরা ভারতের পূর্ব-পাঞ্জাবে বাস করতেন। কালক্রমে এরা পূর্ব-পাঞ্জাবের থানেশ্বর অঞ্চলে রাজত্ব শুরু করেন। বাণভট্টের মতে এই রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন পুষ্যভূতি। এই সূত্রে এই রাজবংশকে পুষ্যভূতি রাজবংশ নামে অভিহিত করা হয়। এই বংশের সিলমোহর ও অন্যান্য বিবরণাদি থেকে তিনজন রাজার নাম পাওয়া যায়। এঁরা হলেন নরবর্ধন, রাজ্যবর্ধন ও আদিত্যবর্মণ। এর মধ্যে রাজ্যবর্ধনের স্ত্রী ছিলেন যশোমতীদেবী। এঁদের রাজত্বকাল সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানা যায় না। ধারণা করা হয়- ৫১০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে গুপ্ত রাজবংশের পতন এবং হুন আক্রমণের ফলে উত্তর ভারতে রাজনৈতিক অস্থিরতার সৃষ্টি হয়। এই অরাজকতার মধ্যে থানেশ্বরে পুষ্যভূতি রাজবংশের উত্থান ঘটে। ৫৮০ খ্রিষ্টাব্দে এই রাজবংশের অন্যতম রাজা প্রভাকরবর্ধন প্রথম সার্বভৌম রাজ্য স্থাপনে সক্ষম হন। ৬৪৭ খ্রিষ্টাব্দে হর্ষবর্ধনের মৃত্যর পর এই রাজবংশের শাসন ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যায়।
পু্ষ্যভূতি রাজবংশের
রাজাদের তালিকা