গঙ্গা নদী
ভারতেরএকটি অন্যতম নদী। তবে এর মূলস্রোত বাংলাদেশে পদ্মা নামে প্রবেশ করেছে, তাই এটি আন্তর্জাতিক নদী হিসেবেও স্বীকৃত।
ভৌগোলিক স্থানাঙ্ক: ২৫.৩০° উত্তর ৮৩.০১°
উৎপত্তি:
হিমালয়ের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত
গঙ্গোত্রী হিমবাহ
থেকে উৎপন্ন
ভাগীরথী নদী এবং
অলকানন্দা নদী
নদীর মিলিত স্রোতধারা গঙ্গা নামে পরিচিত।
গঙ্গা দেবপ্রয়াগ থেকে ২৫০.৯০ কিলোমিটার হিমালয়-পাদদেশীয় উপত্যাকা অতিক্রম করে
ঋষিকেশে
পৌঁছেছে। এরপর হিমালয়ের পাদদেশ ত্যাগ করে নদীটি গাঙ্গেয় উপত্যাকার হরিদ্বারে
সমভূমিতে প্রবেশ করেছে। হরিদ্বারের
শহরের আগে সামান্য দক্ষিণ-পশ্চিমমুখী হলেও হরিদ্বার পেরিয়ে তা দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বাঁক নিয়েছে।
এরপর নদীটি কনৌজ, ফারুকাবাদ ও কানপুর শহরের ধার দিয়ে একটি অর্ধ-বৃত্তাকার পথে ৮০০ কিলোমিটার
অতিক্রম করেছে। এই যাত্রাপথে রামগঙ্গা নামক নদী গঙ্গায় মিশেছে। এরপর এলাহাবাদের ত্রিবেণী সঙ্গমে যমুনা নদী গঙ্গায় মিশেছে।
উভয়ের মিলিত স্রোত গঙ্গা নামে পূর্বদিকে প্রবাহিত হয়ে কাইমুর পর্বতমালা থেকে উৎপন্ন নদী তমসা
নদীর সাথে মিলিত হয়েছে।
এরপর উত্তর প্রদেশের সৈয়দপুরের কাছাকাছি
এই নদীর সাথে যুক্ত হয়েছে গোমতী নদী। উল্লেখ্য, ভারতের পিলিভিটের মাধো টান্দার কাছে গোমত তাল থেকে উৎপন্ন
গোমতী নদী, উত্তরপ্রদেশের মধ্য দিয়ে ৯৬০ কিলোমিটার (৬০০ মাইল) প্রবাহিত এবং বারাণসী জেলা থেকে ২৭ কিলোমিটার (১৭ মাইল) দূরে সৈয়দপুরের কাছাকাছি গঙ্গা নদীর সাথে মিলিত হয়।
এরপর নেপালের ঘর্ঘরা নদী
১,০৮০ কিলোমিটার অতিক্রম করে নদীটি বিহারের রেভেলগঞ্জে গঙ্গার সাথে মিলিত
হয়েছে । ঘর্ঘরার পর দক্ষিণ থেকে গঙ্গার সঙ্গে মিশেছে শোন, উত্তর থেকে মিশেছে গণ্ডকী ও কোশী
নদী।
এ সকল নদীর মিলিত বিপুল জলস্রোত
এলাহাবাদ থেকে পশ্চিমবঙ্গের মালদহ পর্যন্ত প্রবাহিত হয়েছে। ভাগলপুরে এসে নদী দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্ব দিকে
প্রবাহিত হয়েছে।
রাজমহল পাহাড়ের উত্তর-পশ্চিমে তেলিগড় ও সকরিগলির সংকীর্ণ গিরিপথটি ঘেঁষে
মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গীপুর মহকুমায়। এরপর ধুলিয়ান শহরের কাছে গঙ্গা দুটি ভাগে
ভাগ হয়ে গিয়েছে। এর ভিতরে বাংলাদেশের রাজাশাহী জেলার ভিতর দিয়ে প্রবাহিত শাখার নাম
পদ্মা
। পক্ষান্তরে মুর্শিদাবাদের ভিতর দিয়ে দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত স্রোতধারাটি
ভাগীরথী নদী
নামে প্রবাহিত হয়েছে।