নামিবিয়ার পতাকা |
জনসংখ্যা: ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের হিসাব অনুসারে মোট জনসংখ্যা ২,৬০৬,৯৭১।
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.৭ উল্লেখযোগ্য জাতিগোষ্ঠী : ওভাম্বো (৪৯.৫%),
কাভাঙ্গো (৯.২%), কলর্ড (৮%), হেরেরো (৭%), ডামারা (৭%), নামিবিয়ান শেতাঙ্গ (৭%)।
ভাষা: ইংরেজি সরকারি ভাষা।
অর্থনীতি:
দেশটির অর্থনীতি মূলত খনিজ সম্পদের ওপর নির্ভরশীল। এ ছাড়া কৃষি,
নির্মাণশিল্প ও পর্যটনেরও এতে অবদান রয়েছে। দেশজ উৎপাদনের একটা বড় অংশ (১৪.৫ শতাংশ)
আসে পর্যটন থেকে। প্রতিবছর লাখ লাখ পর্যটক নামিবিয়া সফর করে।
মুদ্রার নাম:
নামিবীয় ডলার
ইতিহাস: নামিবিয়ার স্থানীয় অধিবাসী দামারা ও নামা সম্প্রদায়ের লোকজন। চতুর্দশ
শতাব্দীতে এই এলাকায় এরা অভিবাসী হিসেবে প্রবেশ করে। পরে ক্রমেই তাদের জনসংখ্যা বাড়তে
থাকে। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগে এরাই নামিবিয়ার সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীতে পরিণত হয়।
এরা বর্তমানে ওভামবো জনগোষ্ঠী নামে পরিচিত।
খ্রিষ্টীয় ১৫ শতকে পর্তুগিজরা নামিবিয়ায় প্রবেশ করে। এরপর থেকে এই অঞ্চলের উপর পর্তুগিজরা নিজেদের আধিপত্য বিস্তারে সক্ষম হয়।
১৮৮৪ দেশটি জার্মানদের অধিকারে চলে যায়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় দক্ষিণ-পশ্চিম আফ্রিকার
জার্মান উপনিবেশগুলো দক্ষিণ আফ্রিকার অধীনে চলে যায়। তখন এর নাম ছিল দক্ষিণ-পশ্চিম আফ্রিকা।
১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দে দক্ষিণ-পশ্চিম আফ্রিকার নাম পরিবর্তন করে নামিবিয়া নামকরণ করা হয়। এরপর দেশটির মার্কসবাদী সংগঠন
সোয়াপোর নেতৃত্বে স্বাধীনতার জন্য গেরিলা যুদ্ধ শুরু হয়। পরে জাতিসংঘের শান্তি
প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দের ২১শে মার্চ দক্ষিণ আফ্রিকার কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ
করে নামিবিয়া।
১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ এপ্রিল দেশটি জাতিসংঘে যোগদান করে।