সপ্তম নৌবহরের লোগো |
সপ্তম নৌবহর
যুদ্ধজাহাজ USS George Washington (CVN 73) |
১৯৪৩ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ই মার্চ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনে প্রথম সপ্তম নৌবহর তৈরি করা হয়। এই সময় এই নৌবহরের কমান্ড অফ এ্যাডমিরাল ছিলেন
Arthur S. "Chips" Carpender। এই সময় দক্ষিণ-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের (South West Pacific Area (SWPA)) উপর নজরদারী করতো এই নৌবহর। এই নজরদারীর দায়িত্ব ছিল জেনারেল Douglas MacArthur-এর উপর। ১৯৪৩ থেকে ১৯৪৫ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বেশিরভাগ অস্ট্রেলিয়ার নৌজাহাজ এই নৌবহরের সাথে যুক্ত ছিল।দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, ১৯৪৪ খ্রিষ্টাব্দের ২৩-২৬ অক্টোবরে অনুষ্ঠিত ফিলিপাইন সাগরে জাপানী নৌবাহিনীর সাথে যুদ্ধের কারণে, এই নৌবহরকে বিশাল নৌবহরে পরিণত করা হয়। এই সময় এই নৌবহরের অধিনায়ক ছিলেন Admiral Thomas C. Kinkaid। এই যুদ্ধটি Battle of Leyte Gulf নামে পরিচিত। উল্লেখ্য এই যুদ্ধকে ইতিহাসে সবচেয়ে বড় নৌযুদ্ধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
১৯৪৪ খ্রিষ্টাব্দের ২০ অক্টোবর মার্কিন সৈন্যরা ফিলিপাইনের নিকটবর্তী জাপান অধিকৃত লেইতে দ্বীপে অবতরণ করে। উদ্দেশ্য ছিল জাপান থেকে জাপান অধিকৃত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশসমূহকে বিচ্ছিন্ন করা। ফলে জাপানী নৌবহর এই দ্বীপ উদ্ধারের জন্য অগ্রসর হয়। জাপানের আক্রমণ ঠেকানোর জন্য, এই নৌবহরের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় নৌবহরকে নিয়োগ করা হয়। পর্যাপ্ত যুদ্ধ বিমান এবং তেলবাহী বড় বড় জাপানী জাহাজের তেলের অভাবে, জাপান এই দ্বীপ দখল করতে ব্যর্থ হয়। এই যুদ্ধের পর সপ্তম নৌবহরের সদর দফতর চীনের কুইংডাও অঞ্চলে স্থানান্তরিত হয়।
১৯৪৫ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ আগষ্ট, পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ৫টি টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়। মূলত চীনের জাতীয়তাবাদী যোদ্ধা এবং জাপানী পরিবহন জাহাজগুলোকে প্রতিহত করার জন্য এই টাস্ক ফোর্সগুলো তৈরি করা হয়েছিল। এই টাস্কফোর্সগুলোর নাম ছিল−
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষে ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দের ১লা জানুয়ারি, এই নৌবহরের নতুন নাম দেওয়া হয় Naval Forces Western Pacific। ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দে এই নৌবহরকে ফিলিপাইন আনা হয় এবং এখানে এর মূল ঘাঁটি হিসেবে গড়ে তোলার কার্যক্রম শুরু হয়। এই সময় সুবিক উপসাগরে তাদের নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি করে। যুদ্ধকালীন সময় অতিক্রান্ত হলে, এই নৌবহরের প্রধান প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌবহরের অধীনে আনা হয়। তখন এর কমান্ডার ছিলেন Admiral Arthur E. Radford। কিন্তু এই অঞ্চলের যেকোনো স্থানের যুদ্ধের জন্য এই নৌবহরকে প্রস্তুত রাখা হয়।
নিউজার্সি যুদ্ধজাহাজ |
১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৯
আগষ্ট এই নৌবহরকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সপ্তম টাস্ক ফোরস (United
States Seventh Task Fleet)
হিসেবে তৈরি করা হয়। ১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দে কোরিয়ান যুদ্ধকে সমানে রেখে একে নতুনভাবে
সজ্জিত করা হয় এবং এ সময় এর নামককরণ করা হয়
United States Seventh Fleet।
পরে ধীরে ধীরে এই নৌবহরের স্থায়ী ঘাঁটি করা হয় জাপানের
ইয়োকোসুকো। উল্লেখ্য দ্বিতীয়
বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানীরা একটি নৌঘাঁটি তৈরি করেছিল এখানে। জাপানের আত্মসমর্পণের
পর, মার্কিন সৈন্যরা এই ঘাঁটি দখল করে নেয়। পরে মার্কিন এই নৌ ঘাঁটি সংস্করণ করে,
মার্কিন নৌবাহিনীর জন্য একটি শক্তিশালী ঘাঁটিতে পরিণত করে। কোরিয়ান এবং ভিয়েৎনামের যুদ্ধে
এই নৌঘাঁটি বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয়। ১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দের ৩রা
জুলাই প্রথম সপ্তম নৌবহরের ৭৭ নম্বর টাস্ক থেকে ফোর্স জেট এয়ারক্রাফ্ট ব্যবহার করা হয়।
কোরিয়ার ইনচোনে মার্কিন সৈন্যের অবতরণের পর এই নৌবহর থেকে উভচর জাহাজ ব্যবহার করা
হয়। কোরিয়ান যুদ্ধে এই নৌবহর থেকে অংশগ্রহণ করে
Iowa, New Jersey, Missouri
এবং
Wisconsin
নামক
যুদ্ধজাহাজসমূহ। এই
জাহাজগুলো ফ্ল্যাগশিপ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এই যুদ্ধে সপ্তম নৌবহরের টাস্ক
ফোর্স-৭০ বিমান বাহিনীর সহায়তায় সমুদ্রপথকে নিরাপদ রাখার জন্য টহলদারের দায়িত্ব
পালন করে। এর টাস্ক ফোর্স-৭২ ফরমোজা দ্বীপাঞ্চলে একইভাবে নজরদারি করে।
টাস্ক ফোর্স-৭৭ এবং ৭৯ থেকে সেনাবাহিনীকে সরাসরি সাহায্যের কাজে নিয়োজিত করা হয়।
কোরিয়ান যুদ্ধের পর
ইয়োকোসুকো সপ্তম নৌবহরের প্রধান ঘাঁটিতে পরিণত হয় এবং এখনও তা আছে।
কোরিয়া যুদ্ধের পর এই নৌবহর ১৯৫৯ খ্রিষ্টাব্দে লাওস এবং ১৯৬২ খ্রিষ্টব্দে
থাইল্যান্ডের যুদ্ধবিগ্রহে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করে। ১৯৫৯, ১৯৬০ এবং ১৯৬১
খ্রিষ্টাব্দে ক্রমান্বয়ে এই নৌবহরের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয় এবং এই নৌবহর দক্ষিণ চীন
সাগরের সামরিক নিয়ন্ত্রণকে সুসংহত করে। ১৯৬১ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিল মাসের শেষে এই
নৌবহরকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সংলগ্ন সমুদ্র নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব দেওয়া হয়। বিশেষ করে ইন্দোচীন
প্রণালীতে এই নৌবহর অবস্থান নিয়ে লাওসে সামারিক কর্মকাণ্ডে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ
করে। এই সময় এই বহরে যুক্ত ছিল
কোরাল সি এবং মিডওয়ে নামক বিমানবাহী রণতরী, কিয়ারস্যাঙ নামক উভচর সাবমেরিন ধ্বংসী
বিমানবাহী রণতরী, একটি হেলিক্প্টার বাহী রণতরী, একগুচ্ছ উভচর জাহাজ, দুটি সাবমেরিন
এবং তিনটি অবতরণযোগ্য নৌযোদ্ধাদের দল। এছাড়া ওকিওয়ানা এবং ফিলিপাইনের উপকূলীয়
ঘাঁটিতে প্রস্তুত রাখা হয়েছিল আকাশে টহলদার বিমান বাহিনীর এক স্কোয়াড্রন বিমান এবং
অতিরিক্ত তিনটি অবতরণযোগ্য নৌসেনার দল। ১৯৬৩ খ্রিষ্টাব্দে সপ্তম নৌবহরের
জাহাজগুলো, কোরিয়ান রিপাব্লিকের নৌবাহিনীর সাথে যৌথ নৌ-মহড়া করে।
হিউ : (বেল ইউএইচ-১ ইরোকুইস |
ভিয়েৎনাম যুদ্ধের সময় সপ্তম নৌবহরকে ব্যবহার করা হয়েছিল। বিশেষ করে এই নৌবহর থেকে পরিচালিত হতো ভিয়েৎনামের অভ্যন্তরে বিমান আক্রমণ। ভিয়েৎনামের পাহাড়ি জঙ্গলময় অঞ্চলে সৈন্য সরবরাহ, সৈন্যদের রসদ যোগানো, সুনির্দিষ্টভাবে কোনো জায়গায় আঘাত হানার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল নানা ধরনের প্রায় ১২০০০ হেলিকপ্টার। অবশ্য এর ভিতরে প্রায় ৫০০০ হেলিকপ্টার ভিয়েৎনামী গেরিলারা ধ্বংস করে দিয়েছিল। এর ভিতরে উল্লেখযোগ্য হেলিকপ্টার ছিল- হিউ : বেল ইউএইচ-১ ইরোকুইস, বেল এএইচ-১ কোবরা, বোয়িং সিএইচ-৪৬ সী-নাইট, বোয়িং সিএইচ-৪৭ শিনুক, সিকোরস্কি এইচ-৩৪ চকটাও, সিকোরস্কি এইচএইচ-৩ জলি গ্রিন জায়ান্ট, সিকোরস্কি সিএইচ-৫৩ সী-স্ট্যালিয়ন।
১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে সংঘটিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের পক্ষালম্বন করে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে নস্যাৎ করে দেয়ার জন্য পাকিস্তানের সহযোগী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র প্রচেষ্টা চালায়।
১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের পরাজয় নিশ্চিত দেখে মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্র
জাতিসংঘকে ব্যবহার করে−
পাকিস্তানের পক্ষে সামরিক শক্তি প্রয়োগের হুমকি দেয়। কিন্তু
রাশিয়ার বিরোধিতায় ব্যর্থ হয়ে একতরফা শক্তি প্রদর্শনের
সিদ্ধান্ত নেয় আমেরিকা। এ সময় ভিয়েতনাম যুদ্ধের কারণে সপ্তম নৌবহরের বেশির ভাগ
জাহাজ ভিয়েৎনামের কাছাকাছি ছিল। ৯ ডিসেম্বর তৎকালীন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নিক্সন
সপ্তম নৌবহরকে
বঙ্গোপসাগরের দিকে রওনা দিতে আদেশ দেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সপ্তম নৌবহর
টাস্কফোর্স-৭৪এর প্রধান যুদ্ধজাহাজ USS Enterprise |
১৫ ডিসেম্বর সপ্তম নৌবহরের বিরুদ্ধে
সোভিয়েত ইউনিয়ন যুদ্ধজাহাজ
নিয়োগ করে। এই দিন
২০টি সোভিয়েত রণতরী
ভারত মহাসাগরে অবস্থান নেয়। এরপর সপ্তম নৌবহর যুদ্ধে
অংশ নেয়া থেকে নিজেদের বিরত রাখে এবং এই নৌবহরকে ফিরিয়ে
নেয়।
১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দের ২৯ মার্চের মধ্যে
ভিয়েৎনাম থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের সেনা প্রত্যাহার করে। এরপর এই নৌবহর
উত্তর ভিয়েৎনামের উপকূলীয় জলপথে জল মাইন অপসারণের কাজ করে।
১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দের ২ আগষ্ট ইরাক কুয়েতে আগ্রাসী অভিযান চালায়। এই
সময় প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের আদেশে ইরাকে সপ্তম নৌবহর মার্কিন নৌবাহিনীর সহায়ক শক্তি
হিসাবে ব্যবহৃত হয়। সেপ্টেম্বরের ১ তারিখে এই নৌবহরের
Blue Ridge
নামক যুদ্ধ জাহাজ এই আক্রমণে যুক্ত হয়। ইরাকের
Desert Shield and Operation Desert Storm
-এই জাহাজ প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করে। ১৯৯১
খ্রিষ্টাব্দের এই নৌবহরের জাহাজগুলো জাপানের ইয়োকোসুকা ঘাঁটতে ফিরে যায়।
১৯৯৪ খ্রিষ্টাব্দ থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অংশভাগী হয়ে এই নৌবহর বিশেষ দায়িত্ব পালন করছে। ১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দে তাইওয়ানের জন্য বিশেষ সামরিক ব্যবস্থার পরিকল্পনা গ্রহণ করে। ১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দে ইন্দোনেশিয়া থেকে দ্রুত মার্কিন নাগরিক অপসারণের দায়িত্ব পালন করে। ২০০১ খ্রিষ্টাব্দ থেকে এই নৌবহর এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধের তদারকী শুরু করে। ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে ভূমিকম্প এবং সুনামি'র দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের উদ্ধার এবং তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় এই নৌবহর সাহায্য করে। এই সময় এই নৌবহরের চিকিৎসালয়-জাহাজ USNS Mercy (T-AH-19) ব্যবহার করা হয়।
২০১১ খ্রিষ্টাব্দের ১১ই মার্চ জাপানের
উত্তরাঞ্চলে
সুনামি আঘাত করলে এই নৌবহর থেকে ব্যাপক সাহায্য করা হয়। এই সময় ২২টি জাহাজ
১৩২টি আকাশযান এই সাহায্য কর্মে অংশগ্রহণ করে।
সপ্তম নৌবহরের অধিনায়কদের নাম ও কার্যকালের তালিকা
•Vice Adm. Arthur S. Carpender (15 March-26 November 1943)
•Vice Adm. Thomas C. Kinkaid (26 November 1943 - 20 November 1945)
•Vice Adm. Daniel E. Barbey (20 November 1945 - 2 October 1946)
•Vice Adm. Charles M. Cooke, Jr. (2 October 1946 - 28 February 1948)
•Vice Adm. Oscar C. Badger II (28 February 1948 - 28 August 1949)
•Vice Adm. Russell S. Berkey (28 August 1949 - 5 April 1950)
•Rear Adm. Walter. F. Boone (5 April - 20 May 1950)
•Vice Adm. Arthur D. Struble (20 May 1950 - 28 March 1951)
•Vice Adm. Harold. M. Martin (28 March 1951 - 3 March 1952)
•Vice Adm. Robert P. Briscoe (3 March - 20 May 1952)
•Vice Adm. Joseph. J. Clark (20 May 1952 - 1 December 1953)
•Vice Adm. Alfred M. Pride (1 December 1953 - 9 December 1955)
•Vice Adm. Stuart H. Ingersoll (19 December 1955 - 28 January 1957)
•Vice Adm. Wallace M. Beakley (28 January 1957 - 30 September 1958)
•Vice Adm. Frederick N. Kivette (30 September 1958 - 7 March 1960)
•Vice Adm. Charles D. Griffin (7 March 1960 - 28 October 1961)
•Vice Adm. William A. Schoech (28 October 1961 - 13 October 1962)
•Vice Adm. Thomas H. Moorer (13 October 1962 - 15 June 1964)
•Vice Adm. Roy L. Johnson (15 June 1964 - 1 March 1965)
•Vice Adm. Paul P. Blackburn (1 March - 9 October 1965)
•Rear Adm. Joseph W. Williams, Jr. (9 October - 13 December 1965)
•Vice Adm. John J. Hyland (13 December 1965 - 6 November 1967)
•Vice Adm. William F. Bringle (6 November 1967 - 10 March 1970)
•Vice Adm. Maurice F. Weisner (10 March 1970 - 18 June 1971)
•Vice Adm. William P. Mack (18 June 1971 - 23 May 1972)
•Vice Adm. James L. Holloway III (23 May 1972 - 28 July 1973)
•Vice Adm. George P. Steele (28 July 1973 - 14 June 1975)
•Vice Adm. Thomas B. Hayward (14 June 1975 - 24 July 1976)
•Vice Adm. Robert B. Baldwin (24 July 1976 - 31 May 1978)
•Vice Adm. Sylvester Robert Foley, Jr. (31 May 1978 - 14 February 1980)
•Vice Adm. Carlisle A.H. Trost (14 February 1980 - 15 September 1981)
•Vice Adm. M. Staser Holcomb (15 September 1981 - 9 May 1983)
•Vice Adm. James R. Hogg (9 May 1983 - 4 March 1985)
•Vice Adm. Paul F. McCarthy, Jr. (4 March 1985 - 9 December 1986)
•Vice Adm. Paul D. Miller (9 December 1986 - 21 October 1988)
•Vice Adm. Henry H. Mauz, Jr. (21 October 1988 - 1 December 1990)
•Vice Adm. Stanley R. Arthur (1 December 1990 - 3 July 1992)
•Vice Adm. Timothy W. Wright (3 July 1992 - 28 July 1994)
•Vice Adm. Archie R. Clemins (28 July 1994 - 13 September 1996)
•Vice Adm. Robert J. Natter (13 September 1996 - 12 August 1998)
•Vice Adm. Walter F. Doran (12 August 1998 - 12 July 2000)
•Vice Adm. James W. Metzger (12 July 2000 - 18 July 2002)
•Vice Adm. Robert F. Willard (18 July 2002 - 6 August 2004)
•Vice Adm. Jonathan W. Greenert (6 August 2004 - 12 September 2006)
•Vice Adm. William Douglas Crowder (12 September 2006 - 12 July 2008)
•Vice Adm. John M. Bird (12 July 2008 - 10 September 2010)
•Vice Adm. Scott R. Van Buskirk (10 September 2010 - 7 September 2011)
•Vice Adm. Scott Swift (7 September 2011 - 31 July 2013)
•Vice Adm. Robert Thomas Jr. (31 July 2013 - Present)
সূত্র :
সপ্তম নৌবহরের ওয়েব পৃষ্ঠা :
http://www.c7f.navy.mil/index.htm