হ্রদ
বানান বিশ্লেষণ : +র্+অ+দ্+অ।
উচ্চারণ:
rɦɔ
(র্‌হ্‌দ)
শব্দ-উৎস: সংস্কৃত ह्रद (হ্রদ)>বাংলা
হ্রদ।
রূপতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ: হ্রাদ্ (শব্দ করা) +অ (অচ্), কর্তৃবাচ্য
ইংরেজি: lake

স্থল বেষ্টিত বিশালকার জলাশয়কে হ্রদ বলা হয়। সাধারণত হ্রদের পানি স্রোতবিহীন মনে হয়। কিন্তু হ্রদের সাথে কোনো না কোনো নদীর সংযোগ থাকায়, হ্রদে মৃদু স্রোত লক্ষ্য করা যায়।

উৎপত্তির বিচারে হ্রদকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। এই ভাগ দুটি হলো
প্রাকৃতিক হ্রদ ও কৃত্রিম হ্রদ। প্রাকৃতিক হ্রদ তৈরি হয়েছে পৃথিবীর ভূভাগের ক্রম-বিবর্তনের ধারায়। যেমন উত্তর আমেরিকার এরিয়ে (Lake Erie) পক্ষান্তরে কৃত্রিম হ্রদ তৈরি হয়েছে  মানুষের দ্বারা। যেমন বাংলাদেশের কাপ্তাই হ্রদ।

হ্রদ থেকে কোনো নদী প্রবাহিত হতে পারে বা নদী কোনো হ্রদে পতিত হতে পারে। হ্রদ সরাসরিভাবে কোনো সাগর বা মহাসাগরের অংশ হিসাবে থাকে না। হ্রদ গভীরতা বা আয়তনে দীঘি বা পুকুরের চেয়ে বহু বহু গুণ বড়। অধিকাংশ প্রাকৃতিক হ্রদ সৃষ্টি হয়েছিল
পৃথিবীর শেষ বরফযুগে (প্লেইস্টোসিনে বরফযুগ)। পাহাড়ী অঞ্চলের হ্রদগুলোর পানির উৎস পাহাড়ি ঝর্না এবং বরফগলা পানি। কিন্তু পাহাড় থেকে দূরবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত হ্রদগুলোর পানির উৎস এক বা একাধিক নদী। 

হ্রদের তালিকা


সূত্র :
http://en.wikipedia.org