অ (অণ্)
১. সংস্কৃত কৃৎপ্রত্যয় এই প্রত্যয়ের ণ্ বর্ণটি ইত্ হয় এবং অবশিষ্ট অ-বর্ণটি ক্রিয়ামূলে সাথে যুক্ত হয়। এক্ষেত্রে ক্রিয়ামূলে যে পরিবর্তন ঘটে তা হলো

       এই প্রত্যয় যুক্ত হলে, ক্রিয়ামূলের বানান পরিবর্তিত হয়। যেমন
            অ>আ
        কম (ইচ্ছা করা, কামনা করা) + অ (অণ্) =কাম
            ঋ>অর        কুম্ভ (কর্মপদ) + কৃ  (করা) +অ (অণ্)=কুম্ভকার।

       দশন্ (দশ)-√অর্হ (পূজা করা) +অ (অণ্), কর্তৃবাচ্য।=দশার্হ (দানাদি দশ বিষয়ে যোগ্য)
       ক্ষমা-√অর্হ (পূজা করা) +অ (অণ্)। কর্তৃবাচ্য,=ক্ষমার্হ (ক্ষমার যোগ্য)

২. সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়। এই প্রত্যয়ের প্রচলিত বানান হলো ষ্ণ। বঙ্গীয় শব্দকোষ, বাংলা একাডেমী ব্যবহারিক অভিধানে এই প্রত্যয়টি অ (অণ) হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে। এই প্রত্যয় শব্দের সাথে যুক্ত হয়ে আদ্য স্বরবর্ণের মান পরিবর্তন করে। যেমন

                  অ>আ          ফল্গুনী + অ (অণ্) =ফল্গুন
                  ই>ঐ          
কিতব + অ (অণ্)=কৈতব
                  উ>ঔ             কুশল +অ (অণ্) =কৌশল
                                      এরূপ : গুণ>গৌণ
                  ও>ঔ           ওষধি+
অ (অণ্)=ঔষধ
                  এ>ঐ
           এক + অ (অণ্) =ঐক    

নিচে এই প্রত্যয়জাত শব্দের তালিকা তুলে ধরা হলো।
মনু>মানব।


সূত্র :