কারক
সংস্কৃত
कारक
(কারক)>বাংলা
কারক।
√কৃ
(করা) +
অক (ণ্বুল),
কর্তৃবাচ্য।
ইংরেজি
: case,
grammatical case
।
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{|
ব্যাকরণগত শ্রেণি
|
সমগোত্রীয়
শ্রেণি
|
সংকলন
|
দল |
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত-সত্তা |
সত্তা
|}
প্রচলিত বাংলা
ব্যাকরণের সংজ্ঞায় বলা
হয়–
বাক্যের ক্রিয়াপদের
সাথে অন্যান্য পদের সম্বন্ধই
হলো– কারক।
বাংলা ব্যাকরণের এই সংজ্ঞাকে গ্রহণ করা হয়েছে, পাণিনির অষ্টাধ্যায়ী
১ ব্যাকরণ অনুসারে। এই
ব্যাকরণের 'ক্রিয়ান্বয়ি কারকম' বাক্যটির
সরল বাংলা দাঁড়ায় ক্রিয়ার
সহিত যাহার অন্বয় হয়, তাকে কারক বলে।২
সংস্কৃত ব্যাকরণ অনুসারে তিনটি পদ কারক হিসাবে বিবেচিত হয় না। এই পদ তিনটি হলো–
১. ক্রিয়াপদ।
২. সম্বোধন পদ কারক হবে না। যেমন– ওহে, বাড়ি চলো। এখানে 'ওহে' কারক হবে না। ৩. সম্বন্ধ পদ কারক হবে না। যেমন রাজার ছেলে বাড়ি যায়। এখানে 'রাজার' শব্দটির সাথে ক্রিয়ার সম্পর্ক নেই, আছে ছেলের সাথে। |
পাণিনির
অষ্টাধ্যায়ী
১
মতে – অপাদান-সম্প্রদান-করণাধার-কর্মণাম্।
কর্ত্তুশ্চান্যোন্য-সন্দেহে, পরমেকং প্রবর্ত্ততে॥
এই
বিচারে কারককে
সংখ্যা
৬টি। এগুলো
হলো-
অপাদান,
সম্প্রদান,
করণ,
অধিকরণ,
কর্ম,
কর্তা।
পাশ্চাত্য ব্যাকরণে সম্বন্ধপদকে কারক হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
Wordnet
-এর মতে–
case, grammatical case--nouns
or pronouns or adjectives (often marked by inflection) related in some way to
other words in a sentence)। এই সূত্রে সংস্কৃত
রীতি অনুসারে সৃষ্ট বাংলা কারক এবং পাশ্চাত্য ব্যাকরণের কারক একরকম হয় না। যেমন–
১. কর্তা, কর্ম, করণ,
অপাদান, অধিকরণ কারকের সাথে পাশ্চাত্য কারকের মিল পাওয়া গেলেও, অন্যান্য কারকের
ক্ষেত্রে মিল পাওয়া যায় না। যেমন-
১. পাশ্চাত্য ব্যাকরণে
সম্প্রদানকারক নাই।
২. সম্বন্ধ এবং সম্বোধন পদ
বাংলাতে কারক নয়, কিন্তু পাশ্চাত্য মতে এই দুটি পদ পৃথক কারক হিসাবে বিবেচনা করা
হয়।
বাংলা এবং পাশ্চাত্য
ব্যাকরণ মতে কারকের যে কয়টি নাম পাওয়া যায়, তা হলো–
১. কর্তৃ বা কর্তা কারক :
nominative case
২. কর্ম কারক
accusative case
৩. করণ কারক :
instrumental case
৪. অপাদান কারক :
ablative case
৫. অধিকরণ কারক :
locative case
৬. সম্বন্ধ পদ (বাংলাতে কারক নয়) :
genitive case,
Possessive case
৭. সম্বোধন পদ (বাংলাতে কারক নয়)
:
vocative case
৮. সম্প্রদান কারক :
dative case
কারক ও বিভক্তি
পাণিনি'র সংস্কৃত ব্যাকরণ
অনুকরণে
বাংলা ব্যাকরণে এই বিষয়টি প্রবেশ করেছে। তবে
বাংলা বাক্যরীতি অনুসারে কারকের
বিভক্তি নির্ণিত হয় বাংলা বিভক্তি
অনুসারে। এই বিভক্তি কারক
বিভক্তি নামেই অভিহিত হয়ে থাকে।
দেখুন :
কারক বিভক্তি
সূত্র:
১. পাণিনির
অষ্টাধ্যায়ী। শ্রীদেবেন্দ্র কুমার বিদ্যারত্ন কর্তৃক সম্পাদিত ও
শ্রীসত্যরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় কর্তৃক ভূমিকা সম্বলিত। বলরাম প্রকাশনী। মহালয়া ২০০৩।
২. সমগ্র ব্যাকরণ কৌমুদী।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।
৩. ভাষা-প্রকাশ বাঙ্গালা-ব্যাকরণ। সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়। রূপা। বৈশাখ
১৩৯৬। মে ১৮৮৯।
৪.
http://wordnet.princeton.edu/
৫.
http://en.wikipedia.org/wiki/Grammatical_case