সত্তাতত্ত্ব
সংস্কৃত
सत्ता (সত্তা)>বাংলা সত্তা + সংস্কৃত तत्त्व (তত্ত্ব)>বাংলা তত্ত্ব
সত্তা {Ö
অস্ (হওয়া) +অৎ (শতৃ)=সৎ +তা} + তত্ত্ব {তৎ {তন্ (বিস্তার করা) + ত (ক্ত), কর্মবাচ্য} +ত্ব}
সত্তা বিষয়ক তত্ত্ব/
কর্মধারয় সমাস
বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা {
|
অধিবিদ্যা | দর্শন | মানবিক বিজ্ঞা | জ্ঞান-শাখা | জ্ঞানস্বক্ষেত্র | ্রজ্ঞা | জ্ঞান | মনস্তাত্ত্বিক বিষয় | বিমূর্তন | বিমূর্ত সত্ত | সত্তা |}
ইংরেজি : Ontology

ল্যাটিন ভাষায় বিষয়টির নামকরণ করা হয়েছিল ontologia { গ্রিক ont (সত্তা সম্বন্ধে)+ logy হলো- বিজ্ঞান, অনুশীলন, সূত্র}। ১৬১৩ থেকে ১৭২১ সালের ভিতরে ইংরেজি ভাষায় শব্দটি অনুপ্রবেশ করেছে Ontology হিসাবে। মূলত,
আমাদের চারপাশের বস্তু জগৎ এবং মনোজগতের যা কিছু একক পরিচিত নিয়ে বিদ্যমান, তার সবই এক একটি সত্তা। যেমন আমদের বস্তু জগতের কথাই ধরা যাক। আস্ত একটি মানুষ যেমন একটি সত্তা। আবার মানুষের শরীরে এবং মনের অবস্থার যে কোন অংশও সত্তা। শরীরে অংশ হিসাবে সত্তা হতে পারে- চোখ, চোখের পাতা, চোখের পাতার পশম। আবার একজন মানুষের স্বপ্ন, আনন্দ, বেদনা, চিন্তা, ভাবনা ইত্যাদি অবস্তুবাচক এবং মানসিক অবস্থার সাথে সম্পৃক্ত বিষয়ও হতে পারে সত্তা। আর এই সত্তা বিষয়ক বিদ্যাই হলো- সত্তাতত্ত্ব।

সত্তার প্রকৃতিকে বিভিন্ন অর্থে বিভিন্ন ভাগে করা হয়েছে। যেমন-
১. উৎপত্তির-উৎসের স্বরূপ অনুসারে সত্তা দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। এই ভাগ দুটি হলো-
        ক. ভাববাদ (Idealism)
        খ. জড়বাদ (Materialism)  
২.সত্তার উৎপত্তির-উৎসের সংখ্যানুসারে তিনটিভাগে ভাগ করা যায়। এই ভাগ তিনটি হলো-
        ক। একত্ববাদ বা অদ্বৈতবাদ (Monism)
        খ। দ্বৈতবাদ (
Dualism)
        গ। বহুত্ববাদ (Pluarlism)।
৩. অস্তিত্বের স্বরূপগত বিচারে সত্তা দুই প্রকার। এই প্রকার দুটি হলো-
            ক। দৈহিক সত্তা  (Physical entity)
            খ। বিমূর্ত সত্তা (Abstract entity)