৪.
ক্রিয়ামূলের শেষ বর্ণ ন, ম থাকলে, তা ত বর্ণে পরিণত হয়।
যেমন-
ন>ত
√জন্>
জাত
ম>ত
√কম্>কান্ত
√গম্
>গত,
√রম্>রত
√বৃধ্>বৃদ্ধ,,
√হেব্>হূত।
৫.
ঋ এর পরে যুক্ত হলে প্রত্যয়ের ত পরিবর্তিত হয়ে ণ হয়। যেমন-
√ঋ
(গমন করা, পাওয়া) +ত
(ক্ত)
=ঋণ
৬.
ক্রিয়ামূলের শেষ বর্ণ ধ্ থাকলে, তা
দ্ধ-তে পরিণত হয়। যুক্তবর্ণ হিসেবে ধ্ থাকলে এর পূর্ব-সহগ ন ধ্বনি থকলেও তা দ-এ
পরিণত হয়। যেমন‒
√বন্ধ্>বদ্ধ,
√যুধ্>যুদ্ধ
এই প্রত্যয়জাত যে সকল পদ বাংলাতে ব্যবহৃত হয়, তার তালিকা নিচে দেওয়া হলো।
Öআন্দোল্ (আন্দোলিত করা) +ত (ক্ত) =আন্দোলিত
Öআন্দোলি (আন্দোলিত করা) +ত (ক্ত) =আন্দোলিত।
√ইষ্ (ইচ্ছা করা)+ ত (ক্ত) =ইষ্ট।
√ঋ (গমন করা, পাওয়া) +ত (ক্ত) =ঋণ
√কণ্ড্ (তুষহীন করা) + ত (ক্ত)= কণ্ডিত
√কুৎস্ (নিন্দা করা) +ত (ক্ত) =কুৎসিত
√ক্ষুদ্ (চূর্ণ করা) +ত (ক্ত)=ক্ষুণ্ণ
√ক্ষুধ্ (ক্ষুব্ধ হওয়া) + ত (ক্ত)=ক্ষুধিত
√গম্ (গমন করা) + ত (ক্ত)=গত
√গুপ্ (রক্ষা করা, গোপন করা) +ত (ক্ত)=গুপ্ত
Öচট্ (ভেদ করা) +ত (ক্ত) =চটিত
√চিৎ (বোধ হওয়া) +ত (ক্ত)=চিত্ত।
√ত্রুট্ (ছিন্ন হওয়া) + ত (ক্ত) =ত্রুটিত
√ত্রৈ (রক্ষা করা) +ত (ক্ত)=ত্রাণ।
√দী (ক্ষয়) +ত (ক্ত)=দীন
√দীপ্ (দীপ্তি) +ত (ক্ত)=দীপ্ত
√দৃপ (গর্ব)+ত (ক্ত)=দৃপ্ত
আ-√নহ্ (বন্ধন)+ত (ক্ত) =আনদ্ধ
√পট্ (আচ্ছাদিত করা) +ত (ক্ত)= পট্ট
√বৃধ (বর্ধিত হওয়া) + ত (ক্ত)=বৃদ্ধ।
√ব্যধ্ (বিদ্ধ করা) + ত (ক্ত)=বিদ্ধ
√ভা (দীপ্তি) + ত (ক্ত)=ভাত
Öভিদ্ (ভেদ করা)+ ত (ক্ত) =ভিন্ন।
√যুধ্ (যুদ্ধ করা) + ত (ক্ত)=যুদ্ধ
√রম্ (আসক্তি) +ত (ক্ত)=রত
√লী (লীনভাব) +অ (অচ্)=লয়
Öশাস্ (অনুশাসন) +ত (ক্ত)=শাসিত
√সি (বন্ধন করা) +ত (ক্ত)=সিত
√হা (ত্যাগ করা) +ত (ক্ত) =হীন।
সূত্র :
বঙ্গীয় শব্দকোষ (প্রথম খণ্ড)। হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সাহিত্য অকাদেমী। ২০০১।
বাংলা একাডেমী ব্যবহারিক বাংলা অভিধান। মার্চ ২০০৫।
বাঙ্গালা ভাষার অভিধান (প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ড)। জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস। সাহিত্য সংসদ। নভেম্বর ২০০০।
শব্দবোধ অভিধান। আশুতোষ দেব। দেব সাহিত্য কুটির। মার্চ ২০০০।
সমগ্র ব্যাকরণ কৌমুদী। সাহিত্য সংসদ। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। ডিসেম্বর ২০০৩।
সরল বাঙ্গালা অভিধান। সুবলচন্দ্র মিত্র।