অংশ্
সংস্কৃত
ক্রিয়ামূল। এর ভাবগত
অর্থ হলো-
ভাগ করা, বিতরণ করা, অংশভাগ দেওয়া। এই ক্রিয়ামূলের সাথে যে সকল প্রত্যয় যুক্ত হয়ে নতুন পদ তৈরি হয়, তার ভিতরে যে সকল শব্দ বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত হয়– তার তালিকা দেওয়া হলো।
√
অংশ্ (ভাগ করা) +
অ (অ)=
অংশ
√অংশ্ (ভাগ করা) +
অ (অচ্)
=অংশ (ভাগ)
√অংশ (ভাগ করা) +
অক (ণ্বুল)=অংশক
√অংশ্
(ভাগ করা) +
অন্ (ল্যুট)
=
অংশন
√অংশ্
(ভাগ করা)+অনীয় (অনীয়রঃ)=অংশনীয়
√অংশ্
(ভাগ করা)
+ইন্ (ণিনি)=অংশিন>অংশী
√অংশ
(ভাগ করা)
+ত
(ক্ত)=অংশিত
√অংশ্
(ভাগ করা)+তব্য
=অংশয়িতব্য।
√অংশ্
(ভাগ করা)
+
মান (শানচ্)=
অংশমান।
উল্লেখ্য এই
ক্রিয়ামূলের
বিকল্প বানান অন্শ্ (অংশ্>অন্শ্)।
এই কারণে অভিধান বিশেষে
অংশ্-এর পরিবর্তে অন্শ্ ব্যবহৃত হতে দেখা যায়।
সূত্র :
-
বঙ্গীয় শব্দকোষ
(প্রথম খণ্ড)। হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সাহিত্য অকাদেমী। ২০০১।
-
বাংলা একাডেমী
ব্যবহারিক বাংলা অভিধান। মার্চ ২০০৫।
-
বাঙ্গালা ভাষার অভিধান
(প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ড)। জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস। সাহিত্য সংসদ। নভেম্বর ২০০০।
- ভাষাপ্রকাশ বাঙ্গালা ব্যাকরণ।
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়। রূপম। মে ১৯৮৯।
-
শব্দবোধ অভিধান।
আশুতোষ দেব। দেব সাহিত্য কুটির। মার্চ ২০০০।
-
সমগ্র ব্যাকরণ কৌমুদী।
সাহিত্য সংসদ। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। ডিসেম্বর ২০০৩।
-
সরল
বাঙ্গালা অভিধান।
সুবলচন্দ্র মিত্র।