অক (ণ্বুল)
সংস্কৃত কৃৎপ্রত্যয়

পাণি
নি অষ্টাধ্যায়ী ব্যাকরণ মতে ণ্বুল-তৃচৌ। অধ্যায় ৩, পাদ ১, সূত্র ১৩৩।  ভাষ্য মতে- কর্তৃবাচ্যের পরে ণ্বুল ও তৃচ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। এই প্রত্যয় যুক্ত হওয়ার নির্দেশ বিভিন্ন গ্রন্থে বিভিন্নভাবে দেখা যায়। যেমন

ক. অক (ণ্বুল) –বঙ্গীয় শব্দকোষ/হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়, বাংলা একাডেমী ব্যবহারিক বাংলা অভিধান, ভাষাপ্রকাশ বাঙ্গালা ব্যাকরণ/সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়।
খ. অক্- বাঙ্গালা ভাষার অভিধান-জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস।
গ. অক (ণক, ণ্বুল) –বাঙ্গালা ব্যাকরণ/ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ।
ঘ. ণক্- সরল বাঙ্গালা ভাষার অভিধান/সুবলচন্দ্র মিত্র।

এই বিশ্বকোষে এই বিভক্তি উল্লেখ করা হবে- অক (ণ্বুল)। এই প্রত্যয়জাত যে সকল শব্দ বাংলাতে ব্যবহৃত হয়, তার তালিকা নিচে দেওয়া হলো

অংশ্ (ভাগ করা) + অক (ণ্বুল)=অংশক
Öঅর্থ  (প্রার্থনা করা) +অক (ণ্বুল)=প্রার্থক
উপ-
আস (স্থিতি) + অক (ণ্বুল)= উপাসক

কণ্ট্ (সঙ্কোচ করা) +অক (ণ্বুল)=কণ্টক
যুধ্ (যুদ্ধ করা) + অক (ণ্বুল)=যোধক
Ö
ভাষ্ (কথা বলা) + অক (ণ্বুল)=ভাষক
Öশাস্ (অনুশাসন) +
অক (ণ্বুল)=শাষক
 

ণিজন্ত ক্রিয়ামূলের সাথে এই প্রত্যয় যুক্ত হওয়ার পর- ক্রিয়ামূলের অন্ত্য-ইকার লোপ পায়। যেমন
           
  
আপি {ই  +ই (ণিচ)}+ অক (ণ্বুল)=আপক
 

এই নিয়মে এই ক্রিয়ামূল থেকে যে সকল পদ তৈরি হয়, তার তালিকা নিচে তুলে ধরা হলো

আনন্দক : আ- নন্দি {নন্দ্ (আনন্দ পাওয়া)+ই (ণিচ)} +অক (ণ্বুল),,কর্তৃবাচ্য}


সূত্র :