শিরকর্ম
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{
নৃত্যকর্ম
| বিনোদন
|
নির্দিষ্ট কার্যকলাপ |
মনুষ্য কার্যকলাপ |
ঘটনা |
মনস্তাত্ত্বিক ঘটনা |
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত সত্তা |
সত্তা |}
নৃত্যকর্মের অংশ
বিশেষ। নৃত্যকর্মের সময় শরীরের বিভিন্ন অংশ সঞ্চালিত করা হয়। এর ভিতরে মস্তকের
সঞ্চালকে শিরকর্ম বলা হয়।
ভারতীয় নৃত্যকলায়
শির বা মস্তক হলো প্রধান ছয়টি অঙ্গের একটি। এই বিচারে
নৃত্যে আঙ্গিক অভিনয়ের একটি কর্ম হলো শিরকর্ম। মাথার নানা ধরণের সঞ্চালন এবং স্থির
দেহকাণ্ডের বিচারে মাথাকে বিন্যস্ত করার কাজ হলো শিরকর্ম।
অভিনয় দর্পণের মতে
শিরকর্ম ৯
প্রকার। এগুলো হলো—
সম, উদ্বাহিত, অধোমুখ, আলোলিত, ধূত, কম্পিত, পরাবৃত্ত, উৎক্ষিপ্ত, পরিবাহিত।
অন্যদিকে নাট্যশাস্ত্র মতে শিরকর্ম ১৩ প্রকার।
এগুলো হলো—
অঞ্চিত,
আকম্পিত, কম্পিত, ধূত, বিধূত, বাহিত, পরিবাহিত, উদ্বাহিত, অবধূত, অঞ্চিত, নিহঞ্চিত.
ওরাবৃত্ত, উৎক্ষিপ্ত, অধোগত ও লোলিত।
অঞ্চিত শিরকর্ম
নৃত্যের সময়- গ্রীবা একপাশে
অল্প
ঘুরিয়ে শির নত করলে তাকে অঞ্চিত বলা হয়। সাধারণত ব্যাধি, মূর্চ্ছা, উদ্বেগ, মত্ততা,
বেদনার্ত ভাব, চিন্তা ইত্যাদির ভাব প্রকাশের জন্য এই প্রকার শিরকর্ম করা হয়।
অধোমুখ শিরোকর্ম
নৃত্যের
সময়- শিরকে নিম্নমুখী করলে,
তাকে অধোমুখ শিরোকর্ম বলা হয়।
আকম্পিত
শিরকর্ম
শির ধীরে ধীরে উর্ধ্ব ও অধোমুখে সঞ্চালিত হলে এই
শিরকর্ম হয়।
সাধারণত শিক্ষা দেওয়া,
প্রশ্নকরা,
সম্বোধন করা,
নির্দেশ দেওয়া প্রভৃতি অর্থ প্রকাশ করতে এই
প্রকার শিরকর্ম প্রয়োগ করা হয়ে থাকে।
সূত্র : ভারতের নৃত্যকলা। গায়ত্রী চট্টোপাধ্যায়। নবপত্র প্রকাশন, ১৮৮৯