বিষ্ণুদিগম্বর
স্বরলিপি
পণ্ডিত
বিষ্ণুদিগম্বর পলুস্কর
১. স্বর-চিহ্ন : স্বরের জন্য সাধারণভাবে যে সকল সঙ্কেত ব্যবহৃত হয়, তা হলো–
সাধারণ শুদ্ধ স্বরচিহ্ন : সা রে গ ম প ধ নি
কোমল স্বরের নিচে হসন্ত বসে। যেমন কোমল ঋষভ
হবে—
কড়ি মধ্যমে
ম-এর নিচে
উল্টো হসন্ত বসে। কেউ কেউ শুধু ম ব্যবহার
করেন। যেমন-
বা ম।
উদারা সপ্তক :
প্রতিটি স্বরের উপরে বিন্দু বসে। যেমন—
মুদারা সপ্তক :
বাড়তি কোনো চিহ্ন বসে না।
তারা সপ্তক : এই সপ্তকের উপরে দণ্ড যুক্ত হয়। যেমন—
২. স্পর্শস্বর : কোনো স্বরের পূর্বে যখন অন্য স্বর নিমেষকালস্থায়ী হয়, তবে তা মূল স্বরের বামপ্রান্তে ঊর্ধ্বলিপিতে যুক্ত থাকবে। যেমন–
গ মূল স্বর
র স্পর্শ স্বর
স্বরলিপিতে তা প্রকাশিত হবে–
রেগ।
৩. রেশস্বর : কোনো স্বরের পরে যখন অন্য স্বর নিমেষকালস্থায়ী হয়ে, একটি রেশ
সৃষ্টি করে মাত্র, তখন তা মূল স্বরের ডানপ্রান্তে ঊর্ধ্বলিপিতে যুক্ত থাকবে।
যেমন–
গ মূল স্বর
ম রেশ স্বর
স্বরলিপিতে তা প্রকাশিত হবে- গম।
৫. মাত্রা প্রকাশক চিহ্ন
একমাত্রা : স্বরের নিচে অনুভূমিক রেখা বসে। যেমন— সা
অর্ধ মাত্রা : স্বরের নিচে শূন্য বসে। যেমন—
সিকি (১/৪) মাত্রা : স্বরের নিচে একটি মীড়ের চিহ্ন বসে।
১/৮ মাত্রা : স্বরের নিচে একটি দুটি মীড়ের চিহ্ন বসে। যেমন—
দেড়মাত্রা : স্বরের নিচে একটি অনুভূমিক রেখা এবং স্বরের পাশে একটি বিন্দু দেওয়া হয়। যেমন—
দুই মাত্রার স্বর : স্বরের একটি অনুভূমিক ইংরেজ এস বর্ণ বসে। যেমন—
চার মাত্রার স্বর : স্বরের একটি গুণচিহ্ন বসে। যেমন—
৬. স্বরের প্রলম্বিত অংশে বাণীরা সাথে সুরের সমন্বয়
কোনো স্বর একাধিক মাত্রা নিয়ে রেশ
রেখে চলতে থাকলে, তাহলে উক্ত স্বরের পরবর্তী মাত্রাগুলো
সেখানে ইংরেজি
৭. কোন স্বর যদি বক্র বন্ধনীতে আবদ্ধ থাকে, তাহলে ওই স্বর দুইভাবে গীত বা বাদিত হতে পারে। যেমন—
(গ) = রেগমগ
(গ)=মগরেগ
৮. তাল চিহ্ন :
সম চিহ্ন ১, ফাঁক চিহ্ন + অন্যান্য তালি সংখ্যা অঙ্কবাচক হয়, তবে তা নির্ধারিত হয় মাত্রার বিচারে। যেমন-
১
+ ৫
+ ৯
১১
ধা ধা | দেন্ তা
| কৎ তাগে |
দেন তা |
তেটে কতা | গদি
ঘেনে।
উল্লেখ্য এই পদ্ধতিতে ১৬ মাত্রার ত্রিতালকে ৮ মাত্রায় দেখানো হয়। ত্রিতালের মধ্যলয়ের পরিমাপ বুঝানোর জন্য এইভাবে ত্রিতাল লেখা হয়।
সূত্র :
সংগীত
পরিচিতি (উত্তর ভাগ)। শ্রীনীলরতন বন্দ্যোপাধ্যায়। ৪ এপ্রিল, ১৯৭৯।