বেসরা
প্রাচীন ভারতের এক প্রকার গীত

খ্রিষ্টীয় চতুর্থ শতাব্দীর সঙ্গীতজ্ঞ কশ্যপ বেসরাগীতি সম্পর্কে উল্লেখ করেছিলেন- 'স্থায়ী, অন্তরা, আরোহী, অবরোহী, -এই  চতুর্বর্ণের প্রয়োগ, যা শোভিত হয়ে রাগপ্রাপ্তি ঘটায় এবং এতদ্বারা সম্পূর্ণতা প্রাপ্তি হয়, তাকে সেই কারণে রাগ আখ্যা প্রদান করা হয়।'  তাঁর মতে- এই পর্যায়ের মুখ্য রাগ হলো- টক্ক।[বৃহদ্দেশী। পৃষ্ঠা ১৬২]

সঙ্গীতজ্ঞ দুর্গাশক্তি প্রথম এই গীতের উল্লেখ করেন। তাঁর মতে- যে সকল রাগের স্বরসমূহ বেগের সাথে চলে, তাকে বেসরা বলা হয়। তাঁর মতে মুখ্য রাগ বেসরষাড়ব। [বৃহদ্দেশী। পৃষ্ঠা ১৬২]

মতঙ্গের রচিত বৃহদ্দেশীতে বলা হয়েছে- এই জাতীয় গীতে দ্রুত অলঙ্কার প্রকার ব্যবহার করা হতো বলে, এর গীতের নাম দেওয়া হয়েছিল বেগস্বরা বা বেসরা গীত। গ্রামভেদে এই জাতীয় গীতের অন্তর্গত গ্রামরাগগুলো ছিল-

তথ্যসূত্র:
  • বৃহদ্দেশী। মতঙ্গ। রাজ্যেশ্বর মিত্র সম্পাদিত। সংস্কৃত পুস্তক ভাণ্ডার। কলকাতা। ১৯৯২।
  • সঙ্গীতরত্নাকর। সুরেশচন্দ্র অনূদিত।  রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। কলকাতা। ২২ শ্রাবণ ১৪০৮।