মরসিয়া কাব্য
শোক গাঁথামূলক কাব্য ও গানকে সাধারণ ভাবে মর্সিয়া বলা হয়।

আরবী মর্সিয়া শব্দের অর্থ হলো- শোক প্রকাশ করা। আরবী সাহিত্যে মর্সিয়া শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে নানা ধরনের শোকাবহ ঘটনাকে প্রকাশ করার অর্থে। পরবর্তী সময়ে কারবালা প্রান্তরে শহিদ ইমাম হোসেন ও অন্য শহিদদেরকে উপজীব্য করে লেখা সাহিত্য মর্সিয়া নামে আখ্যায়িত হওয়া শুরু হয়েছে।

আরবীয় মুসলমানদের দ্বারা পারশ্যে ইসলাম ধর্মের বিকাশ ঘটলে, ফারসি ভাষা- সাহিত্য-সঙ্গীতে, আরবি মর্সিয়া শব্দের অনুপ্রবেশ ঘটেছিল। মুসলমানরা ভারত উপমহাদেশে রাজত্ব কায়েম করলে, ইসলামী অনুশাসনের সূত্রে সরকারি ভাষা ফার্সি হয়েছিল। এই সময় মর্সিয়া ভারতীয় ভাষাগুলোতে বিদেশী শব্দ হিসেবে প্রচলিত হয়। বাংলাদেশে ১২০৪ খ্রিষ্টাব্দে ইখতিয়ার উদ্দীন বখতিয়ার খিলজি বঙ্গদেশ জয় করে। ১৩৫০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বঙ্গদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। এই সময় মুসলমানদের দ্বারা মোহরম পালিত হওয়া শুরু হয়। এই কাহিনি অবলম্বনে প্রথম মর্সিয়া কাব্য রচনা করেছিলেন শেখ ফয়জুল্লাহ। ১৫৪৫ খ্রিষ্টাব্দে তাঁর রচিত এই গ্রন্থটির নাম 'জয়নবের চৌতিশা'। এরপর আরও অনেকে এই বিষয়ের উপর কাব্য রচনা করেছিলেন। নিচে উল্লেখযোগ্য মর্সিয়া কাব্যের নাম কালানুক্রমে তুলে ধরা হল।