সরস্বতী-বীণা
বানান বিশ্লেষণ: স্+অ+র্+অ+স্+ব্+ত্+ঈ+ব্+ঈ+ণ্+আ
শব্দ-উৎস:
সংস্কৃত
সরস্বতী+সংস্কৃত
বীণা>বাংলা
বীণা।
উচ্চারণ:
ʃɔ.roʃ.ʃo.t̪i.bi.na
[শ.রোশ্.শো.তি.বি.না]
রূপতাত্ত্বিক
বিশ্লেষণ: সরস্বতী নামক যে বীণা/মধ্যপদলোপী
কর্মধারয় সমাস।
পদ :
বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{ততযন্ত্র |
বাদ্যযন্ত্র |
ডিভাইস |
যন্ত্র |
যন্ত্রীকরণ |
মনুষ্য-সৃষ্টি |
এককঅংশ |
দৈহিক-লক্ষ্যবস্তু |
দৈহিক সত্তা |
সত্তা | }
অর্থ: ভারতীয় ততযন্ত্র বিশেষ।
ইংরেজি: ভারতীয় ততযন্ত্র বিশেষ। ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে
বীণা নামে একাধিক
বাদ্যযন্ত্র রয়েছে। নির্মাণশৈলী এবং ধ্বনি প্রকৃতির বিচারে এই সকল বীণা বিভিন্ন
নামে অভিহিত হয়ে থাকে। যেমন-
রুদ্রবীণা, সরস্বতী বীণা, চিত্রবীণা, বিচিত্রবীণা
ইত্যাদি। প্রাচীন ভারতের সঙ্গীতে বীণা একটি বিশেষ স্থান অধিকার করেছিল। আধুনিককালে
পাশ্চাত্য ততযন্ত্র গিটার এবং ভারতের সরোদের সংস্কার করে কিছু ততযন্ত্র তৈরি করা
হয়েছে। সেগুলোকেও বীণা নামে অভিহিত করা হয়েছে। যেমন- মোহনবীণা, হংসবীণা ইত্যাদি।
এই সকল বীণার ভিতরে সরস্বতী বীণা একটি প্রকরণ বিশেষ। ভারতে প্রাচীন হিন্দু সঙ্গীত ও
কাব্যকলার দেবী সরস্বতী মূর্তির সাথে যে বীণা নামক যন্ত্রটি দেখা যায়, তার আদলে
সৃষ্ট বীণাই সরস্বতী বীণা নামে অভিহিত করা হয়। এই বীণাটিকে অনেক সময় রঘুনাথ বীণা
নামেও অভিহিত করা হয়। এই যন্ত্রটি দক্ষিণ ভারতীয় সঙ্গীত শিল্পীরা, তাঁদের শাস্ত্রীয়
সঙ্গীতে সর্বাধিক ব্যবহার করে থাকেন।
এর
মূল কাঠের কাঠামোটি তৈরি হয় কাঁঠাল কাঠ দিয়ে। এই যন্ত্রে চারটি তার থাকে মূল সুরের
জন্য। সহযোগী খাদের তার থাকে ৩টি। এতে কোনো তরফের তার থাকে না। এতে
২৪টি তামার দণ্ড দ্বারা তৈরীকৃত সুরের ঘাট যুক্ত থাকে। এই ঘাট সেতারের ঘাটের মতো
নড়ানো যায় না। এই কারণে একে অচল ঠাটের যন্ত্র বলা হয়। এর মাথার অংশ কাঠের তৈরি
হংসমুণ্ডুর মূর্তি থাকে।