বাহাদুরী-টোড়ি
উত্তর-ভারতীয় রাগ-সঙ্গীতের
টোড়ি ঠাটের
একটি রাগ। ভাতখণ্ডে আয়োজিত দ্বিতীয় সর্বভারতীয় সঙ্গীত সম্মেলনে এই রাগ নিয়ে বিস্তর
আলোচনা হয়। এই আলোচনায় আরোহণে পঞ্চম বর্জিত হয়, এই মতই প্রায় সবাই দিয়েছিলেন। এই
রাগে উভয় ঋষভ ব্যবহৃত হয়- এই মতও সবাই দিয়েছিলেন। জনৈক সঙ্গীত গুণী শুধু কোমল
ঋষভযুক্ত বাহাদুরী টোড়ির কথা উল্লেখ করেছিলেন। তাঁর মতে এর স্বরবিন্যাস হলো―
দ্ প্ দ্ ঋ ঋ স, স ঋ জ্ঞ জ্ঞ ঋ স, ন্ স জ্ঞ, হ্ম ঋ জ্ঞ, হ্ম দ, হ্ম দ ন দ হ্ম জ্ঞ, হ্ম দ ন র্স ন দ প, হ্ম জ্ঞ, হ্ম ঋ জ্ঞ ঋ স।
প্রতাপসিংহ রচিত সঙ্গীতসারে একে ভৈরবী ঠাটের রাগ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। সেনী ঘরানার বাহাদুরী টোড়িতে উভয় ঋষভ ব্যবহৃত হয়। এর চলন ণ্ রস, ণ্দ্ প্, ম্ প্ ণ্ স স, জ্ঞ ঋ স, স জ্ঞ ম প, প মজ্ঞ ঋ স।
এই রাগের বিস্তার মন্দ্র ও মধ্যস্থানে। এর প্রকৃতি গম্ভীর। এই রাগের সাথে গুর্জরী টোড়ির কিছুটা মিল আছে।
আরোহণ: স ঋ জ্ঞ হ্ম, দ ন র্স
অবরোহণ : র্স, নদ, প হ্ম জ্ঞ, ঋ, রস
জাতি : ঔড়ব-ষাড়ব।
বাদীস্বর : দ
সমবাদী স্বর : জ্ঞ
অঙ্গ : উত্তরাঙ্গ।
সময়
:
দিবা ভাগ।
পকড় :
দ্ প্ দ্ ঋ ঋ স, স ঋ জ্ঞ জ্ঞ ঋ স।
তথ্যসূত্র:
রাগ-রূপায়ণ । সুরেশচন্দ্র চক্রবর্তী। জেনারেল প্রিন্টার্স য়্যান্ড
পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড।