ভারতীয় সঙ্গীত পদ্ধতিতে
প্রাচীন রাগ বিশেষ।
১৬৫০ খ্রিষ্টাব্দে পণ্ডিত অহোবলের 'সঙ্গীত পারিজাত' গ্রন্থে এই
রাগটিকে সম্পর্কে বলা হয়েছে- ষড়্জ গ্রামের উত্তরামন্দ্রা মূর্চ্ছনা থেকে উৎপন্ন
হয়েছে। এতে গান্ধার ও নিষাদ তীব্র হয়। এই রাগে তীব্রতর মধ্যম ব্যবহৃত হয়। অর্থাৎ এই
স্বরটি সেকালের কোমল পঞ্চম থেকে ১ শ্রুতি কম। এর নাম ছিল অন্তর মধ্যম। এর আরোহে সব
স্বর ব্যবহৃত হতো কিন্তু অবরোহে ধৈবত ও নিষাদ বর্জিত ছিল।
আরোহণ: স র
গ হ্ম প ধ ন র্স
অবরোহণ; র্স
ধ প, হ্ম র স।
জাতি:
সম্পূর্ণ-ঔড়ব (গান্ধার ও ধৈবত বর্জিত)
বাদীস্বরবর: ষড়্জ
সমবাদী স্বর: পঞ্চম
অঙ্গ: পূর্বাঙ্গ।
স্বরপ্রস্তার: স র গ ম প ধ ন স- স ন প প রস। ধ ন স ধ ন স র গ ম
প ধ ম প প র মর- সস র গ ম প ধ ন স র গ ম প প প র স। ধ ন স-স ধ
ন-স রস ন স
দক্ষিণ ভারতীয় সঙ্গীত পদ্ধতিতে
রাগ বিশেষ। এর মেলের নাম গোবিন্দাচার্যের মতে- ধবলাম্বরী।
ব্যঙ্কটমখীর মতে ধবলাঙ্গী। এর স্বরগুলো হলো- স র
গু মি প ধ ন র্স। উত্তর ভারতীয় পদ্ধতিতে এই স্বরগুলো হলো-
স ঋ গ হ্ম প দ ধ র্স। উত্তর ভারতীয় সঙ্গীততত্ত্বে এরূপ
কোনো ঠাট নেই।
এই রাগের আরোহ-অবরোহ হলো-
আরোহণ:
স ঋ হ্ম প ধ র্স
অবরোহণ; র্স ন
ধ প, হ্ম গ ঋ
গ স।
৬৫০- ১২০০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে রচিত
চর্যাগীতিতে এই রাগের নাম 'দেবক্রী'
পাওয়া যায়। এই রাগে নিবদ্ধ
গানের সংখ্যা ১টি। এই গানটি হলো-
- সোণে
ভরিলী
করুণা নাবী। পদসংখ্যা ৮। [তথ্য]
তথ্যসূত্র:
- সঙ্গীত-পারিজাত। অহোবল। রাগপ্রকরণ- ৪৫৭
- রাগ বিজ্ঞান অভিধান। নিত্যানন্দ কর্মকার।
প্রগেরসিভ পাবলিশাসর্স। কলকাতা।। পৃষ্ঠা: ৬২।
- হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা বৌদ্ধ গান ও দোঁহা, হরপ্রসাদ
শাস্ত্রী, বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ, কলকাতা, ১৩২৩
- চর্যাগীতি
পদাবলী, সুকুমার
সেন, আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড, কলকাতা,
১৯৯৫
- Materials for a Critical Edition of the
Old Bengali Charyapadas (A comparative study of
the text and the Tibetan translation), Part I,
প্রবোধচন্দ্র বাগচী,
Journal of the Department of Letters, Vol. XXX,
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা, ১৯৩৮
- Development of the
Bengali LanguageSuniti
Kumar Chatterji. London.
George Allen & Unwin Ltd, 1970