রক্তহংস সারং
উত্তর ভারতীয় সঙ্গীত রাগ বিশেষ। এর রাগাঙ্গ সারং ।  ঠাট ভেদে এর দুটি রূপ পাওয়া যায়।

সঙ্গীত পারজাত গ্রন্থে কাফি ঠাটের রক্তহংস সারং

আরোহণ : স র ম প ধ র্স (গান্ধার ও নিষাদ বর্জিত)
অবরোহণ: র্স প, ম র ‌স (ধৈবত ও গান্ধার বর্জিত)
ঠাট:  কাফি
জাতি : ঔড়ব-ঔড়ব (গান্ধার ধৈবত বর্জিত)।
বাদীস্বর: পঞ্চম
সমবাদী স্বর: ঋষভ
অঙ্গ: পূর্বাঙ্গ।

সেনী ঘরানার বিলাবল ঠাটের রক্তহংস সারং

আরোহণ : স র ম প ধ র্স (গান্ধার ও নিষাদ বর্জিত)
অবরোহণ: র্স প, ম র ‌স (ধৈবত ও গান্ধার বর্জিত)
ঠাট:  কাফি
জাতি : ঔড়ব-ঔড়ব (গান্ধার ধৈবত বর্জিত)।
বাদীস্বর: পঞ্চম
সমবাদী স্বর: ঋষভ
অঙ্গ: পূর্বাঙ্গ।

উভয় মতের রক্তহংস সারঙের পার্থক্য সৃষ্টি করে থাকে নিষাদের ব্যবহার। অর্থা কোমল নিষাদযুক্ত রক্তহংস সারং কাফি ঠাটের এবং শুদ্ধ নিষাদযুক্ত রক্তহংস সারং হয়ে বিলাবল ঠাটের।

বাংলা গানের এই রাগ ব্যবহার করেছেন। ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের ৬ এপ্রিল, কলকাতা বেতার থেকে 'সারঙ্গ রঙ্গ' নামক একটি গীতি-আলেখ্য প্রচারিত হয়েছিল। এই গীতি-আলেখ্যটিতে নজরুলের রচিত সারং অঙ্গের ৮টি রাগ পরিবেশিত হয়েছিল। এর ভিতরে রক্তহংস সারং-এ নিবদ্ধ গানটি ছিল- বল রাঙা হংস দূতী।


তথ্যসূত্র: