আটুম
Atum
অন্যান্য নাম: Tem, Temu, Tum, and Atem

মিশরে প্রাচীন পৌরাণিক যুগ বা হেলিপোলীসীয় পৌরাণিক কাহিনীতে আটুমকে সূর্যদেবতা হিসেবে মান্য করা হতো। এই পৌরানিক কাহিনি অনুসারে আটুম ছিলেন সম্পূর্ণ একক সত্তা। আদিতে  নু পানির বিশৃঙ্খল বর্জ্য রূপে বিরাজ করতেন। এই জলের ভিতরে তিনি নিজের ইচ্ছায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এই কারণে অনেক সময় আটুমকে নু-এর পুত্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। এই সূত্রে তিনি ছিলেন আদি দেবতা।

সৃষ্টির পর তিনি একটি পাহাড়ের উপর নিজেকে অধিষ্ঠিত করেছিলেন।  তিনি ছিলেন ছিলেন একা। নারী বা পুরুষের চিহ্ন ছিল না তাঁর দেহে। তাঁকে মান্য করা হতো উভকামী হিসেবে। তিনি যখন সৃষ্টির তাড়না অনুভব করলেন, তখন স্বামী বা স্ত্রী হওয়ার মতো কেউ ছিল না। এই সৃষ্টি প্রক্রিয়া সম্পর্কে তিনটি কাহিনি পাওয়া যায়। যেমন-

১. আটুম সৃষ্টির উদ্দেশ্যে থুথু নিক্ষেপ করলে সৃষ্টি হয় পুত্র শু এবং কন্যা তেফনুৎ
২. উভকামী হিসেবে তিনি নিজের পুরুষাঙ্গ তৈরি করেন এবং হাত দিয়ে স্ত্রী-অঙ্গ করেন। পরে হস্তমৈথুনের দ্বারা আদিম সৃষ্টির কাজ সম্পন্ন করেছিলেন।
৩. তিনি নিজের ছায়ার সাথে সঙ্গম করে সৃষ্টির কাজ করেছিলেন।

আটুমের ইচ্ছাতে সৃষ্টির কাজ শুরু হয়। তবে তাঁকে স্বর্গীয় বিধি মান্য করতে হতো। এই বিধির দেবী ছিলেন হিসেবে মায়েৎ


সূত্র: